জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জাপানের সাথে আমাদের দেশের সম্পর্ক অনেক ভালো। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে অনেকগুলো প্রজেক্টে কাজ করছে জাপান।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইটোর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জাপানের যে প্রজেক্ট গুলো আছে সেগুলো পরিদর্শন, কিভাবে চলছে এবং কবে নাগাদ শেষ হবে এসব তথ্য জানার জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইটো এসেছেন। বর্তমানে জাপানের সাথে আমাদের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান। এসকল প্রকল্প আমাদের বিনিয়োগ প্রকল্প, এগুলো থেকে সুফল নিশ্চিত। আগামীতেও তাদের সাথে আমাদের আরও বেশি বেশি মেগা প্রকল্পে কাজ করার প্রত্যয় রয়েছে। জাপান সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে এবং এমওইউতে সুদের হারও কম থাকে। জাপানের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকে না। তাই জাপানের সঙ্গে কাজ করা অনেক সহজ। আগামী ১৬ তারিখে তারা তাদের পুরো প্রতিনিধি দল নিয়ে আসবে।
এর পূর্বে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের একটি প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দাবি ছিল পিপিলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (পিএলএফএস) অবসায়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং ক্ষুদ্র ও ব্যক্তি আমানতকারীদের সঞ্চয় ফেরত দেওয়া। তারা জানিয়েছেন, পিপলস লিজিংয়ের ক্ষুদ্র আমানতকারীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রেখে, এখন তা ফেরত না পেয়ে চরম অসহায় অবস্থায় দিন পার করছে। এ অবস্থায় হাজারো আমানতকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে। একটি অসাধু চক্র এ কাজটি করেছে। আজ যারা এসেছে এরা মূলত এক পক্ষ, এরা বিনিয়োগকারীরা। তাদের সমস্যাটাই আসলে বেশি।
গত রোববার (৩ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনা: ২০১৯-২০ অর্থবছর প্রারম্ভিক মূল্যায়ন’ করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে ‘সুতা কাটা ঘুড়ি’র সঙ্গে তুলনা করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের আর তাদের অবস্থান একরকম নয়। আমাদের অবস্থান আমাদের দেশের জনগণের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য। আমি গুণ কীর্তন করব দেশের জনগণের।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে ছিল। সেটা কমে এখন ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এই যে দরিদ্র দূর হলো, এটা কিসের হাত ধরে হয়েছে। স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আর কোনো রকম ম্যাজিকতো আমাদের হাতে নাই। সিপিডি বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করলে খুশি হওয়া যেত। এখন সারাবিশ্বে একটা টানাপড়েন চলছে। সারাবিশ্বে একটা বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে। ইউরোপে ব্রেক্সিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটা অস্থিরতা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে আমাদের রফতানি বাণিজ্য একটু ঝুঁকির মধ্যে থাকবেই। চরম বৈশ্বিক মন্দার সময়ও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে থাকেনি। এই পরিস্থিতিও আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অবশ্যই মোকাবিলা করতে পারব।