ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ৩০ এর অধিক কলেজ সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। গতকাল এই সংঘর্ষের ঘটনার পর আজ সকাল হতেই কবি নজরুল কলেজের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন।
জানা গেছে, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপ মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) উদ্দেশে রওনা করেছেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা 'মোল্লার চামড়া তুলে নিব আমরা' এমন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ৩০ এর অধিক কলেজ সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
জানা যায়, গত বুধবার ভুল চিকিৎসায় ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগে কলেজটির শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালায়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার কবি নজরুল ও সোহরাওয়াদী কলেজের ছাত্রদলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত ডিএমআরসি কলেজের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালায়।
আক্রমণের প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ডিএমআরসি কলেজ, নটরডেম কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজ, খিলগাও সরকারি কলেজসহ ৩০ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়াদী ও কবি নজরুল কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে এক পক্ষ অপর পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থী জানায়, আজ সকালে ডিএমআরসি ও আশেপাশের কলেজগুলো ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ করতে আসলে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা পুনরায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।