বঙ্গবন্ধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান: গণপূর্ত মন্ত্রী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের নয় সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, ‘গোটা জাতির জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় বাঙালি জাতির ইতিহাসে একজন মহামানবকে পাওয়া। সেই মহামানব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের নয়, সর্বকালের বাঙালি জাতির ইতিহাসে যতটুকু খোঁজ পাওয়া যায়, তার মতো মহামানবের জন্ম আর হয়নি। সে জন্য আমরা তাকে বলি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান।’
রোববার (১২ জানুয়ারি) আইন, আদালত ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপনের পর এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইতিহাস তুলে ধরে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরে যারা আমাদের দেশকে স্বীকৃতি দেয়নি তারাই কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেরদিন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলো। ফলে এর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে এটাই দাঁড়াল- তারা অপেক্ষা করছিল, শেখ মুজিবের মৃত্যু হলে বাংলাদেশকে স্বীকার করবে, এর আগে নয়। এই ব্যক্তিরাই কিন্তু একাত্তর ও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। তারাই কিন্তু পাকিস্তানের অবয়বে বাংলাদেশকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির মধ্যে নিয়ে আসার একটি চেষ্টা করেছিল। তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করা যাবে না বলে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স এবং পরে তা আইন করেছিল।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশা করি। যে প্রার্থীই নির্বাচিত হবেন তাকেই আমরা প্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেব। তবে আমাদের বিশ্বাস আমরা যে দুজন প্রার্থী দিয়েছি, তাদের দুজনের অভীষ্ট কর্মসূচি ঢাকা মহানগরীকে তিলোত্তমা, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাস, যানজটমুক্ত মহানগর গড়ে তুলবে।’
এ সময় ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রী সাধুবাদ জানান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রাজুর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন- অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ফারুক কাজী, আশুতোষ সরকার, ও সাঈদ আহমেদ খান, জ্যেষ্ঠ সদস্য মিজান মালিক,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশহুদুল হক ও মো. দিদারুল আলম দিদার প্রমুখ।