ঢাকা-সিলেট ৬ লেনের কাজ শুরু জুলাইয়ে
সাসেক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-সিলেট ৬ লেনের কাজ আগামী জুলাই থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এডিবি'র কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. মনমোহন প্রকাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা)। এর বেশির ভাগ অর্থায়ন করবে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আমাদের সাসেক প্রকল্প ঢাকা এলেঙ্গা প্রকল্পের ওপেনিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেটার কাজ শেষ পর্যায়ে। গুরুত্বসহকারে যেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেটা হলো ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ৪ লেন ও দুই পাশে দুইটা সার্ভিস লেনসহ মোট ৬ লেন প্রকল্প। আগামী মার্চের মধ্যে ডিপিপি প্রণয়ন কাজ শেষ হবে। এরপর কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে যেগুলো প্লানিং কমিশনে যাবে। সেখানে অনুমোদনের পর আমরা আশা করছি জুলাই মাস থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-সিলেট ৬ লেন হলো এক্সপ্রেসওয়ে। ২০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কে ৮টি ফ্লাইওভার, ২২ ওভারপাস, ৫টি রেলওভারপাস, ৬৯টি ব্রিজ, আন্ডার পাস থাকবে ১০টি, ইন্টার চেইঞ্জ থাকে ৩টি ও ২৯টি এডিবি'র রয়েছে।
এডিবি প্রকিউরমেন্টের অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, তারা আমাদের বলেছে প্রকিউরমেন্ট শেষ করে প্রসেস শুরু করতে পারি। এ প্রকল্পের ফান্ডিং এর বিষয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আজ কোনো কোনো মিডিয়াতে এসেছে এডিবি এই প্রকল্প থেকে কিছু কারণে সরে যেতে পারে। তিনি এ বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিলেন। তিনি বলেন এ ধরনের কোনো চিন্তা তাদের নেই।
এই প্রকল্প ছাড়াও এডিবির সাথে সাসেক ২ এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেটা এলেঙ্গা থেকে রংপুর, সেটার ৮ প্রকল্পের মধ্যের ৭টির কাজ শুরু হয়েছে। এরপর সাসেক ৩ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেটার একটা হবে রংপুর থেকে বুড়িমাড়ি। অন্যদিকে রংপুর থেকে গাইবান্ধা। এছাড়া এডিবি পরবর্তীতে বাংলাদেশে ফান্ডিং করার কথা চিন্তাভাবনা করছে। সেটা হচ্ছে ফরিদপুর ও বরিশাল মহাসড়ক। এগুলো নিয়েই মোটামুটি আলোচনা করেছি এডিবির সঙ্গে।
ঢাকা সিলেটের বাজেট কত আর পুরো ফান্ডিং এডিবি করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটা প্রকল্পে একটা মেসিং মানি থাকে। ফান্ডিংটা বেশিরভাগই এডিবি করবে। এখন ধারণা করা হচ্ছে আগের বাজেট থেকে পরিবর্তন হয়েছে। কারণ আগে নকশায় সার্ভিস লেন এক পাশে ছিল আরেক পাশে ছিল না। তারপর এতোগুলো ওভারপাস, আন্ডার পাস, ব্রিজ আগেরটায় ছিলনা। যে কারণে এখন নতুন করে নকশা করতে হয়েছে। আগে ২১৫ কিলোমিটার ছিল এখন সেটা ২০৯৷ এখানে প্রকল্পে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। তবে এর ব্যয় আরো কমতেও পারে। কাজ কবে শেষ হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি।
চট্টগ্রামের ৪ লেন কি ৬ লেন করা হবে কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, চিটাগাং নিয়ে আমরা অন্য কিছু ভাবছি। আমরা রেলওয়ে এক্সপ্রেস ওয়ে করার কথা ভাবছি। রোডে বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। দুইটা এক্সপ্রেসওয়ে করার থেকে একটা রেল এক্সপ্রেসওয়ে করা সুবিধাজনক মনে হয়। রেলের পিজিবিলিটি হয়ে গেছে।