বরিশালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল: নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে মস্তিকে ধারণ করতে হবে তারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাদের উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পরিপূর্ণ ভাবে পরিপালন করতে হবে ।

শুক্রবার (২৭ জুলাই ) নগরীর কাশিপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যাশা একটাই। বরিশালে একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।  এখন পর্যন্ত এখনকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত এই সৌহার্দ্য সম্প্রীতি অব্যাহত থাকবে।

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন,  প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে থাকবে। বরিশাল সিটি নির্বাচন অন্য দুই সিটি নির্বাচন থেকে অনেক সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি। 

প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সব অভিযোগ  নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া নির্বাচন নিয়ে আশংকা থেকেই যায়। তবে আংশকা থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি করে কাজ করতে চাই। 

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রিটানিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান। মতবিনিময় সভায় ছয় মেয়র প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। সভায় সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

   

প্রবৃদ্ধির বদলে অর্থনৈতিক সুরক্ষার বাজেট চায় সিপিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সিপিডি

সিপিডি

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বড় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ না করে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতি এখন বড় ধরনের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই চাপ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজস্ব, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সরকারি কেনাকাটাসহ প্রতিটি খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বড় ধরনের সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সামষ্টিক অর্থনীতির হালনাগাদ চিত্র তুলে ধরতে সিপিডির পক্ষ থেকে রোববার (২ জুন) আয়োজন করা ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা’ শীর্ষক এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

সিপিডির নিজস্ব সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কোভিডকালীন সময়ে শুরু হওয়া সংকট থেকে ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হয়নি। বহিস্থ খাতের সংকটগুলো দৃশ্যমান হওয়ায় কয়েক দশক ধরে বিদ্যমান অভ্যন্তরীণ খাতের ভঙ্গুরতাগুলোও অর্থনীতিতে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়, ফিসক্যাল স্পেসে সংকোচন, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ, বাণিজ্যিক ব্যাংকে তারল্যের চাপ, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, বিদেশি লেনদেনে চাপ ও বিদেশি মূদ্রার রিজার্ভের সংকট ঘনীভূত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সুদের হারের ক্যাপ উঠিয়ে দেওয়া, বিনিময় হার বাজারে ছেড়ে দেওয়া, তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দামে সমন্বয়ের মত বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও এগুলোর সুফল এখনও আসেনি বলে দাবি করেন মোয়াজ্জেম।

আইএমএফ এর শর্তে সরকার সংস্কারে কিছুটা গুরুত্ব দেওয়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা টান পড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকে সব সময় বড় লক্ষ্য ধরা হয়ে থাকে।

উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হলেও মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্টে এই লক্ষ্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন সংস্থার প্রজেকশান ছিল আরও কম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাবে চলতি অর্থবছরে যে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, এটা অর্জন করা কঠিন হবে বলেও মনে করেন তিনি।

জিডিপির আকার ও মাথাপিছু আয় যতটা বেড়েছে তার বড় অংশই ধনীদের কব্জায় চলে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে দরিদ্রদের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় বৈষম্য বাড়ছে।

জিডিপির আকার বৃদ্ধির তুলনায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার যেমন কমছে, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমশক্তির পরিমাণ বাড়ছে। শিল্প প্রবৃদ্ধিতে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অবদান কমে আসার কারণও গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধানের তাগিদ দেন তিনি।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আহরণেও বড় লক্ষ্য ধরা হয়েছিল মন্তব্য করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আদায়ে ১৩ শতাংশের বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ঋণাত্মক ছিল।

এ খাতে বড় প্রবৃদ্ধি হলেও পুরো বছরের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শেষ পাঁচ মাসে ৬৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই বড় লক্ষ্য পূরণ এবারও সম্ভব হবে না।

রাজস্ব আদায়ে আইএমএফ এর বেধে দেওয়া লক্ষ্যও পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংকোচনমূলক পন্থার কথা বলে রফতানিতে প্রণোদনা কমিয়ে আনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, আমদানিতে বিভিন্ন ধরনের রেস্ট্রিকশন আরোপ করা হলেও সরকারি ব্যয়ে এটা মানা হচ্ছে না বলে মনে করেন মোয়াজ্জেম।

তিনি বলেন, একদিকে বন্ড ছেড়ে সার আমদানি ও বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করা হচ্ছে। ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধে বেশি সুদে স্বল্প মেয়াদি ঋণ নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে সংকোচনমূলক পন্থার কথা বলা হচ্ছে। সরকার নিজেই নিজের ব্যবস্থা ভাঙছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের বেশি ঋণ থাকার কারণে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় সরকারের বাজেটীয় আর্থিক সঙ্গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে মোয়াজ্জেম বলেন, এটা করতে হলে যে কোন ধরনের লিকেজ বন্ধ করতে হবে। কর ফাঁকি রোধ করা, কর কাঠামো ডিজিটাল করা ও অর্থপাচার রোধ করার বিষয়ে যেমন গুরুত্ব দিতে হবে, ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপচয় কমাতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারি ব্যয়ে প্রাধিকারের কথা বলা হলেও এমন অনেক প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে যেগুলো কোনভাবেই প্রাধিকারের মধ্যে আসতে পারে না। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বড় ব্যয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কেনা বা খুব প্রয়োজন না হলে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ এই মুহূর্তে থাকা উচিত নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়ে সময়কাল ও ব্যয় বাড়িয়ে থাকেন। প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম আরও ট্রান্সফারেন্ট করে এই ধরনের দুর্নীতি কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।

আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পিছিয়ে পড়া লোকজনদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেছে সিপিডি।

এ বিষয়ে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সামাজিক খাতে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। শুধুই খাদ্য বিতরণের মধ্যে আবদ্দ না রেখে পিছিয়ে পড়া মানুষদের শিক্ষা, সামাজিক অবকাঠামো ও স্বাস্থ্যে ব্যাপক সরকারি বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে, তিনি বলেন।

;

‘বিআরটিএ সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো ছোট একটি পরিবহন খাতের ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি প্রতিরোধে বারবার ব্যর্থ হলেও বিআরটিএ নতুন করে অটোরিকশার যাত্রী ভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার (০২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন অভিযোগ তুলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি দাবি করেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০১৬ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৯৮ শতাংশই মিটারে চলে না। ৮৭ শতাংশ যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যায় না। এসব সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি যখন চরমে পৌঁছেছিল ঠিক তখনই রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার একটু স্বস্তির র্বাতা নিয়ে যাত্রীদের পাশে দাঁড়ায়।

ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীর উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এসি বাস চালু হতে যাচ্ছে। এসব কারণে চাপে পড়ে অটোরিকশা ভাড়া নৈরাজ্য এখন বন্ধ হওয়ার পথে। ঠিক তখনই কতিপয় অটোরিকশার মালিক সমিতির নেতারা বিআরটিএর সাথে আতাঁত করে আবারো নতুন করে ভাড়া নৈরাজ্য উস্কে দিতে যাত্রীভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিআরটিএর দ্বায়িত্ব ছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশার মিটারে চলাচল নিশ্চিত করা। প্রতিটি অটোরিকশা বিনাপ্রশ্নে যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। ছোট এই দুটি অঙ্গীকার প্রতিষ্টায় সম্পূণ ব্যর্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ। তারা যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া, যাত্রীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি ছাড়া, পূর্বের ভাড়া বাড়ানোর সময়ে যাত্রী সেবা সংক্রান্ত অটোরিকশা মালিক সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত অঙ্গীকারনামা পূরণে ব্যর্থতার পরেও অদৃশ্য কারণে সম্প্রতি বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য গোপনে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকের পর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা রাতারাতি বৃদ্ধির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তিনি মালিকদের সাথে আতাঁত করে এহেন ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, সিএনজি চালিত অটোরিকশা পরিচালনার জন্য ২০০৬ সালের একটি নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য একই হারে যাত্রী ভাড়া ও মালিকের জমা নির্ধারণ করা হয়। সরকার অটোরিকশার দৈনিক জমা যখন ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছিলেন তখন এই নীতিমালা লঙ্ঘন করে ঢাকা মহানগরীর অধিকাংশ মালিক ২ বেলায় ৬০০ টাকা করে দৈনিক ১২০০ টাকা জমা আদায় করেছে। এরপর সরকার অটোরিকশার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা নির্ধারণ করলে এখন কোন কোন মালিক ২ বেলায় ৮০০ টাকা হারে দৈনিক ১৬০০ টাকা আবার কেউ দৈনিক ১৮০০ টাকা আদায় করছে। এই বিষয়ে একাধিক শ্রমিক সংগঠন সুনির্দ্দিষ্ট তথ্য উপাত্তসহ বিআরটিএর কাছে অভিযোগ জমা করলেও বিআরটিএ এহেন দৈনিক জমা আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারেনি।

এমন পরিস্থিতিতে দৈনিক জমা ১১৫০ টাকা করা হলে যাত্রীরা আবারো অটোরিকশার ভাড়া নৈরাজ্যর শিকার হবে বলে মনে করে যাত্রী অধিকার সুরক্ষায় নিয়োজিত এই সংগঠনটি। অটোরিকশা মালিকদের এহেন অতিরিক্ত দৈনিক জমার কারণে ৪ লাখ টাকা দামের একেকটি অটোরিকশা মেট্রো নিবন্ধন পেলে ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অথচ একটি পুরনো বাসের দাম ১০/১২ লাখ টাকায় পাওয়া যায়। সরকার মধ্যআয়ের লোকজনকে যাত্রীসেবা প্রদানের মাধ্যমে দিয়ে প্রাইভেট গাড়ি চাহিদা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে এই অটোরিকশার সার্ভিস চালু করে। দফায় দফায় মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধির কারণে প্রতিটি অটোরিকশা এখন একেকটি সোনার ডিম পাড়া হাঁসে পরিণত হয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ২০ জেলায় ক্ষতি সাত হাজার কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রোববার (২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ব কার্যক্রম পরিচালনা করেছি, এখন দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার পরের দিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয় লোকজনের খোঁজখবর নিয়েছি।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৯টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণ কার্যে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো- খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের, বিভাগ, দফতর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতাসহ আওয়ামী লীগের এবং এর অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার কয়রা, ভোলার চরফ্যাশন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও জরুরি সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করেছি।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রিমাল এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিরতণ করেন। সরকারের সকল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক ক্ষয়-ক্ষতি পরিমাপ ও করণীয় নিয়ে আজ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

;

পূর্বাঞ্চলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, থাকছে জোড়া স্পেশাল ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। প্রথমদিন বিক্রি হচ্ছে ১২ জুনের টিকিট।

রেলওয়ে জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলে চার জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন থাকবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। সব টিকিট অনলাইনেই করা হবে।

রোববার (২ জুন) দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে। ১৭ জুন সম্ভাব্য ঈদের তারিখ ধরে রেলওয়ে এই আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে।

এর আগে সকাল সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্বাঞ্চলে আলাদা সময়ে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে জানায়, রোববার বিক্রি হচ্ছে ১২ জুনের অগ্রিম টিকিট। একইভাবে ৩ জুন যাত্রীদের দেওয়া হবে ১৩ জুনের টিকিট, ৪ জুন দেওয়া হবে ১৪ জুনের টিকিট, ৫ জুন দেওয়া হবে ১৫ জুনের টিকিট এবং ৬ জুন দেওয়া হবে ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট।

একইভাবে ১০ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৪ জুনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ঈদ উপলক্ষে এবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে চার জোড়া স্পেশাল ট্রেনসহ দেশের বিভিন্ন রুটে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন ৭ হাজার ৭শ ১৫ জন যাত্রী ঈদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন।

ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল চলবে দুই জোড়া এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল চলবে এক জোড়া।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রোববার দুপুর ২টা থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। টিকিট কালোবাজারি রুখতে গোয়েন্দা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে।

;