উৎকণ্ঠায় সিলেটের মিসবাহ-কামরান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
(বাঁ দিক থেকে) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বদর উদ্দিন কামরান

(বাঁ দিক থেকে) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বদর উদ্দিন কামরান

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শেষ হয়েছে শনিবার (২১ ডিসেম্বর)। ২১তম সম্মেলনে পরবর্তী তিন বছরের জন্য দলটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বর্তমান সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ সম্পাদক পদেও কোনো পরিবর্তন আসেনি।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৪২ সদস্যের নাম ঘোষণা করেন নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা। কমিটিতে সিলেট থেকে একমাত্র নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন।

কমিটিতে স্থান হয়নি সদ্য সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের।

সিলেটের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান না পাওয়াতে উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন। সেই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকরাও হতাশ।

জানা গেছে, টানা তিনবার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবার আরও বড় পদে স্থান পাওয়ার আশা করেছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে আংশিক কমিটিতে স্থান হয়নি তার।

অন্যদিকে প্রায় তিন দশক সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতি পদ হারান কামরান।

এবারের সম্মেলনে কামরান সভাপতিমণ্ডলী বা সাংগঠনিক সম্পাদক হতে পারেন এমন ধারণা ছিলো তার অনুসারীদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারও স্থান হয়নি কমিটিতে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও বদর উদ্দিন কামরানকে পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগের সম্মেলন অংশ নেয়া কয়েকজন কাউন্সিলর জানান, আওয়ামী লীগের ৮টি সাংগঠনিক সম্পাদক পদের মধ্যে ৩টি পদ এখনো খালি। শেষ পর্যন্ত সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেতে পারেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বা বদর উদ্দিন কামরান। এক্ষেত্রে একজন বাদ পড়বেন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলেন, কারা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আসবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। দুই একদিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

   

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে: মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রজন্ম ’৭০ বাংলাদেশের প্রজন্ম সম্মেলন ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র এগারো দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। ’৭০’র সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন, চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। শুরু হয় হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে আজ তিনি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে।

প্রজন্ম ৭০ বাংলাদেশ-এর সভাপতি আশরাফুল করিম ভূঁইয়া সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন খান, বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ফসিহ উদ্দিন মাহতাব, সদস্য সচিব এস এম মাহাবুবুর রহমান, আলোক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন বক্তৃতা করেন।

;

বরিশালে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য। ঘটনাটি নগরীর রূপাতলী গ্যাস্টারবাইন পুলিশ বাড়ি সড়ক এলাকার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তানিয়া আক্তার। তিনি এ সময় দাবি করেন, তার প্রতিবেশী রিয়াজ ফরাজী ও বিএমপি’র (বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ) ওয়্যারলেস অপারেটর এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তার অনেকদিন ধরে একটি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।

এ ঘটনায় তিনি বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (এমপি নং ১৪৪)। পরে আদালত অভিযুক্ত রিয়াজ ফরাজী, আমিনুল ইসলাম, শহিদ ফরাজীকে ১৪৪/১৪৫ জারি অনুযায়ী, তাদের প্রতি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ জারি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া আক্তার আরো অভিযোগ করেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে এসআই মাইনুল তার লিখিত মতামত বাদী পক্ষের হয়ে কোর্টে জমা দেন। সে প্রেক্ষিতে আদালত ১৮৮ ধারা জারি করেন। ওই জমিতে কিছুদিন পর দালান নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপরে রিয়াজ ও তার দুলাভাই এএসআই আমিনুল ইসলাম ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলরের কাছে যান। তারা জমি মেপে যে সিদ্ধান্ত দেন, তা আমরা মানলেও তারা মানেননি।

পরে রিয়াজ ও তার দুলাভাই এএসআই আমিনুল ইসলাম তানিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের অ্যাডভোকেট ও আমিন দিয়ে সরেজমিন মাপজোখ করেন এবং প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্ত দেয় থানা পুলিশ।

সে সিদ্ধান্তও তিনি মেনে নিলেও তার প্রতিপক্ষ মেনে না নিয়ে উল্টো তানিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করে। তারা তানিয়াকে ধরতে না পেরে অন্তঃসত্তা ছোট বোন মুনিয়াকে বেধড়ক মারধর করে ফের তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

তানিয়া অভিযোগে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মামলাটি দায়ের করা হয়’। এটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা বলে দাবি করেন তানিয়া আক্তার। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করতে চাইলে শারীরিকভাবে অসুস্থ দাবি করে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

;

রাইদা বাসের চালকের লাইসেন্স ও বাসের ফিটনেস ছিলো না: র‍্যাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজধানীর বিমানবন্দর সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলমান রাইদা পরিবহনের বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে সিভিল এভিয়েশনের ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলামের নির্মম মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক বাস ড্রাইভার হাসান মাহমুদ হিমেল (২৫)'কে র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে বরিশালের হিজলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

র‍্যাব বলছে, চালক হিমেলের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিলো না। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাসুদ হায়দার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর থানার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের নির্মানাধীন অস্থায়ী বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহন এর একটি বাস দুর্ঘটনা ঘটায়। এসময় রাইসা পরিবহনের বাসটির সামনে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়া সিভিল এভিয়েশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীকে মোটরসাইকেলসহ চাপা দিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। পরবর্তীতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক মাহমুদ হাসান ও তার হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

মেজর মাসুদ আরও বলেন, দুর্ঘটনাটি ঘটার সংবাদ পাওয়া মাত্রই র‍্যাব-১ এর চৌকসদল ঘটনার ছায়া তদন্তে নামে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে একই এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে।

গ্রেফতার চালকের বরাত দিয়ে র‍্যাব-১ এর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যাত্রীবাহী বাস চালানোর জন্য তার লাইসেন্স ছিলো না। এমন কি গাড়ীর ফিটনেস সংক্রান্ত কাগজ ছিলো না। চালকের সহকারী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ শেষে তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এ দিকে নিহত ইঞ্জিনিয়ারের পরিবারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় চালক হাসানকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

;

উপজেলা নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক ফ্লেবার নেই: নির্বাচন কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের উপজেলা নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক ফ্লেবার নেই বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, এটা কোন রাজনৈতিক নির্বাচন নয়, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এখানে কোন রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ‍জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন ।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোন প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাধা দিতে না পারে এই ম্যাসেজ আজকের সভায় দিয়েছি।

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, দেখেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকলের সহযোগিতায় উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এটা আরও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে।

এই নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে জানিয়ে তিনি বলেন, ইভিএম হলো টিকার মতো, আগে অনেক ভয় থাকে, দেওয়ার সময় টেরও পায় না। ইভিএমে অত্যন্ত সহজ এবং ভোট শেষে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করে। এই পদ্ধতিতে ভোটের বাক্স ছিনতাইয়ের ভয় থাকে না, একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারে না ।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন , আপনারা দেখেছেন সিংড়া এলাকায় যে প্রার্থী তাকে আমরা ডাকিয়েছি , সঠিক উত্তর না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । নোয়াখালী এলাকায় একজন সংসদ সদস্য তার ছেলেকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন দেখে আমরা তাকেও সতর্ক করেছি এবং এই রকম আরও আছে তাদের প্রত্যেককেই বিরত থাকার জন্য বলেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞাসহ আরও অনেকে।

;