‘সড়কে চাপ কমাতে নদীপথের ব্যবহার বাড়াতে হবে’
সড়কে চাপ কমাতে নদীপথের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তাদের নদীর সর্বোচ্চ ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পতেঙ্গা ওয়াটারবাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে চালুর জন্য অপেক্ষমাণ ওয়াটার বাসযোগে সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর ঘুরে দেখেন মেয়র। এসএস ট্রেডিং নামে একটি বেসরকারি সংস্থা বিমানযাত্রী ও পতেঙ্গা এলাকার যাত্রীদের জন্য বিশেষ এ প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
মেয়র নাছির বলেন, এই সেবাটিতে যেমন মানুষের সময় বাঁচাবে তেমনি শব্দ ও বায়ুদূষণ থেকে যাত্রীদের রক্ষা করবে। এতে শহরের রাস্তার ওপর থেকে অনেক চাপ কমবে যা মানুষের জীবনের গতিধারাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মানুষের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে নদীপথ একটু বিপজ্জনক। আসলে নদীপথ যে সড়ক থেকে আরও অনেক বেশি নিরাপদ তা আমাদেরকে বুঝতে হবে।
এ সময় রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, ওয়ার্ড কমিশনার সালেহ্ আহমেদ ও হাসান মুরাদ বিপ্লব, বাংলদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান চৌধুরী, এসএস ট্রেডিং এবং টিএস ড্রেজিং-এর পিআর এডভাইজার সাহেলা আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার যাত্রী চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করেন। যাত্রীদেরকে প্রচণ্ড যানজট উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর যাতায়াত করতে হয়।
এসএস ট্রেডিং-এর এমডি সাব্বাব হোসেন জানান, বিমান যাত্রীদের নিরাপদে ও ৩০ মিনিটের মধ্যে বিমান বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওয়াটার বাস সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীদের আনা-নেয়া করবে। প্রতিটি ওয়াটার বাসের ধারণ ক্ষমতা ৩০ জন। ২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস রয়েছে যা পতেঙ্গা জেটি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রীদের আনা-নেয়া করবে। বিমানবন্দরের ফ্লাইটের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এ সার্ভিস চালু থাকবে।
সাব্বাব হোসেন বলেন, সদরঘাটে একটি অত্যাধুনিক শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতল টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং লাউঞ্জের ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রীরা তাদের লাগেজ কাউন্টারে জমা দিলে ওয়াটারবাস কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে তাদের লাগেজ চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং বিমানবন্দর থেকে সদরঘাট পৌঁছে দেবে। প্রকল্পটি শিগগির চালু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।