ভাগাড়ে চামড়া ফেলছে রাজশাহীর মাদরাসাগুলো



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
পচন ধরা চামড়া নিয়ে বসে আছেন রাজশাহীর এক হাফিজিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পচন ধরা চামড়া নিয়ে বসে আছেন রাজশাহীর এক হাফিজিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রেতা না পেয়ে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ফেলে দিতে শুরু করেছে রাজশাহীর মাদরাসাগুলো। অথচ প্রতিবছর মাদরাসাগুলো কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থে তাদের এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে আসছিল। ফলে এবার এতিম ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের ওপর নেমে আসতে পারে পড়াশোনা বন্ধের খড়গ। রাজশাহী নগরীর বেশ কয়েকটি মাদরাসা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, ঈদের দিন কোরবানির পর থেকে মাদরাসার শিক্ষকদের নেতৃত্বে ছাত্ররা চামড়া সংগ্রহ করতে শুরু করেন। এছাড়া স্থানীয়দের অনেকেই সোয়াবের আশায় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে পশুর চামড়া দান করেন।

প্রতিবছরের মতো এবারও প্রত্যাশা মতোই চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন তারা। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবার ক্রেতারা মাদরাসায় আসেননি। শ্রমিক সংকটে তারা সংরক্ষণও করতে পারেননি। ফলে বাধ্য হয়ে ঈদের তৃতীয় দিনে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় বর্জ্য হিসেবে চামড়া ফেলে দিয়েছেন।

জেলা শিক্ষা অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, রাজশাহীতে মাদরাসা রয়েছে এক হাজার ৭০২টি। শুধু নগরীতে মাদরাসার সংখ্যা ২২১টি। যার মধ্যে অধিকাংশই হাফেজিয়া মাদরাসা। জেলার গ্রামাঞ্চলের আর্থিক অনটনে থাকা পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের ছোটবেলায় মাদরাসায় পাঠিয়ে দেয়। রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা, নাটোর ও জয়পুরহাটের অসংখ্য শিক্ষার্থী এসব মাদরাসায় অধ্যয়নরত।

স্থানীয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বিশেষ করে হাফেজিয়া মাদরাসাগুলোতে এতিম ও দরিদ্র ঘরের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত। যাদের ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের একটা বড় অংশই আসে কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়ার বিক্রির অর্থ থেকে।

রাজশাহীর মাদরাসাগুলোর মধ্যে দরগাপাড়ার জামিয়া ইসলামীয়া মাদরাসা অন্যতম। বর্তমানে মাদরাসাটিতে তালিকাভুক্ত ১৫০ জন দরিদ্র ও এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে। কোরবানির সময় প্রতিবছর গড়ে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় হয় মাদরাসার।

মাদরাসাটির অধ্যক্ষ শাহাদত আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমরা এবার প্রায় ৬০০ গরু ও খাসির চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম। যার মধ্যে ৫৯৭টি চামড়া মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে ফেলে দিয়েছি। চামড়াগুলোতে পচন ধরেছিল। বাধ্য হয়ে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ডেকে নির্দিষ্ট ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘চামড়াগুলো সংরক্ষণ করতে মাদরাসার টাকায় ২০ বস্তা লবণ কেনা হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে মধ্যে লবণ লাগাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিকও পাওয়া যায়নি। ফলে চামড়াগুলো পচে যায়। চামড়ার টাকা তো পাওয়াই গেল না, বরং ফান্ডের টাকায় কেনা লবণও পড়ে আছে।’

নগরীর মোহাম্মদপুর (টিকাপাড়া) হাফেজিয়া মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলী বলেন, ‘কোরবানির কয়েকদিন আগে থেকে শিক্ষক ও ছাত্রদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিলাম। পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও বিভিন্ন স্থানে বলে রেখেছিলাম। সেই জন্য এক হাজারের বেশি চামড়া পেয়েছিলাম। কিন্তু বিক্রি করতে পেরেছি ১৫০ থেকে ১৬০টি চামড়া। পচন ধরায় বাকি চামড়া ফেলে দিয়েছে ছাত্র-শিক্ষকরা।’

তিনি বলেন, ‘এখানে ৭০ জন ছাত্রকে ফ্রি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে সহযোগিতা নিয়ে নতুন ভবন তোলা হয়েছে। চামড়া বিক্রির টাকা দিয়ে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থাটা হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু তা তো হলো না।’

আরও পড়ুন: ট্রাকভর্তি চামড়া ফেলে পালালেন ব্যবসায়ী!

   

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কয়েক মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৯টার দিকে রাজস্ব শাখার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার ৩১০ নং কক্ষে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন আচার্য বলেন, কক্সবাজার ডিসি অফিসে আগুন ধরার খবর পেয়ে আমরা তৎক্ষনাৎ আসি। এসে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। যেখানে কিছু কাগজপত্র পুড়ে গেছে।

ঘটনার পরপরই কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

;

বগুড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় শহরের শহীদ খোকন পার্কে ওই প্রার্থীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ শেষে এই জরিমানা করা হয়। বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরি ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খাঁন রনির এই জরিমানা করা হয়। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, শহীদ খোকন পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশগ্রহণকারিগণ প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত টি-শার্ট পরিধান করেন। এটি নির্বাচন আচরণ বিধির লঙ্ঘন। প্রার্থী অথবা প্রার্থীর পক্ষে যে-ই প্রচারণা চালাক এটি আচরণবিধি লঙ্ঘন। বিধিমালা আনুযায়ী প্রার্থীর ছবি বা প্রতীক সম্বলিত টি-শার্ট, ফতুয়া, জ্যাকেট পরিধান করা যাবেনা। একারণেই তাঁর জরিমানা করা হয়েছে।

সুলতান মাহমুদ খান রনি বলেন, ‘আমি নিজে ওই টি-শার্ট সরবরাহ করিনি। কেউ হয়তো ভালোবেসে সমাবেশে টি-শার্ট সরবরাহ করে থাকতে পারে। যেহেতু তা আচরণবিধি লঙ্ঘন উল্লেখ করে জরিমানা করা হয়, একারণে সেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।’

;

আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে যাবেন না: ইসি রাশেদা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে যাবেন না৷ আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে থেকে যদি ভোটারদের ভয় দেখান তাহলে সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা আমরা বাতিল করে দিব। এরপর কোর্টে যেতে চাইলে যাবেন না হলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না। কারণ আমরা কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবো না। আপনারা অবশ্যই আচরণ বিধি মেনে চলবেন।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ইসি রাশেদা সুলতানা আরো বলেন, আমরা দেখছি ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের ভালো সম্পর্ক নেই। তাই প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যান, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করেন। তাঁদের কাছে টেনে নেন। তাঁদের ভোটেই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে।

ইসি স্থানীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'উপজেলা নির্বাচন আপনি যে এলাকার ভোটার সেই এলাকায় আপনি ভোট প্রদান করবেন৷ এতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু আপনি ওই এলাকায় থেকে কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারবেন না। কাউকে প্রভাবিত করতে পারবেন না, কাউকে ভয় দেখাতে পারবেন না এবং আতংকিত হোক এমন কোন কাজও করতে পারবেন না। এরকম করলে কমিশন আপনাকে আইনগতভাবে ছাড়বে না৷'

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পারভেজ রায়হান, অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদ, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, ১৬ বিজিবি নওগাঁর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান, বগুড়া জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসানসহ গোয়েন্দা বিভাগ, র‍্যাব, আনসার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউএনও ও থানার অফিসার ইনচার্জ এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ গ্রেফতার ১

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ গ্রেফতার ১

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে হেরোইনসহ মো. কাদের হোসেন (৩৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর উত্তরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত কাদের হোসেন উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে। তিনি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ৮ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে কাদের হোসেনকে শিবালয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, গ্রেফতারকৃত কাদের হোসেনের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে। কাদের হোসেন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলেও জানান তিনি।

;