বরিশালে বেড়েছে কিশোরী মাতৃত্বের হার, কমেছে সিজারিয়ান প্রসব
সমগ্র বাংলাদেশের চেয়ে বরিশালে বেড়েছে প্রজনন ও কিশোরী মাতৃত্বসহ পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদার হার। একই সঙ্গে কমেছে সিজারিয়ান প্রসব, শিশুর সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুশীলনসহ অপুষ্টি জনিত শিশুর কম উচ্চতা ও ওজনের হার। এছাড়া গোটা বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারের নারীর হার।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভের (২০১৭-২০১৮) মুখ্য ফলাফলে এমন পরিসংখ্যান জানা গেছে।
নিপোর্ট মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার সাহা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভের আওতায় বাংলাদেশের জনমিতিক ও স্বাস্থ্য অবস্থা তথা জন উর্বরতা বা ফার্টিলিটি, পরিবার পরিকল্পনা, শিশু মৃত্যু, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং এইডস সচেতনতা সম্পর্কে তথ্য আহরণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাহিদা বিবেচনা করে প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে সার্ভের তথ্য বিভাগীয় পর্যায়ে উপস্থাপনা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে বরিশালে এ পরিসংখ্যানের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।’
প্রজনন হার
বরিশালে প্রজনন হার বেড়ে দুই দশমিক চার ভাগ যা গোটা বাংলাদেশে মিলে এর হার দুই দশমিক তিন ভাগ।
কিশোরী মাতৃত্ব
১৫-১৯ বছরের মধ্যে যারা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হয়েছেন, তাদের হার বরিশালে ৩০ ভাগ আর সারাদেশে ২৮ ভাগ।
পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার
১৫-৪৯ বছরের বিবাহিত নারীরা পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করছে শতকরা ৬২ ভাগ হারে, যা সারা দেশের সঙ্গে বরিশাল স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা
১৫-৪৯ বছরের বর্তমানে বিবাহিত নারীদের মধ্যে যারা আর কোনো সন্তান চান না বা কমপক্ষে দুই বছর পর পরবর্তী সন্তান চান কিন্তু পদ্ধতি ব্যবহার করেন না এমন নারীর হার রয়েছে বরিশালে ১৪ ভাগ আর গোটা দেশে ১২ ভাগ।
সিজারিয়ান
বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ান প্রসবে জীবিত জন্মের শতকরা হার ২৫ ভাগ আর দেশে এর হার ৩৩ ভাগ।
শিশুর খাদ্যাভ্যাস
বরিশালে শিশুর সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুশীলনের হার কমে ২৮ ভাগ। যা দেশ জুড়ে শতকরা হার ৩৪ ভাগ।