খাওন পাই না আবার ঈদে কোরমা পোলাও!



লক্ষ্মীপুর করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর: ‘নদীতে মাছ ধইরা যে টাহা পাই, তা দিয়া সংসারের খাওন (খাবার) জুটে না আবার ঈদে নুতন জামা- কাহড় (কাপড়), কোরমা, পোলাও? এগুলা দিয়া কী অইবো, আমাগো ঈদ কাটে পেডের যোগান মাছ ধরতে ধরতে। আমাগো আনন্দ সংসারের খাওন জুটানো আর মহাজনের দেনা পরিশোধে।’

নৌকায় জাল থেকে মাছ বাছতে বাছতে কথাগুলো বলছিলেন লক্ষ্মীপুর চর রমনী মোহন ইউনিয়নের  মজুচৌধুরীর হাট এলাকার মানতা (ভাসমান জেলে) পারভিন আক্তার। তিনি জন্মের পর থেকেই বাবা ও বিয়ের পর স্বামীর নৌকায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বর্তমানে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মা তিনি। 

তিনি আরও বলেন, ‘সংসারে অনেক অভাব। নদীতে এহন আর আগের মতো মাছ ধরা হড়ে না। যেদিন মাছ বেশি হাই, হেদিন একটু বালা খাই। ঈদের দিন মাংস দিয়ে দুই বেলা পেট ভইরা ভাত খাইতে হারুম নি, পোলাপানেরে নতুন জামা কাহড়ই লই দিতাম হারি না। নছিবো যা আছে তাই অইবো’।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পারভিনের মতোই চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছেন অন্তত সাড়ে ৩ হাজার মানতা (ভাসমান জেলে)। নদী থেকে নদীতে বয়ে চলে তাদের নৌকা। মানতাদের প্রধান পেশা হচ্ছে মাছ ধরা। তারা ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে বছরের পর বছর লড়াই করে পানিতে ভাসমান অবস্থায় জীবনযাপন করছে।

চারিদিকে ঈদ আনন্দ থাকলেও নেই মানতাদের। নদীতে মাছ ধরে যে টাকা পান সে টাকা মহাজনদের দেনা আর ডাল ভাত যোগাতেই শেষ হয়ে যায়। তাই পারছেন না ছেলেমেয়েদের ঈদে নতুন জামা কাপড় দিতে। পারছেন না সেমাই, ফিরনি, নুডলস, বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন নামীদামি খাবার খেতে। তাদের ঈদ কাটে নদীতে মাছ ধরার মাধ্যমে।   

সরেজমিনে সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছেলেমেয়ে আর পরিবার পরিজন নিয়ে নৌকায় বসে আছে মানতারা। কেউ জাল বুনছে, কেউ জাল থেকে মাছ নিচ্ছে, আবার কেউ রান্না করছে। তাদের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ। মানতাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নদীর পাড়ে খেলা করছে, আবার কেউ বাবা মাকে সাহায্য করছে। তাদের শরীরে পুরাতন ছেঁড়া কাপড়।  

/uploads/files/DzzcmFQmMtepk6zk7FvqwPEfMuDCxgEF3tlX31Ob.jpeg

এদেরই একজন মো. দুলাল হোসেন। আলাপকালে  বলেন, ‘আমাগো বাড়িঘর, জায়গা-জমি নাই, নৌকায় থাহি। সরকারের কাছ থেকে তেমন একটা সহযোগিতা পাই না। নদীতে মাছ ধরলে খাবার জোটে, অন্যথায় না খেয়ে কাটে। আমাগো আবার কিসের ঈদ আনন্দ?’

শমজান বিবি বলেন, ‘সবাই নতুন জামা কাপড় পিনবে, পোলাপানরে লইয়া আনন্দ কইরবো। আর আমরা পুরান জামা হরি নদীতে মাছ ধরেই আনন্দ করমু। ডাল আর ভাত খেয়েই কাটবে ঈদের দিন।’

টাকা নাই বলে নতুন জামা-কাপড় কিনতে পারেন না এখানকার বাসিন্দারা। তাই পুরাতন জামা পরেই কাটে তাদের ঈদ। আর পারেন না  ধনী ব্যক্তিদের মতো নামীদামি খাবার খেতে। ঈদের আনন্দ বলতে এখানে আসা লোকদের নদীতে নৌকায় করে ঘুরানো, কিছু টাকা আয় করা। এমনটি জানালো মনতা পল্লীর ছোট্ট শিশু সাকিব হোসেন। 

মনতা পল্লীর হাসিনা আক্তার বলেন, ‘নদীতে মাছ ধরে যে টাকা আয় করি, বিভিন্ন খরচের পর অবশিষ্ট টাকা দিয়ে মাংস কেন হাড়ও পাওয়া যাবে না। তাই আফসোস করি না, ঈদের দিনকেও অন্য দিনের মতোই মনে করি। কারণ আল্লাহ আমাগো কপালে ঈদ আনন্দ দেয় নাই।’

নদীর পাড়ে খেলা করছে ছোট শিশু আছমা, ইতি, বেলি ও শাহানাজ আক্তার। আলাপকালে তারা জানায়, কেউ যদি এসে জামা কাপড় বা ভালো খাবার দিয়ে যায় তা হলে অনেক আনন্দ পায় তারা। 

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর চর রমনী মোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল জানান, মজুচৌধুরীরহাট এলাকার মেঘনা নদীতে ১৬০টি নৌকা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। কয়েকদিন আগে সরকারি বরাদ্দের কিছু চাল কয়েকজন জেলেকে দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ কম থাকায় তাদের সবাইকে সহযোগিতা করা যাচ্ছে না। সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরা এগিয়ে এলে ভাসমান এসব পরিবারের ঈদ কিছুটা আনন্দের সাথে কাটতো।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, জেলেদের বিজিএফ সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ঈদ কেন্দ্রিক এসব ভাসমান জেলেদের জন্য কোনো বরাদ্দ থাকে না। 

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যা জানান, অভিযানের সময় জেলেদের জন্য চাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব ভাসমান জেলেদের জন্য ঈদের সময় কোনো বরাদ্দ আসে না। 

 

   

কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনুস আলী (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার (১৮ মে) সকালের দিকে উপজেলার খোর্দ্দ বনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউনুস আলী কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দ বনগ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ৭টার দিকে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মুক্তার আলী ও তার লোকজন মিলে ইউনুস আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউনুসকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন, তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, সকালে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ইউনুস আলী জখম হন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান।

তিনি আরও জানান, নিহত ইউনুস আলী ও মুক্তার আলী একে অপরের আত্মীয়। সম্পর্কে বেয়াই। তাদের উভয়ের ছেলে মেয়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি বিরাজ করছিল। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

;

২৮ বছরে ঢাকার সবুজ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের রাজধানী ঢাকায় গত ২৮ বছরে সবুজ এলাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ, অন্যদিকে জলাভূমিও নেমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী সম্মেলনে এই তথ্য জানা যায়।

বিআইপির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা শহরের সবুজ এলাকা এবং জলাভূমি কমেছে সেই সঙ্গে দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ, যা শহর এলাকার তাপমাত্রা বাড়িয়ে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাবও বাড়ছে। দেশে চলমান যে তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে তার মূল কারণ নগরে সুবজায়ন কমে যাওয়া।

বাংলাদেশের মতো ক্রান্তীয় আর্দ্র জলবায়ুর দেশে নগর পরিকল্পনায় সাধারণ মানদণ্ড অনুযায়ী একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকা বাঞ্ছনীয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গত বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাড়ার কথা ছিল ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিআইপি-এর গবেষণা অনুযায়ী ঢাকায় কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে। ফলে সার্বিকভাবে ঢাকার পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে নেতিবাচকভাবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল সরোয়ার জানান, তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, শ্রমিকের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, অবনতি হয়েছে কৃষি উৎপাদনে, ব্যাহত হয় শিল্প প্রক্রিয়া, তাপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন অবকাঠামো।

তিনি আরও জানান, চলমান তাপপ্রবাহকে চরম আবহাওয়াগত পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাপপ্রবাহ মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ২০২৪ সালে সমগ্র বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

অনুষ্ঠানে নগর গবেষণা কেন্দ্রে সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে ছিলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বিআইপির সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান স্থাপতি ইকবাল হাবীব।

;

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বেলা ১১:৫৭ টায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি জানান, ধোলাইখালে চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।  

;

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নওগাঁর সাহাগোলার ‘মটকা চা’



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ আত্রাই উপজেলার সাহাগোলার মোড় স্টেশন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মটকা চা’। দুধ, চিনি ও বিভিন্ন মসলার সংমিশ্রণে তৈরি এ চা খেতে প্রতিদিন স্টেশনে ভিড় করেন চা-প্রেমীরা। মাটির ছোট্ট হাড়িতে পরিবেশন করা হয় এই মটকা চা।

সরেজমিনে শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সাহাগোলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মাটির তৈরি ছোট্ট পাতিল প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে জ্বলন্ত চুলায় গরম করা হচ্ছে, এবং উত্তপ্ত গরম হয়ে গেলে সেটিকে আবার নামিয়ে ভেতরে দুধ ঢালা হচ্ছে, এরপর বিভিন্ন ধরনের মসলা ও শেষে দেওয়া হচ্ছে দুধের সর। এভাবেই পরিবেশন করা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের মসলা দিয়ে তৈরি মটকা চা।

জানা গেছে, দেশে প্রথম মটকা চায়ের আবির্ভাব ঘটে রাজধানী ঢাকার মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ‘মটকা চা এবং মোমো’ ক্যাফেতে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এটির যাত্রা শুরু হয়। মাটির পেয়ালায় পরিবেশন করা হয় এই মটকা চা। এই চায়ের মূল আকর্ষণ হলো মাটির পেয়ালা। ভিন্নধর্মী স্বাদের এই চা পান করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে যেতেন চা-প্রেমীরা। তবে এখন এই মটকা চায়ের বিস্তার দেশের অনেক প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। চায়ে নিজস্ব অনেক ইতিহাস থাকলেও মটকা চায়ের স্পষ্ট কোনো ইতিহাস অদ্যাবধি জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই মটকা চা প্রথমে রাজস্থান থেকে এসেছে। ভারতে প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ মটকায় চা পান করে। ভারতের মটকা চা ব্যাপক জনপ্রিয়। মূলত উৎপত্তিস্থল ভারতে।

মটকা চা খেতে আসা ছামিউল (২৮) বলেন, আমার বাড়ি নিয়ামতপুর উপজেলায়। শুনেছি সাহাগোলার মটকা চায়ের অনেক স্বাদ তাই কয়েক বন্ধু মিলে আজকে খেতে চলে এসেছি। চায়ের পাশাপাশি এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। তবে স্থায়ী জায়গা যদি করা যেত তাহলে আরও দূর থেকে মানুষজন এসে নিরাপদে খেতে পারতো।


আফরিন বলেন, আজকেই প্রথম এসেছি এখানে। জায়গাটা অনেক সুন্দর, আর পাশেই রেল-স্টেশন আছে। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে। মটকা চা আমি আগেও খেয়েছি, তবে এটির আলাদা মজা পেলাম খেয়ে। আবারো আসবো খেতে।

খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক ভিড় এবং দোকানিও অনেক। আমার কাছে পরিবেশ ভালো লেগেছে, তবে চায়ের মান আরও উন্নতি করা দরকার।

এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আকমল বলেন, আমাদের এখানে এতো লোকসমাগম হতো না, কিন্তু যখন থেকে মটকা চা আর মালাই চা শুরু হয়েছে, তখন থেকেই এলাকাটা বেশ পরিচিত হয়ে গেছে। আমাদেরও ভালো লাগে, যখন দেখি দূর থেকে মানুষ চা খেতে আসে।

দোকানী আতাউল ইসলাম বলেন, প্রায় ২ বছর আগে সাহাগোলায় সর্বপ্রথম মটকা চা আমি বানানো শুরু করি। এখন ১৫টির অধিক দোকান আছে সেগুলো তখন ছিল না। আমরা সব সময় চেষ্টা করি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চা পরিবেশন করতে। ভালো লাগে বলেই অনেক দূর থেকে মানুষ এসে আমাদের চা খায়।

আরেক দোকানি রনি বলেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার বেশি ভিড় হয় এবং বিক্রি ভালো হয় বিধায় লাভও থাকে। এটি আমি ১ বছর ধরে বিক্রি করি। আতাউল ভাই শুরু করেছিল। লাভ মোটামুটি ভালোই হচ্ছে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সাহাগোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে, যেহেতু অনেক লোকজন আসেন। এখানে শুধুমাত্র চা বিক্রি হচ্ছে না, পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন বেড়াতেও আসছেন। এটা নিয়ে আমরা ভাবছি।

;