‘নির্মল বায়ু’র টাকায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ!



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি লোগো

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকল্পের খরচে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজে লাগানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংসদীয় কমিটিতে। অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণ দেশের জন্য অকল্যাণকর হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।

ভবিষতে কেউ কোন প্রকল্পের আওতায় বিদেশ গেলে তিনি যেন দেশে ফিরে অন্তত কিছুদিন ওই প্রকল্পের বিষয়ে সহায়তা করতে পারেন সে ব্যাপারে নীতিমালা তৈরির কথা বলছে সংসদীয় কমিটি।

২০০৯ সালের জুলাই মাসে শুরু হয় নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্প। এ প্রকল্পের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। প্রকল্প চলাকালে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দুই সিটি কর্পোরেশনের ৩২ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। তাদের অধিকাংশই এখন অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন, নয়তো বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা অবসরে চলে গেছেন। প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই তারা অবসরে গেছেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সবশেষ বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি মনে করে এভাবে বিদেশ ভ্রমণ করে টাকা খরচ করে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করার কোন অর্থ হয় না।

প্রকল্পে খরচ ধরা ছিল ৪৬০ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রকল্পের সেই টাকা খরচ করে এখন আবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে চাইছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পের অর্থের মধ্যে জিওবি ৭ কোটি ৯৪ লাখ এবং সাহায্য ৪৫৩ কোটি ২০ হাজার টাকা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পথচারী চলাচল বৃদ্ধি, ট্রাফিক গতি বৃদ্ধি, ট্রাফিক দুর্ঘটনা হ্রাস করা, পথচারী ও গাড়ি চালকদের উদ্বুদ্ধকরণসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এর মধ্যে দুই দফা সড়ক দুর্ঘটনার কারণে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা।

তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়নের খাতায় দেখানো হয়েছে—৮৩ দশমিক ৯১ কি. মি. রাস্তা, নর্দমা, ফুটপাত এবং ২০টি অত্যাধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। ২১টি ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগন্যাল রিমোট কন্ট্রোলসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাস্তবে এসব যাত্রী ছাউনি ব্যবহার হয় না। আর রিমোট কন্ট্রোল সিগনালও চলে না।

প্রকল্প চলাকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনসহ ৩২ কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা। যাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছে তাদের মধ্যে শুধু মেয়র আর কাউন্সিলর ছাড়া বাকিরা কেউ নেই ডিএসসিসিতে। কাজেই অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে এভাবে বিদেশ সফরকে মেনে নিতে পারছে না সংসদীয় কমিটি।

অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে বিদেশ সফর করেছেন ডিএসসিসি’র ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হামিদুল হক শামীম, ডিএসসিসি প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম, যিনি বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব। অতিরিক্ত সচিব মো. আলমগীর ডিএনসিসি প্রশাসক থাকাকালে বিদেশ সফর করেছেন। অতিরিক্ত সচিব মো. আক্তার হোসেন ভূঁইয়া, অবিভক্ত সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ যিনি বর্তমানে সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য, ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুলতান উল আলম চৌধুরী, মো. আনছার আলী খান বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত।

এছাড়া ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিলাল বর্তমানে এনবিআর সদস্য, বি এম এনামুল হক যুগ্ম সচিব প্রধান নির্বাহী ডিএনসিসি বর্তমানে অবরপ্রাপ্ত, এ এস এম ইমদাদ দস্তগীর মহা ব্যবস্থাপক (পরিবহন) ডিএসসিসি, ব্রি. জে. আব্দুল কাদির প্রধান প্রকৌশলী ডিসিসি (অবিভক্ত) অবসরপ্রাপ্ত, ব্রি জে. মো. আহসানুল হক মিয়া প্রধান প্রকৌশলী ডিএনসিসি (অবরপ্রাপ্ত), ডিএসসিসি প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল্লাহ অবসরপ্রাপ্ত, প্রধান প্রকৌশলী ডিএসসিসি মো. রেজাউল করিম প্রধান কোথায় আছেন তার কোন হদিস নেই। মো. আব্দুস সালাম অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ডিএসসিসি (অবসরপ্রাপ্ত), মো. সেহাব উল্লাহ প্রকল্প পরিচালক কেইস প্রকল্প (অবরসপ্রাপ্ত), মোছা. শাহিনা খাতুন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোন-১, মফিজুল ইসলাম আইন কর্মকর্তা (অবরসরপ্রাপ্ত)।

বিদেশে ট্রেনিং নিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ নির্বাহী প্রকৌশলী অঞ্চল-১, মো. মফিজুর রহমান খান নির্বাহী প্রকৌশলী কেইস প্রকল্প. মো. রফিকুল ইসলাম সহকারী প্রকৌশলী ডিসিসি বর্তমানে ডিএনসিসি, মুনসী মো. আবুল হাসেম তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ডিএসসিসি, মোহাম্মদ আরিফুল রহমান তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী টিইসি ডিএনসিসি, নাঈম রায়হান খান সহকারী প্রকৌশলী টিইসি ডিএনসিসি, ইশতিয়া মাহমুদ সহকারী প্রকৌশলী অঞ্চল-৩ ডিএনসিসি, মো. আব্দুর রহিম মিয়া উপ সহকারী প্রকৌশলী ডিসিসি বর্তমানে ডিএনসিসি, তৌহিদ ইবনে আকরাম সহকারী প্রকৌশী কেইস প্রকল্প ডিএসসিসি, সুপ্রতীম সেনগুপ্ত সহকারী প্রকৌশলী কেইস সাইফুল ইসলা সহকারী প্রকৌশী টিইসি ডিএনসিসি, মো. সাইদুর রহমান নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএনসিসি।

এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, প্রশিক্ষণের নামে ঢালাওভাবে লোকজন পাঠানো হয়েছে। প্রশিক্ষণের সুফল আমাদের পাওয়া দরকার, সেটা তো আমরা পাচ্ছি না। আসলে এর কোন নীতিমালা ছিল না। আমরা তাই নীতিমালার ওপর জোর দিয়েছি। নীতিমালা থাকলে কারও পছন্দ-অপছন্দের বিষয় থাকবে না। যারা যোগ্য তারাই প্রশিক্ষণে যাবেন। তাছাড়া যারা ১০-১৫ বছর সার্ভিস দিতে পারবেন তারাই যাবেন।

   

ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ

ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করার জন্য সুপারিশ করেছে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায় সিকদার রিপোর্ট ও ভিলা'র কনফারেন্স রুমে জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র তৃতীয় বৈঠক এই সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি আ, স, ম, ফিরোজ এমপি’র সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মোশতাক আহমেদ রুহী, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ আবদুর রশীদ এবং আশ্রাফুন নেছা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বৈঠকে বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এবং মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

পাশাপাশি বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নীতিমালার আলোকে মুজিব কিল্লায় স্কুল ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষণ করার জন্য কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে পুনরায় সুপারিশ করা হয়।

সেই সাথে কমিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি টুঙ্গিপাড়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুপারিশ করে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫ জনে। এসময় ৩১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ২৩৪ জনে।

শনিবার (১৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৭০৭ জন।

পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

;

‘তথ্যের দরকার হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একশবার যাবেন, বাধা নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা নেই বলে মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেছেন, আপনার তো তথ্যের দরকার, একশবার যাবেন।

শনিবার (১৮ মে) গ্রাহকদের ব্যাংকিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পঞ্চগড়ে ‘গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য দেওয়ার জন্য তিনজন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছি উল্লেখ করে ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেন, আপনার তো তথ্যের দরকার, একশবার যাবেন। সবার তো কথা বলার দরকার নাই। তিনজন মুখপাত্র আছে। তাদের কাছে যাবেন। সেখানে বসার জায়গা আছে। চায়ের ব্যবস্থা আছে। তারা যদি আপনাকে সন্তুষ্ট না করতে পারে আমরা চারজন ডেপুটি গভর্নর আছি আমরা আপনাকে উত্তর দেবো। সমস্যা কোথায়? তাও বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, অবাধ বলতে কি? আপনার একটা প্রাইভেট কোম্পানি কি আরেকটি কোম্পানিকে অবাধে কোন কিছু দেবে? সাংবাদিককে দেবে যতোই বন্ধু হন?। তাহলে আপনি বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা অবাধে যেতে চান। আমিতো যেতে নিষেধ করি নাই। আপনি যান না। আমার লোকজন আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। যদি কোন কর্মকর্তার কাছে একাই যেতে চান, যান। ধরুন আমার কাছে একাই আসতে চান, আসুন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের উদ্দেশ দেশের মঙ্গল, আমাদেরও তাই। দেশটা সবার। বঙ্গবন্ধু এটাই বলেছিলেন। এদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তি। প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন, আমি ১৭টা ডিপার্টমেন্ট চালাইতে হিমশিম খাই। আর প্রধানমন্ত্রী দেশ বিদেশ সামলাচ্ছেন। কি পরিমাণ পরিশ্রম করছেন তিনি ভাবতে পারেন।

ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম আরও বলেন, এবছর ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হবে। যারা অপ্রচার চালাচ্ছে তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না। বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের কাছে রোল মডেল। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পেছনে তাকানোর সময় নেই। মানুষের আয় বেড়েছে। অনেকে না জেনে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।

;

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পার্লামেন্টে নারী স্পিকারদের সম্মেলন লিঙ্গ সমতা আনয়ন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করার সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, এই সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম।

শুক্রবার (১৭ মে) অপরাহ্নে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অব উইমেন স্পীকার্স অব পার্লামেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৮ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকশন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকাররা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বিভিন্ন দেশের সংসদের স্পিকারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। স্পিকাররা একটি অভিন্ন প্লাটফর্মের ধারণা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন।

স্পিকার বলেন, বিগত সম্মেলন গুলোতে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপর প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে। ১৫তম নারী স্পিকারদের সম্মেলনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারীদের সার্বিক উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব মো.এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন। 

;