বরিশালে লঞ্চ চলাচল শুরু
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবিতে ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি একদিন পরই প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বরিশাল নদীবন্দর থেকে স্থানীয় ও অভ্যন্তরীণ ১১টি রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে অন্যান্য দিনের মতোই যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে লঞ্চগুলো। সকাল ৮টা পর্যন্ত বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ভোলা, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন রুটে মোট ৭টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিনব্যাপী নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি থাকায় যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। লঞ্চগুলো ঘাটে নোঙর করার সাথে সাথেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভরে যাচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বরিশাল নদীবন্দর ত্যাগ করতে হচ্ছে লঞ্চগুলোকে।
সালমা নামে এক যাত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'শনিবার সকালে মেহেন্দীগঞ্জে যাওয়ার জন্য বরিশাল লঞ্চঘাটে আসি। এসে দেখি লঞ্চ চলাচল বন্ধ। পরে আবার আত্মীয়র বাসা ফিরে যাই। রোববার আবার মেহেন্দীগঞ্জ যাওয়ার আসছি এবং লঞ্চের টিকিট সংগ্রহ করেছি।'
এমভি সঞ্চিতা লঞ্চের মাস্টার মো. শাহে আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, কেন্দ্রীয় নৌযান শ্রমিক নেতাদের অনুমতিতেই সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে গেছে কয়েকটি লঞ্চ।
কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শেখ আবুল হাসেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লঞ্চ মালিক ও শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ফলপ্রসূ আলোচনার প্রেক্ষিতে সারা দেশে চলমান নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বরিশালের সব নৌরুটে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে খোরাকি ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তাসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন নৌযান ফেডারেশনের শ্রমিকরা।