পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান রওনা হয়েছে, বসছে আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে, ছবি: সুমন শেখ

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে, ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুমুখী পদ্মা সেতু থেকে: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান বসানো হবে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি)।

প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নির্ধারিত পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানোর জন্য মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ক্রেনের মাধ্যমে স্প্যানটি মাওয়া থেকে সকাল ৯টার দিকে রওনা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জারিরা অংশের ৩১ এবং ৩২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হবে স্প্যানটি। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ৩.৪৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু

এর আগে, ১৪ জানুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩২ এবং ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর বসে ২১তম স্প্যান এবং ২৩ জানুয়ারি মাওয়া প্রান্তের ৫ এবং ৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ২২তম স্প্যান।

দেশের অন্যতম বৃহত্তম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্ম সেতুতে পিলারের সংখ্যা ৪২টি। প্রতিটি পিলারের রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়।

৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে

দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

তাছাড়া, এ বছরের জুলাই মাস নাগাদ সকল স্প্যান বসানো শেষ হয়ে যাবে এবং আগামী বছরের জুলাই মাস নাগাদ পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল করবে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে বেশিরভাগ পিলার প্রস্তুত হওয়ার ফলে চলতি বছর প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পুরো জানুয়ারি মাসে বসেছে ২টি স্প্যান।

   

কর্ণফুলীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকার কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিমানটি উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিমান উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
আসামি গ্রেফতার

আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী সোহেল মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে আসামি সোহেল মিয়াকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠালে বিচারক মাহবুবা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিরুপম নাগ বলেন, আসামি সোহেল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হলে ১৬৪ ধারাায় জবানন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যার পর গাজীপুর জেলার টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকার একটি গেস্টহাউজ থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিরুপম নাগ বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকার একটি গেস্টহাউজ থেকে সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোহেলকে প্রথমে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ঘটনাস্থলের পাশে একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করে চাকরি করতে নিষেধ করতেন। কিন্তু স্বামী কথা না শুনে চাকরি করতেন। এজন্য আগে থেকেই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন গত সোমবার তার ছোট ছেলে সাব্বিরকে নানা বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং হেফজ পড়ুয়া বড় ছেলে সানি মাদরাসায় ছিল। স্ত্রীকে প্রথমে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ঘর থেকে মরদেহ বের করে প্রথম পুকুরপাড়ে নিয়ে রাখেন এবং বাড়ি থেকে একটি ছুরি নিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সোহেলের মুখে দাড়ি থাকলেও পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য তা ফেলে প্রথম চলে যান খুলনায় এক বন্ধুর বাড়ি। কিন্তু তার বন্ধুকে না পেয়ে চলে যান ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলায়। ওখান থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে যান ঢাকার গুলশানে। পরে সাভার ও আশুলিয়ায় যান এবং বুধবার দুপুরে সে টঙ্গীর রেলস্টেশন এলাকার একটি গেস্টহাউজে উঠে। ওইখান থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।

;

খাদ্যমন্ত্রীর বড় ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার

ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজবাস ভবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

কর্মজীবনে ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি নিয়ামতপুর উপজেলার কাপাস্টিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এক শোকবার্তায় খাদ্যমন্ত্রী ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের আত্মার চির শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

;

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিযোগিতা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিযোগিতা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিযোগিতা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২-২৩ হস্তান্তর করেন। খবর বাসস'র। 

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিনিধিদল প্রতিযোগিতা কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম ও প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে উন্নয়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে এ কমিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

উন্নয়ন কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় সকল অংশগ্রহণকারী যেন সমান সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।

তিনি ব্যবসা ও ভোক্তাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রতিযোগিতা কমিশনকে জনসচেতনতা ও প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে তাগিদ দেন।

দেশের অসাধু ব্যবসায়ীগণ ইচ্ছামত দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে যাতে জনদুর্ভোগ বাড়াতে না পারে সে ব্যাপারে কমিশনকে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশনা দেন। এসময় রাষ্ট্রপতির সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;