খুলনার সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, দুর্ভোগে যাত্রীরা



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
খুলনার সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনার সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের পর পরই খুলনা মহানগরীর সড়কগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরেছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে খুলনার সড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, সড়কে নেই অতিরিক্ত রিকশার জটলা। নিয়ম মেনে পায়ে চালিত রিকশায় চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। রিকশা চালকরাও যাত্রী ওঠা-নামায় তাড়াহুড়ো করছেন না। চিরচেনা যানজট থেকে প্রায় মুক্ত পুরো খুলনা। নগরবাসী মনে করছে, বদলে যাওয়া এই দৃশ্যপটের মূল কারণ নগরী থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত।

তবে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের আশায় এখনো অনেক ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক তাদের রিকশা থেকে ব্যাটারি ও ইঞ্জিন অপসারণ করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সাধারণ চালকরা পায়ে চালিত রিকশার অভাবে রাস্তায় বের হতে পারছেন না।

সিটি করপোরেশন সূত্র‌ে জানা যায়, খুলনা নগরীর ৩৫০টি অবৈধ রিকশা চার্জিং পয়েন্টে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব পয়েন্টে এতদিন রিকশার ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়া হতো। এতে বিপুল অংকের টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

নগরীতে চলছে প্যাডেলচালিত রিকশা

কেসিসির সূত্র‌ে আরো জানা যায়, খুলনা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা আর চলতে দেওয়া হবে না। ব্যাটারি অপসারণের সময়ও আর বাড়ানো হবে না। তবে প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচলে কোনো বাধা নেই।

উল্লেখ্য, গত ২ বছর আগে হঠাৎ করেই খুলনা মহানগরীতে প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেই স্থান দখল করে ব্যাটারিচালিত রিকশা। এতদিন ধরে কোনো বাধা ছাড়াই এই ব্যাটারিচালিত রিকশা অবাধে নগরীতে চলাচল করেছে। এইসব ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে প্রায় ঘটাতো ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এছাড়া নগরীর ৩৫০টি অবৈধ রিকশার চার্জিং পয়েন্টে ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার কারণে সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে কেসিসি ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) নগরী থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের তিন দফা সময় দিয়ে গত ১৫ অক্টোবর থেকে নগরীতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তবে, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে দেওয়ার দাবিতে গত ১৪ অক্টোবর থেকে চালকরা নগরীতে ধর্মঘট শুরু করে। হঠাৎ করে চালকরা ধর্মঘট শুরু করায় নগরীর সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে। এই সুযোগে ইজিবাইক ও মাহিন্দ্র চালকরা তাদের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। তবে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের ধর্মঘট সত্ত্বেও গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে নগরীতে প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচল কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু তা যাত্রী তুলনায় অনেক কম।

প্যাডেলচালিত রিকশা

এদিকে, নগরীতে প্যাডেলচালিত রিকশা কম চলাচলের কারণে চালকরা ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে দু-তিন গুণ ভাড়া দাবি করছে। এতে দুর্ভোগ পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ। নগরবাসী দ্রুত সময়ের মধ্য‌ে চাহিদা অনুযায়ী প্যাডেল চালিত রিকশা সরবরাহের জন্য কেসিসির প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

নগরীর জোড়াগেট মোড়ের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশায় চলাচল করার সময় আমি ৩ বার দুর্ঘটনায় পড়েছি। দ্রুতগতিতে রিকশা চালানো, অপ্রতিরোধ্য গতি ও অদক্ষ চালকের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা হতো। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত খুবই ভালো হয়েছে। ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের ফলে যানজট মুক্ত নগরী চিরচেনা রূপে ফিরেছে। তবে পায়ে চালিত রিকশার পরিমাণ খুব কম হওয়ায় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

পূর্ব বানিয়া খামারের হারুনুর রশিদ বার্তাটোয়েন্টিফোর. কমকে বলেন, আমার এলাকা থেকে সাত রাস্তার মোড়ের ভাড়া ছিলো ১৫ থেকে ২০টাকা, কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের পরে একই দূরত্বে পায়ে চালিত রিকশায় ৩০টাকা ভাড়া হাকানো হচ্ছে। তাছাড়া পায়ে চালিত রিকশার পরিমাণ এত কম, দ্রুত গন্তব্য‌ে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

ব্যাটারিচালিত রিকশা

 করিম শেখ নামের একজন রিকশা চালক বলেন, প্যাডেলচালিত রিকশা চালানো কিছুটা কষ্টকর হলেও গ্যারেজ থেকে অল্প টাকায় নেওয়া যায়। প্রতিদিন প্যাডেলচালিত রিকশা ভাড়া দিতে হয় ৬০ টাকা। এজন্য একবেলা রিকশা চালালেই দিনের খরচ উঠে যায়। কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশার ভাড়া দিতে হতো ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ফলে মালিকদের ভাড়ার টাকা মিটিয়ে অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য দীর্ঘ সময় ও অতিদ্রুত তাদের রিকশা চালাতে হতো। যার কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটতা‌ে।

তিনি আরো বলেন, রিকশার মালিক অতিরিক্ত লাভের আশায় রিকশা থেকে ব্যাটারি ও ইঞ্জিন খুলছেনা। তারা বিভিন্ন শ্রমিক নেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। গোপনে রিকশায় চার্জও দিচ্ছে।

কেসিসির প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, কাউন্সিলররা স্ব স্ব ওয়ার্ডের রিকশা মালিকদের বুঝিয়ে ব্যাটারি ও ইঞ্জিন খুলে ফেলতে উদ্বুদ্ধ করছেন। পাশাপাশি কেসিসির পক্ষ থেকে অবৈধ চার্জিং পয়েন্টে অভিযান চালানো হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বার্তাটোয়েন্টিফোর. কমকে বলেন, প্যাডেলচালিত রিকশা খুলনার ঐতিহ্য। এই রিকশায় ব্যাটারি সংযোজন করে একে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে। দ্রুতগতির এই রিকশা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। সড়কে দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে কেসিসি এই রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে রিকশা মালিক ও চালকরা এতে সমর্থন দিয়েছেন। নগরীর সড়ক ঝুঁকিমুক্ত করতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

   

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও মসজিদ কমিটি কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বিত্তিপাড়া গ্রামের মৃত কলিল মন্ডলের ছেলে জাহিদুর মন্ডল (৫৫), মৃত ফকির মন্ডলের ছেলে মনি মন্ডল (৬০), মৃত মকবুল মন্ডলের ছেলে খালেক মন্ডল (৫৫) ও মৃত আহসান আলীর ছেলে আক্কাস মন্ডল (৫০)।

আহতরা সবাই উজানগ্রামের বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বারের সমর্থক।

আহতরা জানান, মাগরিবের নামাজের পরে বিত্তিপাড়া তেল পাম্পের নিকটে মোহিদের দোকানে বসে চা পান করছিলেন তারা। হঠাৎ করে উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক ও তার লোকজন তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , বিত্তিপাড়া গ্রামে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ অনেক পুরনো। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক এবং অপরপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার।

বুধবারের এই ঘটনার আগে গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে এই দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর আগে ঈদের (ঈদুল ফিতর) নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোশত কিনতে গিয়ে দু’পক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

এরপর ঈদগাহে আসার পথে বক্কার গ্রুপের লোকদের মারধর করা হয়। পরে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদগাহের দখল নিয়ে দুপক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে বক্কার গ্রুপের যোয়াদ মণ্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হন। পূর্বের ঘটনার জেরে সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছে।

সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫, ৬ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোছা. শারমিন আক্তার জানান, ‘আমার মাধ্যমে জেলা পরিষদ থেকে বিত্তিপাড়া জামে মসজিদের গেইটের জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান পাই। পরবর্তীতে আবু বক্কার সিদ্দীক মসজিদে গিয়ে দাবি করেন, তিনি এ টাকা জেলা পরিষদ থেকে নিয়ে এসেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। সে সময় তিনি দাবি করেন তাকে মসজিদ কমিটির সভাপতি বানাতে হবে। এই নিয়ে মসজিদে মধ্যে হট্টগোল বাঁধে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর হোসেন মেম্বারের লোকজন বাজারে গোশত কিনতে আসে। লোক মুখে শুনেছি, তখন সরদার পাড়ার জামাল পাগল অর্থাৎ জামাল খোড়া হোসেন মেম্বারের এক সমর্থককে মারধর করে। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেই সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। ওই মারামারি ঘটনা সমাধান না হওয়ার জের ধরে বুধবার অতর্কিতভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দীকের সমর্থকরা হোসেন মেম্বারের সমর্থকদের উপর এই হামলা চালিয়েছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘জেলার শীর্ষ নেতারা উভয় পক্ষের লোকজনদের এক জায়গায় বসিয়ে এই মারামারি, এই সংঘর্ষ পুনরায় যাতে না হয়, সে বিষয়ে একটি সমাধান করে দেবেন। আমরা গ্রামের শান্তি চাই।’

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন অহত হয়েছে। বর্তমানে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিত্তিপাড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

;

মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা মাইন ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা দুইটি মাইন ও একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট বিস্ফোরণ ঘটায় ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় ক্যানেলের পাশের এক পতিত জমি খননের সময়ে শ্রমিকরা থ্রি নট থ্রি রাইফেলের যন্ত্রাংশ, দুইটি মাইন ও একটি মটরসেল দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী জানাজানি হলে সবাই দেখতে ছুটে আসেন। সেসময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে। পরে বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দিলে তারা এসে বিস্ফোরণ করেন। ধারণা করা হয় উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল।

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল। সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে সেগুলো বিস্ফোরণ করেন।

;

নওগাঁয় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় তীব্র তাপদাহ হতে রক্ষা ও বৃষ্টি চেয়ে এবং জনজীবনে স্বস্তির আশায় নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে সালাতুল ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয় । এই নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হয় বিভিন্ন এলাকার শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় শেষে আল্লাহপাকের রহমত কামনা করে তাপদাহ থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা এবং বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিগণ।

নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি তরিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে তীব্র তাপদাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ধান ও আমের গুটির জন্য মারাত্মক ভয়ঙ্কর এই আবহাওয়া। এই মুহূর্তে বৃষ্টির পানির ভীষণ দরকার। তাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট বৃষ্টির পানি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেছেন তিনি।

শাহারিয়ার শান্ত বলেন, হাদিসে রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দুইটা সময় জাহান্নাম নিশ্বাস ছাড়ে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে। অতিরিক্ত শীত যখন হয় তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অতিরিক্ত গরমেও সমস্যার সমাধানে দোয়া করা হয়। অতীতে আরব দেশে যখন এমন প্রখর রোদ আর গরম ছিল তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরম থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সাহাবাদের নিয়ে এভাবেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। বৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সবািইকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

মাওলানা আব্দুল মুকিমের ইমামতিতে ইসতিসকার দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবং সব মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়।

;

পিরোজপুর বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির জন্য অঝোরে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলেন পিরোজপুর তাফহিমুল কোরআন মাদ্রাসার মাঠে নামাজ আদায় করতে আসা শতশত মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) সকাল ৮টায় মাদরাসার মাঠে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ নামাজে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতশত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

নামাজের ইমামতি করান বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এর খতিব মাও: আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি
বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। নামাজের মাধ্যমে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলে আল্লাহ তা বান্দাদের দিয়ে থাকেন। তাই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য এই আয়োজন।

;