৭ দেশের ১২৬ হাওর ঘুরে টাঙ্গুয়ায় ফিরল ‘কিশোয়া’



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
টাঙ্গুয়ার হাওরে আইইউসিএন পাখি গবেষকদের ক্যামেরায় ‘গিরিয়া-হাঁস’

টাঙ্গুয়ার হাওরে আইইউসিএন পাখি গবেষকদের ক্যামেরায় ‘গিরিয়া-হাঁস’

  • Font increase
  • Font Decrease

শীত এলেই বাংলাদেশের হাওর, জলাভূমি ও নদীচরে চোখে পড়ে অচেনা পাখি। স্থানীয় মানুষ ‘অতিথি পাখি’ নামেই ডাকে এদের। যদিও ‘অতিথি পাখি’ টার্মটিই ভুল! এরা মূলত পরিযায়ী অর্থাৎ যাযাবর পাখি। এক দেশে থেকে আরেক দেশে ঘুরে। প্রজননকালে ছুটে যায় শীতপ্রধান অঞ্চলে। বলা হয়ে থাকে- পূর্ব ইউরোপ, সাইবেরিয়া এবং হিমালয়াঞ্চলে ওদের ঘর!

পরিযায়ী পাখিদের রয়েছে চমকপ্রদ কিছু অভ্যাস। যার মধ্যে অন্যতম হলো- প্রথম বছর এসে এরা যে হাওর, নদীচর কিংবা জলাভূমিতে আশ্রয় নেয়, পরের বছর ঘুরে-ফিরে ঠিক সেখানেই ফিরে আসে। মজার বিষয় হলো- সেটি আগের বছরের মাস বা দিন হিসেবেও খুবই কাছাকাছি সময়ে। অকল্পনীয় সূক্ষ্ম মস্তিষ্কের কারণে পরিযায়ী পাখিদের পক্ষে এটি সম্ভব হয়।

টাঙ্গুয়ার হাওড় থেকে জিপিএস ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছাড়া ‘গিরিয়া-হাঁস’, ছবি: আইইউসিএন

সাতটি দেশ ঘুরে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ফিরে এসে তেমনটি প্রমাণ করেছে একটি ‘গিরিয়া-হাঁস’। গবেষকরা এটির পিঠে ট্রান্সমিটার লাগানোর সময় নাম দিয়েছিল ‘কিশোয়া’। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সীমান্ত দীপু এ তথ্য জানান।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গুয়ার হাওরে আমরা এটির পিঠে জিপিএস ট্রান্সমিটার লাগিয়েছিলাম। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ‘কিশোয়া’ ফের টাঙ্গুয়া হাওরে ফিরে আসে। মাঝে একবছরে এটি পাড়ি দিয়েছে ৫২০০ কিলোমিটার পথ। পরিযান করেছে বাংলাদেশ ছাড়াও সাতটি দেশ। বর্তমানে বুনোহাঁসটি টাঙ্গুয়ার হাওরে অবস্থান করছে।’

পাখামেলে উড়ে চলা ‘গিরিয়া-হাঁস’, ছবি: আইইউসিএন

‘কিশোয়া’ নামের গিরিয়া-হাঁসটির সবচেয়ে দূরের গন্তব্য ছিল মঙ্গোলিয়া। সেখানে এটির প্রজননভূমি। ২০১৯ সালের মার্চে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারত-নেপালের হিমালয়াঞ্চল এবং চীন রুট পাড়ি দিয়ে এপ্রিলের শেষ দিকে এটি শীতপ্রধান অঞ্চলে পৌঁছে বলে জানায় আইইউসিএন সূত্র।

পাখি গবেষক সীমান্ত দীপু আরও বলেন, ‘আমরা জিপিএস ট্র্যাকার লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়ার পর এটি বাংলাদেশের শতাধিক বিলজাতীয় জলাভূমিতে অবস্থান করে। তারপর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারত, নেপাল, হিমালয়াঞ্চল এবং চীনের কয়েকটি হাওরে অবস্থান করে। সেখান থেকে সরাসরি মঙ্গোলিয়া প্রজননভূমিতে পাড়ি দেয়।’

গেল কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশে আসা পরিযায়ী পাখিদের গায়ে জিপিএস ট্র্যাকার লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে আইইউসিএন। বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৫২টি পরিযায়ী পাখির শরীরে জিপিএস ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে আরেকটি ‘গিরিয়া-হাঁস’-এর গায়ে ট্র্যাকার বসানো হয় বলে জানান আইইউসিএন’র আরেক গবেষক অনু তারেক। তিনিও এখন টাঙ্গুয়ার হাওরে অবস্থান করছেন।

অনু তারেক বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছেড়ে দেওয়া সকল পাখি এখনো পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে। ট্র্যাকারের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত এদের চমৎকার তথ্য পাচ্ছি। এদের আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক রীতিসহ অনেক তথ্য মিলেছে। গবেষণা কাজে এসব তথ্য অমূল্য সম্পদ হিসেবে কাজে দেবে।’

টাঙ্গুয়ার হাওরে আইইউসিএন টিম

পরিযায়ী পাখিদের এমন অভ্যাস বিষয়ে জানতে চাইলে বন্যপ্রাণী গবেষক সারোয়ার আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ট্র্যাকারের মাধ্যমে পাওয়া ম্যাসেজটি অত্যন্ত মূল্যবান। পরিযায়ী পাখিরা যেখানে আসে, পরের বছরও প্রথমে সেখানেই আসবে। যদি আগের মতো অনুকূল পরিবেশ আর না পায়, সেক্ষেত্রে এরা দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে। খুব বেশি দূরে খাদ্যের সংগ্রহে আর যেতে পারে না। ফলে খাদ্যাভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা যায় কিংবা দলছুট হয়ে আর ঘরে ফিরতে পারে না।’

পরিযায়ী পাখিদের আগমন ও বিচরণস্থল সংরক্ষণ করার তাগিদ দিয়ে এই গবেষক বলেন, ‘পাখিদের এমন অভ্যাসের বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সবাইকে অনুধাবন করাতে হবে যে- যদি কোনো হাওর বা জলাভূমি আমরা হঠাৎ নষ্ট করে ফেলি, তবে পরের বছর পাখিগুলো এসে মারা পড়বে। বিপন্ন হবে আমাদের পরিবেশ।’

একনজরে ‘গিরিয়া-হাঁস’:

গিরিয়া হাঁসের ইংরেজি নাম Garganey। দেখতে ছোট আকারের। পুরুষ হাঁসের মাথা ও বুক বাদামী বর্ণের। চোখের উপর সাদা সীমানাযুক্ত দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এদের ঠোঁট, পালক ও পা দেখতে খয়েরি রঙের। তবে ডানার নিচের অংশ সাদা সীমানাযুক্ত হালকা নীল। মাথার উপরের অংশ গাঢ় বর্ণের। মুখ লালচে বাদামি।

টাঙ্গুয়ার হাওরের রওয়া বিলে লাল-ঝুঁটি ভূতিহাঁস, ছবি: আইইউসিএন

স্ত্রী হাঁসটি দেখতে অনেকটা পাতি তিলিহাঁসের মতো। স্ত্রী হাঁসের বিশেষত্ব হলো- মুখের আকার। পুরুষ হাঁস ভিন্নতা হলো- এরা পানিতে ডুব দিয়ে বারবার মাথা ঝাঁকায় এবং ঠোঁট একটু লম্বা। চোখের ভ্রু ফ্যাকাসে। গিরিয়া হাঁস ভূচর স্বভাবের। লোনাপানি ও মিঠাপানি উভয়ে এদের দেখা মেলে।

এদের প্রিয় খাবার ছোট মাছ, জলজ পোকামাকড় ও উদ্ভিদের বীজ, মূল, কাণ্ড, পাতা। মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুলাই প্রজনন সময়কাল। ভাসমান জলজ উদ্ভিদে আচ্ছন্ন জলাভূমিতে বাসা বেঁধে ডিম পাড়ে। আইইউসিএন তালিকায় ‘গিরিয়া-হাঁস’ আশঙ্কাহীন প্রজাতির পাখি। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এই পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ।

   

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ১৮দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে ঈদের আগে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে জাহাজটির মালিকপক্ষের আলোচনা চলমান থাকলেও এখনো নাবিকদের মুক্তি নিয়ে বলার মতো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এবার হয়তো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না নাবিকদের।

ঈদের আগে নাবিকদের উদ্ধার করার কথা প্রচার হচ্ছে কোথাও কোথাও। এমন পরিস্থিতিতে জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামভিত্তিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। তবে এখনো বলার মতো কিছু হয়নি। নাবিকদের পরিবারের সদস্যদেরও মানসিকভাবে প্রশান্তিতে রাখার একটা বিষয় আছে। সেজন্য হয়তো কোথাও কোথাও বলা হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকবার জায়গা বদলের পর বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।

প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তখন মুক্তিপণ আদায়ের পর জাহাজ থেকে নেমে গিয়েছিল দস্যুরা। ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার এখনো মুক্তিপণের বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। আর মুক্তিপণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে তেমন কিছু জানায়নি। মুক্তিপণ চাওয়ার পর মালিকপক্ষ থেকে দর কষাকষি করা হবে। তখন ৪০দিনে দুই পক্ষের মধ্যে মুক্তিপণের বিষয়ে সমাঝোতা হয়েছিল। এরপর চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পাঠানো হয় দস্যুদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায়। পরে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে জাহাজে এসে সেই টাকা ভাগ করে দস্যুরা। এরপরই জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। অর্থাৎ সমাঝোতার পরও মুক্তি পেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছিল। এবারও সেই প্রক্রিয়ায় মুক্তি মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়া সময়সাপেক্ষ বিষয়।

অবশ্য নাবিকদের উদ্ধারে দেরি হলেও ভালো খবর হচ্ছে, এখন পর্যন্ত নাবিকেরা সবাই সুস্থ আছেন। দস্যুদের পক্ষ থেকেও ভালো আচরণ করা হচ্ছে। তাঁদের ওপর কোনো নির্যাতন কিংবা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে না। এরই মধ্যে জাহাজের নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনা শুরু করেছে দস্যুরা। ফলে খাবার নিয়ে নাবিকদের মধ্যে থাকা দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে। অবশ্য জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ আছে।

অবশ্য জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হলেও জলদস্যুরা তাতে ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে। নাবিকদের সঙ্গেও তারা ভালো আচরণ করছে। নাবিকদের তাঁরা নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, জাহাজের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজে অংশ নিতে দিচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দিচ্ছে। সবমিলিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে দস্যুরা। আশা করছি খুব দ্রুত নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তাদের সঙ্গে সমাঝোতা হবে। সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সংকটের সমাধান করে নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

;

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক। যদি দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা যায় তাহলে শিক্ষার সামগ্রিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে দ্বিতীয় ডিআরএমসি জাতীয় রমাদান ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইসলামের সংবিধান হলো মহাপবিত্র আল কুরআন। এটি কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথপ্রদর্শক। মুসলিমদের জন্য রয়েছে আরেকটি বিধান সেটি হলো মহানবী (স.) এর হাদীস। এই দুটিকে আঁকড়ে ধরতে পারলে পথভ্রষ্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারলে পরকালে পুরস্কার হিসেবে রয়েছে চির শান্তির জান্নাত।

তিনি বলেন, আমরা যদি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইসলামের আলো সঞ্চারিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই তারা আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। তারা সকল ধরণের অন্যায়-অনাচার, পাপাচার থেকে বিরত থাকার শিক্ষা পাবে এবং তারা আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে। আমরা গড়ে তুলতে পারবো একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।

ফরিদুল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নৈতিক, মানবিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননে কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণ ও সঞ্চারিত করার জন্য ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ইসলামিক কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে কলেজের উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

;

রংপুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মামুন মিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইমাদপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিশু মামুন মিয়া ইমাদপুর ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু মামুনের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ইটভাটার মাটি আনার জন্য ট্রাক্টরগুলো যাতায়াত করে। সকালের দিকে শিশুটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দৃশ্য দেখছিল। এ সময় ভেকু দিয়ে কাটা মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টর মাটি নেওয়া শেষে পিছনে ঘুড়ানোর সময় মামুনকে চাপা দেয়। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরটি আটক করেন। পরে পরিবারের আবেদনে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

এক টিকিটের জন্য ৫০০ বার হিট, ৬ষ্ঠ দিনে বিক্রি ৩১ হাজারের বেশি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৬ষ্ঠ দিনে ৩১ হাজারের বেশি অগ্রীম টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রতি টিকিটের জন্য গড়ে ৫০০ বারের বেশি হিট করেছেন যাত্রীরা। আগামী ৮ এপ্রিলের পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেটের মধ্যে ১৫ হাজার ২০০টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ বার।অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের টিকিট পেতে উক্ত অ্যাপে হিট পড়েছে ৯৬ লাখ বার। পূর্বাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিটের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।

;