ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে ৯৩ জন কোটিপতি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আগের নির্বাচনের তুলনায় এ সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ (৫ম নির্বাচনে ছিলো ৩৭ জন)।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ১৭ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৬ জন কোটিপতি।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি সোমবার (৬ মে) উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্থাবর সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন গোপালগঞ্জ সদরের কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, তার মোট অস্থাবর সম্পদ ২৫.২৪ কোটি টাকা। তালিকার দুইয়ে কাউনিয়া উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম (২০.৩০ কোটি টাকা)। তিনে আছেন আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদের মূল্য ১৮.৮৫ কোটি টাকা। আতাহারের পিতা একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য।
এছাড়া নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৯.৮৬ শতাংশই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১.১৯ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন কৃষি কাজকে। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে আইনজীবী (৬.৩২ শতাংশ) ও শিক্ষক (৪.১৫ শতাংশ)। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের অর্ধেকের বেশি (৬৯.৫৯ শতাংশ) নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন চাকরিজীবী ও শিক্ষক। তাদের হার যথাক্রমে ৬.০১ শতাংশ ও শিক্ষক ৩.৮৪ শতাংশ।
সেই সঙ্গে স্থাবর সম্পদের হিসাবে দেখা যায়, কমপক্ষে ১ একর জমি আছে প্রথম ধাপে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫০ জন, যা মোট প্রার্থীর ৩৪.৪০ শতাংশ। তাছাড়া ২৬.৫৮ শতাংশ প্রার্থীর বাণিজ্যিক বা আবাসিক দালান আছে, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট আছে ৩৫.৫৮ শতাংশ প্রার্থীর। খামার বা বাগান রয়েছে এমন প্রার্থীর হার ৫ শতাংশ। অবশ্য তুলনামূলক চিত্র বিবেচনায় ক্রমান্বয়ে কমেছে কমপক্ষে এক একর জমি আছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা।
এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।