হান্ড্রেড পার্সেন্ট আই অ্যাম নট গিল্টি: সাবাব



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: ‘আই অ্যাম নট গিল্টি। এটা স্রেফ ষড়যন্ত্র। প্রত্যক্ষদর্শী কেউ একজন আমার সামনে এসে এসব বলুক। প্রয়োজনে আমি নোয়াখালী থেকে যেকোন মুহূর্তে ঢাকা চলে এসে ফেস করবো। সামনে ইলেকশন, এর কারণে এই ষড়যন্ত্র। আমি এসব প্রত্যক্ষদর্শীদের চিনি না। দিস ইজ পলিটিক্স ইন বাংলাদেশ। ইউ নেভার নো, কে কখন কার পেছনে লাগে। তবে আমাদের গাড়ি কারণে যে পরিবারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সকল দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা আমার। আবারও বলছি- হান্ড্রেড পার্সেন্ট, আই অ্যাম নট গিল্টি।’’

বৃহস্পতিবার (২১ জুন) রাত ৮ টায় বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেন সাবাব চৌধুরী। এর মাধ্যমে এই প্রথম বুধবারের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কোন গণমাধ্যমে নিজের বক্তব্য ধরলেন সাবাব।

এমপি পুত্র সাবাব চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ‘‘সত্যি বলছি, আমি ওই ইনসিডেন্টে ছিলাম না। আমার ড্রাইভার এটা করে পালিয়েছে। কোন সলিড প্রুভ কারও কাছে নেই যে-আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। ঘটনার দিন আমি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নদী পরিদর্শনে ছিলাম। ও এলাকার ছাত্রলীগ সভাপতি আমার সঙ্গে ছিলো। তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

‘‘আমাদের পরিবারের ৬ টি গাড়ি। ১৯ জুন ঘটনার রাতে আমার আম্মু উত্তরাতে তার বান্ধবীর বাসায় ওই গাড়িতে একটি পার্সেল পাঠাতে দিয়েছিলেন। আমার ড্রাইভার একা ছিলো। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে এক্সিডেন্ট করেছে। পরে ভয়ে সে গাড়িটি রেখে পালিয়ে গেছে। তাকে খুঁজে বের করার ১০০ ভাগ চেষ্টা চালাচ্ছি।

সাবাব মনে করেন, ‘‘ভাইরাল হওয়ার জন্য কেউ তার বিরুদ্ধে মনগড়া কথা বলে দিয়েছে। এগুলো সাধারণ মানুষজনই করে। ওরা চায়  ফেমাস হতে। আর পাবলিক এটেনশন পাওয়া জন্যও এসব করেছে।’’

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ তার পূর্ব-পরিচিত নয়-এমনকি কারও বাড়ি এক জায়গায় নয়, তাহলে কেন বলবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাবাব বলেন, আওয়ামী লীগের পার্টি সেক্রেটারির বাড়ি নোয়াখালী, এক্স-সেনা প্রধানের বাড়ি নোয়াখালি, পারটেক্স গ্রুপের মালিক হাশেম সাহেবসহ অনেক শিল্পপতির বাড়ি নোয়াখালি.. তাই নোয়াখালির মানুষজন শুধু নোয়াখালি থাকেন না দেশের অনেক জায়গায় ছড়িয়েছেন। অনেক ভাবেই একটা ঘটনা মেলাতে হবে। তাই এটা বোঝা মুশকিল যে কে কোথায় কিভাবে কি করলো?’’

ঘটনার দেড় দিন পরে নিজের অবস্থান কেন তুলে ধরছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাবাব বলেন, ‘এতকিছুর পর স্বাভাবিকভাবে মেন্টালি শকড হয়ে পড়েছিলাম। আমার আব্বুর জনসভায় গতকালকেও ৫০ হাজারের বেশি মানুষের উপস্থিতি ছিলো। এরকম দুর্ঘটনা ঘটলে আব্বুর জনসভায় এতো মানুষজন হতো না।

এ ঘটনায় সাবাব ছিলেন না তার কি প্রমাণ আছে এমন প্রশ্নের জবাবে সাবাব বলেন, ‘‘নোয়াখালীর সুবর্ণচর ছাত্রলীগের সভাপতিকে জিজ্ঞেস করুণ। তিনি আরও চ্যালেঞ্জ করেন, মহাখালি থেকে সংসদ ভবন যত সিসিটিভি ফুটেজ আছে সব পরীক্ষা করে দেখুন আমি ছিলাম কি -না ওই ঘটনায়।’’

সাবাব বলেন, ‘আমি সবকিছু সত্য বলছি। আমার ক্যারিয়ার এবং পার্সোনালিটি আছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে, তারা সব সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করুক।

ওই সন্ধ্যা বা রাতের কোন ছবি বা ফুটেজ আছে- যাতে প্রমাণ হয় আপনি নোয়াখালিতে ছিলেন? যা দেখে বোঝা যাবে আপনি এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না,-এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি ওই সময় নোয়াখালি অবস্থানের কোন ছবি তুলি নাই।’’

সাবাব বলেন, যেহেতু আমার পরিবারে গাড়ি দিয়েই এই দুর্ঘটনা হয়েছে। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় আমি ওই পরিবারের পাশে দাঁড়াবো। তাদের সঙ্গে আমরা নেগোসিয়েশনে যাবো। মামলা করে সব সময় সবকিছু সমাধান হয় না। তাই ওই পরিবারের সব দায়িত্ব নেওয়ার আমার ইচ্ছা আছে।’’

 তিনি প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ‘একটা মোটরসাইকেল কি করে অডি জিপের সাথে ধাওয়া করে পেরে উঠে? বাইকে এটা সম্ভব নয়। যা বলছে প্রত্যক্ষদর্শী বাইকার।

সাবাব মনে করেন, গাড়িটির নাম্বার যেহেতু দুর্ঘটনাস্থলে পরে ছিলো। আর ৩ থেকে ৪ মিনিটের তা ফেসবুকে ছড়িয়েছে। সে কারণে ওই নাম্বার প্লেট দেখে কেউ পেছনে লেগেছে। যা সম্পূর্ণ পলিটিক্যালি একটা ঘটনা। আর সেখানে আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম তার কোন প্রমাণ নেই।’’

‘‘হয়তো ওই বাইকার লোকটা পাঠাও বাইকার। যে কারণে সবসময় তার ইন্টারনেটে থাকতে হয়। বিভিন্ন ট্রাফিক গ্রুপগুলোতে সে থাকে এবং চেক করে। এভাবে সে পোস্ট করার পর কেউ তাকে আমার পেছনে লাগিয়ে দিয়েছে। ওভাবে এটা ছড়াতে পারে। এটা হতে পারে বলে আমি মনে করছি’’-সাবাব বলেন।

তিনি বলেনে, ‘‘আমার নামে যা উঠার উঠুক, এখন আমার প্রথম কাজ হলো যেহেতু আমার পরিবারের গাড়িতে দুর্ঘটনা হয়েছে তাই আমি সেই ফ্যামেলিটাকে দেখবো। ওই পবিারের ক্ষতির পাশে দাঁড়াবো।’’

দেশের বাইরে এখনই যাচ্ছে না জানিয়ে বলেন, ‘‘আমি নিউজিল্যান্ড যাচ্ছি না। যদি অ্যাক্সিডেন্ট আমি করতাম তাহলে ওইদিনই চলে যেতে পারতাম। হান্ড্রেড পার্সেন্ট আই অ্যাম নট গিল্টি। আমার এখন কোন নিউজিল্যান্ড যাওয়া নেই।’’

নিজের পরিচয় তুলে ধরে সাবাব বলেন, ‘‘আমার আব্বু সাকসেসফুল সংসদ সদস্য, আপনি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে খবর নেন, আমার জিপিএ ৩ দশমিক ৪। ৪ এর মধ্যে এই রেজাল্ট তার মানে ৯৩ ভাগ। ইটস নট এ জোক। আমি সিঙ্গাপুরে সেরা হাইস্কুলে পড়েছি। আমি কোন ড্রাগি না। আমার অনেক রেসপনসিবিলিটি আছে। আমর ফেসবুকে ৩৬ হাজার ফলোয়ার আছে। এগুলো কি উড়ে উড়ে আছে। নোয়াখালিতে একবার এসে জিজ্ঞেস করেন কে সাবাব চৌধুরী?

‘‘আমার অতীত কোন খারাপ রেকর্ড নেই। গুলশান বনানীতে কোন সময়ই কোন আড্ডা ছিলো না। এ ব্যাপারে কোন সলিড প্রুভ কারও কাছে নেই। আমি গাড়ি চালাইনি। আছি ছিলাম নোয়াখালিতে। আর আমি নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসছি ৫ মাস পর। গত ৭ জুন দেশে আসি আর ১১ জুন নোয়াখালিতে আসছি। ১২ জুন ৬০ হাজার মানুষকে নিজ হাতে একটা শাড়ি, লুঙ্গি ও ১০০ টাকার বিলিয়ে দিয়েছি।

   

কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনুস আলী (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার (১৮ মে) সকালের দিকে উপজেলার খোর্দ্দ বনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউনুস আলী কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দ বনগ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ৭টার দিকে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মুক্তার আলী ও তার লোকজন মিলে ইউনুস আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউনুসকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন, তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, সকালে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ইউনুস আলী জখম হন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান।

তিনি আরও জানান, নিহত ইউনুস আলী ও মুক্তার আলী একে অপরের আত্মীয়। সম্পর্কে বেয়াই। তাদের উভয়ের ছেলে মেয়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি বিরাজ করছিল। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

;

২৮ বছরে ঢাকার সবুজ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের রাজধানী ঢাকায় গত ২৮ বছরে সবুজ এলাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ, অন্যদিকে জলাভূমিও নেমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী সম্মেলনে এই তথ্য জানা যায়।

বিআইপির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা শহরের সবুজ এলাকা এবং জলাভূমি কমেছে সেই সঙ্গে দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ, যা শহর এলাকার তাপমাত্রা বাড়িয়ে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাবও বাড়ছে। দেশে চলমান যে তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে তার মূল কারণ নগরে সুবজায়ন কমে যাওয়া।

বাংলাদেশের মতো ক্রান্তীয় আর্দ্র জলবায়ুর দেশে নগর পরিকল্পনায় সাধারণ মানদণ্ড অনুযায়ী একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকা বাঞ্ছনীয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গত বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাড়ার কথা ছিল ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিআইপি-এর গবেষণা অনুযায়ী ঢাকায় কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে। ফলে সার্বিকভাবে ঢাকার পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে নেতিবাচকভাবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল সরোয়ার জানান, তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, শ্রমিকের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, অবনতি হয়েছে কৃষি উৎপাদনে, ব্যাহত হয় শিল্প প্রক্রিয়া, তাপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন অবকাঠামো।

তিনি আরও জানান, চলমান তাপপ্রবাহকে চরম আবহাওয়াগত পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাপপ্রবাহ মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ২০২৪ সালে সমগ্র বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

অনুষ্ঠানে নগর গবেষণা কেন্দ্রে সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে ছিলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বিআইপির সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান স্থাপতি ইকবাল হাবীব।

;

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি জানান, ধোলাইখালে চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা। 

;

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নওগাঁর সাহাগোলার ‘মটকা চা’



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ আত্রাই উপজেলার সাহাগোলার মোড় স্টেশন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মটকা চা’। দুধ, চিনি ও বিভিন্ন মসলার সংমিশ্রণে তৈরি এ চা খেতে প্রতিদিন স্টেশনে ভিড় করেন চা-প্রেমীরা। মাটির ছোট্ট হাড়িতে পরিবেশন করা হয় এই মটকা চা।

সরেজমিনে শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সাহাগোলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মাটির তৈরি ছোট্ট পাতিল প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে জ্বলন্ত চুলায় গরম করা হচ্ছে, এবং উত্তপ্ত গরম হয়ে গেলে সেটিকে আবার নামিয়ে ভেতরে দুধ ঢালা হচ্ছে, এরপর বিভিন্ন ধরনের মসলা ও শেষে দেওয়া হচ্ছে দুধের সর। এভাবেই পরিবেশন করা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের মসলা দিয়ে তৈরি মটকা চা।

জানা গেছে, দেশে প্রথম মটকা চায়ের আবির্ভাব ঘটে রাজধানী ঢাকার মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ‘মটকা চা এবং মোমো’ ক্যাফেতে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এটির যাত্রা শুরু হয়। মাটির পেয়ালায় পরিবেশন করা হয় এই মটকা চা। এই চায়ের মূল আকর্ষণ হলো মাটির পেয়ালা। ভিন্নধর্মী স্বাদের এই চা পান করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে যেতেন চা-প্রেমীরা। তবে এখন এই মটকা চায়ের বিস্তার দেশের অনেক প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। চায়ে নিজস্ব অনেক ইতিহাস থাকলেও মটকা চায়ের স্পষ্ট কোনো ইতিহাস অদ্যাবধি জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই মটকা চা প্রথমে রাজস্থান থেকে এসেছে। ভারতে প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ মটকায় চা পান করে। ভারতের মটকা চা ব্যাপক জনপ্রিয়। মূলত উৎপত্তিস্থল ভারতে।

মটকা চা খেতে আসা ছামিউল (২৮) বলেন, আমার বাড়ি নিয়ামতপুর উপজেলায়। শুনেছি সাহাগোলার মটকা চায়ের অনেক স্বাদ তাই কয়েক বন্ধু মিলে আজকে খেতে চলে এসেছি। চায়ের পাশাপাশি এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। তবে স্থায়ী জায়গা যদি করা যেত তাহলে আরও দূর থেকে মানুষজন এসে নিরাপদে খেতে পারতো।


আফরিন বলেন, আজকেই প্রথম এসেছি এখানে। জায়গাটা অনেক সুন্দর, আর পাশেই রেল-স্টেশন আছে। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে। মটকা চা আমি আগেও খেয়েছি, তবে এটির আলাদা মজা পেলাম খেয়ে। আবারো আসবো খেতে।

খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক ভিড় এবং দোকানিও অনেক। আমার কাছে পরিবেশ ভালো লেগেছে, তবে চায়ের মান আরও উন্নতি করা দরকার।

এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আকমল বলেন, আমাদের এখানে এতো লোকসমাগম হতো না, কিন্তু যখন থেকে মটকা চা আর মালাই চা শুরু হয়েছে, তখন থেকেই এলাকাটা বেশ পরিচিত হয়ে গেছে। আমাদেরও ভালো লাগে, যখন দেখি দূর থেকে মানুষ চা খেতে আসে।

দোকানী আতাউল ইসলাম বলেন, প্রায় ২ বছর আগে সাহাগোলায় সর্বপ্রথম মটকা চা আমি বানানো শুরু করি। এখন ১৫টির অধিক দোকান আছে সেগুলো তখন ছিল না। আমরা সব সময় চেষ্টা করি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চা পরিবেশন করতে। ভালো লাগে বলেই অনেক দূর থেকে মানুষ এসে আমাদের চা খায়।

আরেক দোকানি রনি বলেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার বেশি ভিড় হয় এবং বিক্রি ভালো হয় বিধায় লাভও থাকে। এটি আমি ১ বছর ধরে বিক্রি করি। আতাউল ভাই শুরু করেছিল। লাভ মোটামুটি ভালোই হচ্ছে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সাহাগোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে, যেহেতু অনেক লোকজন আসেন। এখানে শুধুমাত্র চা বিক্রি হচ্ছে না, পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন বেড়াতেও আসছেন। এটা নিয়ে আমরা ভাবছি।

;