হজে যাওয়ার ৮ লাখ টাকা ছিনতাই



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর: পবিত্র হজ পালনে যাওয়ার জন্য ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার ৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারী চক্র।

রোববার দুপুরে রংপুর মহানগরীর পায়রা চত্বরে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের গেটের সামনে ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে।

নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, নগরীর সাতগাড়া মাস্টার পাড়া এলাকার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন আলী ও স্ত্রী লাভলী বেগম হজে যাওয়ার জন্য আল-আরাফাহ ব্যাংকের ওই শাখা থেকে ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে। পরে ব্যাংক থেকে বের হয়ে ব্যাগ মোটরসাইকেলে রাখে। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছিনতাইকারী চক্রটি টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে মাটিতে বিভিন্ন ধরনের বেশ কিছু নোট পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ছিনতাইকারীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে টার্গেট নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা কৌশল হিসেবে আগেই রাস্তায় টাকা ফেলে রেখেছিল। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ছিনতাইয়ের শিকার মহসিন আলী জানান, আগামী ১৪ জুলাই তিনি তার স্ত্রীসহ হজ পালনে রওনা হবেন। হজে যাওয়া এবং পারিবারিক বিভিন্ন খরচাদি মেটানোর জন্য ব্যাংকে এসে ৮ লাখ টাকা তুলে নিচে নামতেই ছিনতাইকারীরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পাশেই এসপি অফিস এবং রংপুর মহানগরীর সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা খুবই আশ্চর্যজনক। তিনি তাদের হজ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার এবং টাকা উদ্ধারের দাবি জানান।

এদিকে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সূত্র জানায়, গত ২৭ মে ওই শাখার ভেতরে টাকা জমা দিতে এসে আরবি ট্রেডার্সের মালিক শফি মিয়ার ১ লাখ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। ওই ছিনতাইকারীকে জমাদানকারী ব্যাংকের স্টাফ হিসেবেই জানতেন। ওই ঘটনায় টাকা চুরির ব্যাপারে মামলা করতে গেলেও কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ।

এ বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. ইব্রার বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজসহ আনুষঙ্গিক নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগেও এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি জিডি করেছিলাম।’

   

রংপুরে অসময়ে তিস্তায় ভাঙন: নির্ঘুম রাত কাটে গ্রামবাসীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অসময়ে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী গদাই, পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দাদের।

ইতোমধ্যে, নদীভাঙনে কাউনিয়ার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই পাঞ্জরভাঙ্গা, গ্রামের বেশকিছু বসতভিটা ও ১শ হেক্টর ফসলি জমি আর গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

জানা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে অনেকেই রাস্তার ধারে অথবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন। নদীতে তেমন পানি নেই অথচ অসময়ে শুরু হয়েছে ভাঙন।

অসহায় এলাকাবাসীর দাবি, ত্রাণ নয়, নদীভাঙন থেকে তাদের বাপ-দাদার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল বাড়ি-ভিটা রক্ষা করার। তবে তাদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না।

জানা যায়, কাউনিয়া উপজেলার গদাই, পাঞ্চরভাঙ্গা, চর ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চর হয়বৎখাঁ, চরগনাই, তালুকশাহাবজ, নিজপাড়াসহ নদী তীরবর্তী গ্রামের হাজার হাজার পরিবার ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে তিস্তার কড়াল গ্রাসে পাঞ্চরভাঙ্গা গ্রামের কয়েকটি বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালা ও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বর্তমানে ভাঙন আতঙ্কে আছেন আজিজুল, হাফেজ, শুরুজ আলি, তারা মিয়া, বাবুল, শহিদুল, রাজ্জাক, ফুল মিয়া, আলেফ, শাহিন, মোস্তাক, আমজাদ, ওসমান, রফিকুলসহ আরো অনেকেই।

ভাঙনের খবর পেয়ে বুধবার (১৫ মে) পরিদর্শনে আসেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর, মো. আহসান হাবীব, ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, রংপুর মো. আখিনুজ্জামান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বালাপাড়া ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম, মো. আনোয়ার হোসেনসহ গ্রামের শত শত মানুষ।

পরিদর্শন শেষে প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, ১শ ৯০ মিটার পাড় টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ চলমান। সেখানকার যায়গা ভালো আছে। বাকি জায়গায় জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জিও ব্যাগ বরাদ্দ এনে ভাঙনের গতিপথ কমানোর চেষ্টা করবো।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিদুল হক জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ভাঙন রোধে যা যা করণীয়, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

;

নেত্রকোনা জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগ



অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতির মহোৎসব চলছে নেত্রকোনার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ে। টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও জালিয়াতি, ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়া, ঠিকাদারদের মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগের পর সম্প্রতি উঠেছে টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগও। অভিযোগের কেন্দ্রে নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমানের নাম। আর প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ দেখেও করছেন, না দেখার ভান। সূত্র জানাচ্ছে এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ গেছে।

টেন্ডার জালিয়াতির বিষয়ে মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ জমা পড়েছে এমনটা নিশ্চিত করে সূত্র জানায়, অভিযোগপত্রে, কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ, টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ করছেন এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগও রয়েছে মশিউরের বিরুদ্ধে।

তবে সব অভিযোগ ছাপিয়ে বড় অভিযোগ হিসেবে সামনে এসেছে টেন্ডার জালিয়াতি প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে জমাকৃত লিখিত অভিযোগে বলা হয়, নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ডিপ টিউবওয়েল বসানোর প্রকল্পে এই জালিয়াতি করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান। প্রকল্পের নাম- Installation of 10 Nos 100 mm x 38 mm Deep Tubewell with Submersible Pump at Different Upazilas of Netmkona Distries under revenue budget)।

বলা হয়েছে, একই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্যত্র ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়, সেখানে এই নির্বাহী প্রকৌশলী খরচ দেখাচ্ছেন ১৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

এছাড়া মেসার্স সানি ট্রেডার্স (মি. শফিক) নামে তিনি ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন। অভিযোগ মশিউর রহমান ও শফিক যৌথভাবে ভুয়া সনদ তৈরি করেন। যা কলমের খোঁচায় সঠিক বলে প্রত্যয়ন করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর নিজেই। ই-জিপি সিস্টেমে তা আপলোড করেন এবং মেসার্স সানি ট্রেডার্স (মি. শফিক) এর নামে মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাঠান।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিষয়টি তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে অবহিত করা হলেও মশিউর রহমান মূল্যায়ন প্রতিবেদনটি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি প্রধান প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়ে দেন। একে অপরাধ ও প্রতারণামূলক উল্লেখ করে বলা হয়, এমন দুর্নীতি গোটা সিস্টেমকে কলুষিত করছে।

অভিযোগপত্রের সঙ্গে জাল সার্টিফিকেটের কপি সংযুক্ত করা হয়। সনদপত্রে দেখানো হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ৫৩টি টিএসপির কাজ করেছে মেসার্স সানি ট্রেডার্স (মি. শফিক)। অথচ সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবারাহ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে। তার মানে প্রকল্প শুরু হবার আগেই এই কাজ করা হয়েছে। যা মিথ্যা। ঠিকাদার ও নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান মিলে কাগজপত্র জাল করেছেন, যা পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ১২৭ অনুযায়ী মারাত্মক ধরনের পেশাগত অসদাচরণ এবং উপবিধি ৮ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এছাড়াও এই অভিযোগপত্রে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে, অভিযোগ উঠেছে প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত রয়েছেন। তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে জেনেও কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযোগ উঠছে তিনি নিজেও জড়িত থাকতে পারেন এই দুর্নীতির সঙ্গে।

এসব অভিযোগে বিষয়ে জানতে জনস্বাস্থ্যের তুষার মোহন সাধু খাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন এই প্রতিবেদক। ভিন্ন ভিন্ন নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কোনো ফোনকলই রিসিভ করেননি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগের বিষয় জানিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন ধরনের উত্তর দেননি।

এ বিষয়ে অবগত আছেন কিনা জানতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহীমকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনিও রিসিভ করেননি।

এর আগে, বার্তা ২৪.কমে নেত্রকোনা জেলার জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান এর দূর্নীতি নিয়ে ‘জনস্বাস্থ্যের ‘রাঘববোয়াল’ মশিউর, টেন্ডার দিতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েও প্রতারণার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

প্রতিবেদনে নেত্রকোনার মদন ও খালিয়াকুরী উপজেলার ৩০টি ওয়াশব্লক মেরামত কাজের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বুয়েট শাখার সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ বাবদ ৩ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগের তথ্য উঠে আসে। এছাড়া টাকা নিয়েও কাজ না দিলে সেই টাকা ফেরত চাইলে ঘুষদাতার ওপর চড়াও হন তিনি।

সেবারও চিফ ইঞ্জিনিয়ার বরাবর অভিযোগ গেলে মশিউর দম্ভ করে বলেন, যা খুশি কর, ওইসব চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমার কিছুই করতে পারবে না।

এছাড়াও কলমাকান্দাতে হাওর প্রকল্পের ৫০টি নলকূপ বসানোর কাজ না করেই বিল উত্তোলনসহ ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জামালপুরে বাড়ি নির্মাণ করা ও বিভিন্ন কারণে স্টাফ এবং ঠিকাদারদের সাথে দুর্ব্যবহার, অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউরের বিরুদ্ধে।

সে সময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মশিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এসব অভিযোগ ভুয়া। যে অভিযোগ করেছে ওই নামের কাউকে আমি চিনিও না, জানিওনা।

ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তার রশিদ অভিযোগপত্রে সংযুক্ত রয়েছে, আপনি যদি তাকে না চেনেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে অপরিচিত কেউ কেন এত টাকা দিলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই টাকাটা আমার স্টাফ জমা দিয়েছে। সেখানে একটা স্বাক্ষর আছে, সেটা আমার হিসাব সহকারীর। যদি সেই ঠিকাদার জমা দিতো, তাহলে তো তার স্বাক্ষর থাকতো। আমার হিসাব সহকারীর স্বাক্ষরতো আর থাকতো না।

আপনার হিসাব সহকারী বা আপনার অফিসের স্টাফ যদি টাকা জমা দেয়, তাহলে সেই টাকা জমার রশিদ কীভাবে অন্য কারো হাতে গেলো এমন প্রশ্নের জবাবে মশিউর বলেন, এটাতো আমি জানি না। এটা আমারও প্রশ্ন। কারণ ওই স্লিপটা আমার কাছেও আছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগকারী ঠিকাদার হাজী আব্দুল ওহাবের লিখিত পত্রটির কপি বার্তা২৪.কমের হাতে এসেছে। ‘নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান নগদ টাকা নিয়ে কাজ না দেওয়া প্রসঙ্গে (প্রমাণ সংযুক্ত)’ এমন শিরোনামে এই অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, আপনার নিকট নিবেদন এই যে, আমি নেত্রকোনা জেলার একজন তৃতীয় সারির ঠিকাদার। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে ছোট ও মাঝারি মানের কাজে অংশগ্রহণ করি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, নেত্রকোনার নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান এর কাছে কাজের কথা বললে তিনি মদন ও খালিয়াকুরী উপজেলার ৩০টি ওয়াশব্লক মেরামত কাজের প্রাক্কলন দেখিয়ে বলেন, এই কাজটি আপনাকে দিবো আপনি প্রস্তুতি নেন, ই-জিপি (E-GP) সিস্টেমে কিভাবে কাজ দিবেন এইটা বললে তিনি বলেন, ম্যানুয়াল টেন্ডার করে কোটেশন করবো। আপনি কাজটি করতে চাইলে আমাকে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে। তিনি আমাকে সোনালী ব্যাংক, বুয়েট শাখার একটি হিসাব নম্বর ৪৪০৪০৩৪১৬৬১২৪ দেন। ওই ঠিকানায় টাকা জমা দিয়ে মূল স্লিপ তাকে দিতে বলেন। কথা অনুযায়ী গত ৩ এপ্রিল সোনালী ব্যাংক নেত্রকোনা শাখায় গিয়ে টাকা জমা দেই এবং মূল স্লিপ উনাকে জমা দিয়ে ওয়ার্কঅর্ডার দিতে বলি।

অভিযোগে হাজী আব্দুল ওহাব আরও লেখেন, উনি (মশিউর) ৮ এপ্রিল দেখা করতে বলেন। ওই তারিখে উনার কাছে গেলে বলেন, এখন একটু সমস্যা আছে মাস দুয়েক দেরি করেন। আমার অনেক কষ্টের টাকা আমি ফেরত চাইলে আমার দিকে তেড়ে আসেন এবং বলেন যা খুশি কর ওইসব চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমার কিছুই করতে পারবে না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়াল বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি এ অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে বিষয়টি দেখব।

তিনি আরও বলেন, তবে আমার মনে হয় না বিষয়টা এমন। অনেক তো দুষ্টবুদ্ধির লোক আছে! ব্যাংকের স্লিপের বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে বলেন, তবে তার মানে এই না যে, এই টাকাটা সে ওখান থেকে নিয়েছে। যারা ঘুষ নেয়, আমার মনে হয় তারা ব্যাংকের মাধ্যমে নেয় না, অভিমত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর।

;

হাটহাজারীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা পি.পি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারীর জোবরা পি.পি কেন্দ্রের বাইরে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল আলম ও সোহরাব হোসেন নোমানের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় দুই পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরস্পরের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এসময় রেললাইনের পাশে আগুন দেওয়া হয়।

ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্বাভাবিক থাকলেও বাইরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, কেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স তাদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে। তবে এতে ভোট গ্রহণের কোনো সমস্যা হয়নি। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।

ফটিকছড়িতে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানও হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে নির্বাচনী সংস্কৃতি এখানে দেখা যায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থক এবং কর্মীদের মধ্যে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে। এর থেকে অনেক সময় দেখা তাদের মধ্যে হট্টগোল হয়ে থাকে। হাটহাজারীর জোবরা কেন্দ্রে এ ধরনের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সেখানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন এবং পরিস্থিতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোট গ্রহণে কোন সমস্যা হয়নি।

এদিকে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ তিন উপজেলায় ২১ জন প্রার্থী তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

;

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে স্কুল শিক্ষার্থী নাফিজা মোবারক মাদিহা (৮) ও তার আপন ভাই মো. ওমরের (৫) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুই সন্তানকে হারিয়ে তাদের মা-বাবাসহ স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন নিহতদের মা।

নিহত নাফিজা স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ও ওমর প্লে শাখার ছাত্র। তারা কামালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদের সন্তান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুর ঘাটে গেলে পা পিছলে ওমর পানিতে পড়ে যায়। এসময় ভাইকে বাঁচানোর জন্য নাফিজাও পানিতে নামে। এতে দু'জনেই পানিতে ডুবে যায়। পরে ওমর ও নাফিজাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) খুরশিদ আলম বলেন, 'ঘটনাটি মর্মান্তিক। একসঙ্গে দুটি সন্তানের মৃত্যু খুব বেদনাদায়ক। নিহতদের মা-বাবাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।'

;