শামীমের অফিস থেকে যা উদ্ধার করল র্যাব
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে শামীমকে আটক করেছে র্যাব।অভিযানে তার অফিস থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআরের কাগজ পত্রাদি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকা তার মায়ের নামে রয়েছে। বাকি ২৫ কোটি টাকা তার নামে। অফিস থেকে সাতটি শর্টগানও উদ্ধার হয়েছে। যুবলীগের এ নেতাসহ আটজনকে গ্রেফতার করে। সাতজনই তার দেহরক্ষী।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, 'গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, জি কে শামীমের কাছে কিছু অর্থ ও অস্ত্র রয়েছে। এছাড়া তিনি চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত ছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তার বাসা ঘেরাও করি। এ সময় তার সাত জন বডিগার্ডকে গ্রেফতার করি। তাদের কাছ থেকে সাতটি শর্টগান জব্দ করা হয়। বিপুল পরিমাণে গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তথ্য নিয়ে আমরা তার অফিসে অভিযান পরিচালনা করি।'
তিনি বলেন, 'তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার করা হয়। যার পরিমাণ এক কোটি ৮০ টাকার মতো। ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে আর বাকিগুলো তার নামে। কিছু মাদক পেয়েছি এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে। শামীমসহ আট জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা অবশ্যই স্বীকার করি, তার ঠিকাদারি ব্যবসা আছে। কিন্তু তার নামে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আমরা মানি লন্ডারিং আইনে ফেলব। আমরা তদন্ত করে দেখব তার কাছে এত টাকা কীভাবে এসেছে।'
র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, 'কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মায়ের কোনো ব্যবসা নেই, কিন্তু তার নামে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর ছিল। যে সাতটি অস্ত্র পাওয়া গেছে এগুলো চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জব্দকৃত টাকা ঠিকাদারি ব্যবসার আড়ালে অবৈধ উপায়ে আয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।'
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, 'উনি যদি এসব অভিযোগকে আদালতে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে ছাড়া পাবেন। আর যদি ওনার ওপর আনিত অভিযোগগুলো সত্য হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করে দেখছি। উনি কোনো দলের সদস্য কিনা তা আমরা জানি না। এইটা দলীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা তার দোষ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।'
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতা শামীমের অফিসে মাদক ও টাকার স্তূপ
আরও পড়ুন: যুবলীগের সমবায় সম্পাদক জিকে শামীম আটক