লালদীঘিতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পাঁচ আসামির ফাঁসি
তিন দশক আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভার আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কোতোয়ালি থানার তৎকালীন পেট্রোল ইন্সপেক্টর গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল (পলাতক), সাবেক পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, মো. আব্দুলাহ এবং মমতাজ উদ্দিন।
১৯ জানুয়ারি এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আত্মসমর্পণকারী চার আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাঁচ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি ৫৩তম সাক্ষী আইনজীবী শম্ভুনাথ নন্দী সাক্ষ্য দেন। সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন আদালত। আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেনি বলে আদালত রায় ঘোষণার সময় ঠিক করেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের সময় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় ২৪ জন নিহত হন। এছাড়া এ হামলায় আহত হন দুই শতাধিক।
১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। তবে বিএনপি-জামায়াত সরকার মামলার কার্যক্রম এগোতে দেয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দুই দফা তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।