রওশন এরশাদ কাঁদলেন, তবু মুখ খুললেন না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
স্বামীর কবরের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েন রওশন এরশাদ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

স্বামীর কবরের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েন রওশন এরশাদ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরের পাশে অঝোরে কাঁদলেন স্ত্রী রওশন এরশাদ। এসময় আবেগঘন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রংপুরের পল্লী নিবাসে এরশাদের সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া ও মোনাজাতের আগে এমন হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অশ্রুসিক্ত এরশাদপত্নী মাথা নিচু করে খানিকটা সময় নীরব থাকেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/31/1567257465014.jpg

এদিকে রওশন এরশাদের কান্নার সময় তাকে সান্ত্বনা দেন দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা ও ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ।

আরও পড়ুন: বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে মনোনয়ন চান সাদ এরশাদ

পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে চেহলাম ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। এ সময় দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা ও ছেলে সাদ এরশাদ সাংবাদিকদের সাথে কথা বললেও মুখ খোলেননি রওশন এরশাদ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/31/1567257475041.jpg

এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত চেহলাম (চল্লিশা) ও দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে রংপুরে আসেন রওশন। এরশাদের মৃত্যুর পর এটি তার প্রথম রংপুর সফর।

আরও পড়ুন: এরশাদের আসনে আ.লীগের সহায়তা চাইলেন রাঙ্গা

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা যান। মৃত্যুর পর তার কবর নিয়ে নানা নাটকীয়তা শুরু হয় দলের মধ্যে। তৃণমূল থেকে দাবি ওঠে রংপুরে এরশাদকে সমাহিত করার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/31/1567257485259.jpg

বিপরীতে ঢাকায় দাফন কার্য সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের দাবির প্রেক্ষিতে রংপুরের পল্লী নিবাসে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফনের সম্মতি দেন রওশন এরশাদ। সঙ্গে এরশাদের কবরের পাশে নিজের জন্য জায়গা রাখারও আবেদন জানান তিনি।

   

দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে নিম্নমানের পণ্য বিক্রি, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীতে নিম্নমানের পণ্যের উপর নামি-দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রি এবং পণ্যের গায়ে আগের কম মূল্যের উপর পুনরায় অধিক মূল্য লেভেল লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২১ মে) নগরীর জিইসি ও ২নং গেইট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স পবিত্র ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে নেমে ব্যবসায়ীদের এমন গরমিল দেখতে পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চট্টগ্রাম।

কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের ৪নং গলির একটি দোকানে হিরো ক্রিম (দুগ্ধ জাতীয় খাবার পণ্য) নামে একটি নিম্ন মানের পণ্যের DANO ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করে আসছিলেন অনেকদিন ধরে। অন্যদিকে ফ্রেডস কোম্পানির ইঁদুরে খাওয়া চিড়ার প্যাকেটে পুনরায় লেভেল লাগিয়ে ভালো পণ্য হিসাবে বিক্রি ও প্রদর্শন করার অপরাধে ঐ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভুক্ত অধিকার।

এর আগে পণ্যের গায়ে লিখা কম মূল্যের উপর পুনরায় অধিক মূল্যে লেভেল লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে নগরীর জিইসি এলাকার কামাল জেনারেল স্টোর একটি দোকানকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সাথে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা হয়।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমান বলেন, ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে আমার দেখতে পাই- কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের একটি দোকানে হিরো ক্রিম নামে একটি পণ্যের উপর DANO ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও ইঁদুরে খাওয়া চিড়ার প্যাকেট পুনরায় লেভেল লাগিয়ে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করছে তার জন্য ঐ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পাশাপাশি সতর্ক করা হয়। অন্যদিকে, একটি পণ্যের দাম ১৪৫ টাকার উপর ১৫৫ টাকা মূল্য বাসানোর অভিযোগে জিইসি এলাকার কামাল জেনারেল স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৫০ হাজার জরিমানা করে সতর্কও করা হয়। আমাদের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

রাতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে আজ রাতে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকাল ৩টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত আগামী ৮ ঘণ্টার মধ্যে এমন আবহাওয়া পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পাবনা, টাঙ্গাইল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

;

সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিক ও তার স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে একই কার্যালয়ে দু’টি মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিক ও তার স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণী চেয়ে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নোটিশ দেয় দুদক। জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইয়ের পর জানা গেছে, ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম ১ কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক। অপরদিকে, আবদুল বারিক ১ কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন তিনি।

জানা গেছে, আবদুল বারিক চট্টগ্রাম কাস্টমসে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে ১৯৯০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পান। ২০১০ সালে তিনি রাজস্ব কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করেন, আর অবসর নেন ২০১৪ সালে। কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি নিজের ও স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিনের নামে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে অঢেল সম্পদ গড়েন।

মামলায় আসামি করা হয় কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিক ও তার স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমকে।

;

চাটখিলে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
চাটখিলে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

চাটখিলে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

  • Font increase
  • Font Decrease

কেন্দ্র থেকে সব এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী জেড এম আজাদ খান।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর ১৫ মিনিট শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এর পরই উপজেলার প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদেরকে জোরপূর্বক দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের লোকজন জোরপূর্বক বের করে দেন। একই সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে আনারস প্রতীকে ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করা হয় এবং ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক দোয়াত কলম প্রতীকে সিল মারা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে দোয়াত কলম প্রতীকের লোকজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় আগেই ব্যালট পেপারের সিল মেরে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে তিনি ভোট বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, ব্যালট পেপারে আগে সিল মারার কয়েকটি ভিডিও তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজনকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারা অভিযোগ অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা নেননি। আজাদ খান জানান, তিনি শুধুমাত্র সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন প্রশাসনের কাছে, কিন্তু প্রশাসন সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তিনি এই পাতানো নির্বাচন বাতিল দাবি করেন।

আজাদ খানের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

প্রার্থীর অভিযোগ ও ভোট বর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম আরা বলেন, ভোট বর্জন প্রার্থীর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত । এ বিষয়ে তার কিছু বলার নেই। তবে একটি কেন্দ্রে আগে যে কয়টি ব্যালট পেপারে সিল মারা পাওয়া গেছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া কোন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া কিংবা ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ প্রার্থী তার কাছে করেননি। প্রার্থী যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলোর তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

;