পেঁয়াজের দাম কমলেও, বাড়তে পারে আরেক দফা
চলতি মাসের চার-পাঁচ তারিখ পর্যন্ত বন্দর, পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম অসহনীয় থাকলেও ছয় তারিখ থেকে কেজি প্রতি কিছুটা কমেছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সব থেকে বড় কাঁচা বাজার কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের আড়ত ও খুচরা দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় কেজি প্রতি পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা কমলেও সেটা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য কষ্টসাধ।
কারওয়ান বাজারের আড়তদার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি নাসিক পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকা, বার্মিজ পেঁয়াজ ৬২-৬৪ টাকা, মিশরীয় পেঁয়াজ ৫৫-৫৬ টাকা, আর দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা।
কবে নাগাদ পেঁয়াজের দাম কমবে এমন প্রশ্নের জবাবে আড়তদার শফিকুল ইসলাম বলেন, কবে নাগাদ কমবে সেটা জানি না। এখন পর্যন্ত আমি যা জানি, তাতে পেঁয়াজের দাম কমা তো দূরের কথা আরেক দফা বাড়বে।
খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। এলসি করে আনা ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, বার্মিজ, মিশর ও নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা দরে।
গত দুই থেকে চার দিন আগে এসব পেঁয়াজ প্রতি কেজি খুচরা মূল্যে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রঞ্জু রহমানের কাছে দাম কমের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো হাজার টাকা কেজি হলেও কিনে খেতে হবে এতে কোন সন্দেহ নাই। তবে ১২০ টাকা কেজি থেকে কমে ৭০ বা ৮০ টাকা কেজিতে এসেছে বলে যে দাম কমেছে ব্যাপারটা কিন্তু সে রকম না। ৭০-৮০ টাকা পেঁয়াজের কেজিকে আমি অতিরিক্ত দাম বলেই মনে করি। এই দাম সাধারণত ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বলে তিনি জানান।
এদিকে আরেক ক্রেতা জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, হিলিতে যে পঁচা পেঁয়াজগুলো এসেছে সেগুলোও বাজারে এসেছে। ওই পঁচা পেঁয়াজও অতিরিক্ত দামে বাজারে বিক্রি হতে দেখেছেন তিনি।
তবে, জাহিদুলের কথার প্রেক্ষিতে বাজার ঘুরে সেরকম পেঁয়াজ পাওয়া যায় দুই একটি দোকানে। দোকানিকে পঁচা পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এগুলো বৃষ্টির কারণে পঁচে গেছে। ইন্ডিয়া থেকে আনা হিলির পঁচা পেঁয়াজ না।