বই কেনার বাধ্যবাধকতা



নাহিদ হাসান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১.

মাসব্যাপী বইমেলা বাংলাদেশের এক গর্বের ঘটনা। ফেব্রুয়ারি মাস পুরো দেশই বইমেলাময় হয়ে ওঠে। চিলমারী, উলিপুর, সুন্দরগঞ্জ, দেবীগঞ্জ থেকে সারাদেশেই বইমেলা আর বইমেলা। স্থানীয় তরুণরা বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে বই এনে বিক্রি করেন মেলাগুলোতে। অধিকাংশই বই বিক্রি না হওয়ার হতাশায় পড়েন। স্থানীয় বইমেলাগুলোকে কেন্দ্র করে জন্ম নিচ্ছে স্থানীয় লেখক সমাজ।

ফেসবুক ভেঙে দিয়েছে শহর-গ্রামের দেয়াল। ফেসবুক জন্ম দিচ্ছে নতুন নতুন লেখকের। আগে পত্রিকার সম্পাদকের পছন্দ-অপছন্দ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লেখককে ঢাকার বাসিন্দা হওয়া জরুরি ছিল। সেসব পুরনো দিনের ঘটনা। বইমেলা আর ফেসবুক মিলে মফস্বলেও জন্ম নিচ্ছে নতুন লেখকের নতুন পাঠক শ্রেণি। এ এক অভিনব লেখক-পাঠক সমাজ।

২.

গ্রাম সমাজে মেলা মাত্রই স্বতন্ত্র। পীর-ফকির, আউল-বাউল, ভাসান, স্নান, বোলান, কথকতা নিয়ে মেলা বসে। কিন্তু ইহজাগতিক মেলাও আমরা দেখেছি। পহেলা বৈশাখ যেমন। বঙ্গভঙ্গের ফল হিসেবে পেয়েছি স্বদেশী মেলা। তেমনি মুক্তিযুদ্ধের ফল একুশে বইমেলা। স্থানিক দূরত্ব ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতা মেলাগুলোকে স্বতন্ত্র রূপ দিয়েছে। একেকটা মেলা একেক কারণে বিখ্যাত। কৃষ্ণনগরের বারদোল মেলা যেমন মৃৎশিল্পের জন্য, চিলমারীর অষ্টমীর মেলা তেমনি দই ও মাছের জন্য। কিন্তু দেশ জুড়ে অনুষ্ঠিত বইমেলা সেই নিজস্ব চেহারা এখনও অর্জন করতে পারেনি।

ঢাকার বিভিন্ন প্রকাশনীর বই স্থানীয় সংগঠকরা কিনে এনে বিক্রি করেন। রংপুর, সিলেট ও রাজশাহীর মত বড় শহরে স্থানীয় লেখকদের ভরসায় কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কোনোটি আবার রংপুরের 'ডাকঘর' এর মত অনুবাদ ও ক্লাসিক বই প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু নিজ অঞ্চলের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি নির্ভর প্রকাশনা দিল্লি দূর অস্ত এখনও। মানে রাজবংশী, গারো, সাঁওতাল, ওঁরাওসহ অন্যান্য জাতির ভাষা ভিত্তিক প্রকাশনা নাই। বইমেলাগুলো স্থায়ী রূপ পেলে ধীরে ধীরে তা বিকশিত হবে।

নব্বইয়ের দশকেও মফস্বলগুলোতে ছোটকাগজের গ্রুপ ছিল। নিসর্গ, ক্যাথারসিস, ছাপাখানা, একবিংশ, লিরিক এর মতো ছোটকাগজগুলো মর্যাদা নিয়ে ছিল। পত্রিকার নামেই বই বেরুত। আজ আড্ডাগুলোও গেছে। সম্পাদকরাও বদলে গেছেন।পত্রিকাগুলোর সংখ্যা বেরোয়, কিন্তু সাড়া জাগায় না।

৩.

বলা হয়, রাশানরা সেরা বই পড়ুয়া জাতি। তাদের ৭৪ ভাগ পরিবারে পারিবারিক পাঠাগার আছে। তারা তীব্র শীতেও ট্রেনে-বাসে দাঁড়িয়ে বই পড়ে। ইউরোপের পশ্চাৎপদ একটা দেশ এমনি এমনি এই রকম হল? রাশিয়ায় লেনিনরা বিপ্লব করেন ৭ নভেম্বর। আর রাশিয়া জুড়ে 'সুইস-আমেরিকান' পদ্ধতিতে পাঠাগার গড়ে তুলতে লুনাচারস্কির সাথে কথা বলেন ৯ নভেম্বর। মানে বিপ্লবের তৃতীয় দিনে। তারপর ১৯১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি 'কাউন্সিল অব পিপলস কমিশনার' থেকে বিষয়টা পাশ করিয়ে নেন। একই সালে শুধু গ্রন্থাগার বিষয়েই সভা করেছেন ১৬টি। তারা বলতেন, গ্রন্থাগার সকলের জন্য।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বইয়ের জন্য মজার মজার কর্মসূচি নেয়। কোনও দেশ ট্রেনে বই নিয়ে দেখালেই আর টিকেট লাগে না।

আমাদের বাজেট ৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। আমাদের একুশে বইমেলায় এ বছর বিক্রি ৮২ কোটি টাকা। এটা প্রকাশকরা বলছেন। কিন্তু লেখকরা বলছেন কমছে কম ২০০ কোটি টাকার।

প্রতিটি উপজেলায় এখনও সরকারি গ্রন্থাগার গড়ে ওঠেনি। পাঠাগারগুলো শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক। চাকরিজীবীরা কাজ শেষে পাঠাগারগুলোতে আসার পথ বন্ধ। প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লাখ টাকার মেরামত হয়, কিন্তু ৫ হাজার টাকার বইও কেনা হয় না। সরকারি অফিসগুলোতে গেলে জাঁকজমকে চমকে যেতে হয়। কিন্তু বইয়ের একটা র‌্যাকও পাবেন না। সব কিছুই আছে, শুধু বই নেই।

অথচ একটি উপজেলায় গড়ে ২০০টি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা আছে। মৎস, সমবায়, সমাজ সেবার মত অফিস আছে কুড়িটির মত। এনজিও আছে ২০/২৫টি। এরকম আড়াইশটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ৫হাজার টাকার বই কিনলে একটি উপজেলাতেই বই লাগে সাড়ে ১২ লাখ টাকার। আর ১০ হাজার হলে হয় ২৫ লক্ষ টাকার। প্রতি বছর উপজেলা পর্যায়ে ২৫ লক্ষ টাকার বই কেনা হলে শুধু উপজেলা পর্যায়েই ১২৫ কোটি টাকা। এছাড়া হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো তো হিসাবের বাইরেই রয়েছে। ইদানিং বাসে-ট্রেনে বইয়ের তাক করার দাবি উঠেছে। তার প্রভাব সমাজে কী সুদূর প্রসারী হবে, কল্পনা করা যায়? শুধু সরকার থেকে নির্দেশনামা দরকার। কিন্তু শুনেছি, বইমেলার জন্যও নাকি সরকারের কোনও বাজেট নেই। কত টাকা কত দিকে যায়, শুধু বইয়ের বেলায় নাই নাই!

লেখক: কবি ও কলামিস্ট।

   

এক বছরে ভোক্তা অধিকারের প্রায় ১৯ কোটি টাকা জরিমানা আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ অধিকার ২২-২৩ অর্থ বছরে সারাদেশে বাজার মনিটরিং করে জরিমানা আদায় করেছে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তার অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধ করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দেশব্যাপী নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে।

গত এক বছরে কতটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে (১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত) ১১ হাজার ৬৭০টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধে ২৫ হাজার ৬৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ (আঠারো কোটি পঁচাশি লাখ আশি হাজার আটশ’) টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।

 

;

‘রবীন্দ্রনাথ সমাজের বৈষম্য ‍দূর করে বাঙালিকে আলোর পথ দেখায়’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন সমাজের বৈষম্য ও কুসংস্কার ‍দূর করে বাঙ্গালীকে আলোর পথ দেখায়।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে নওগাঁর পতিসর রবীন্দ্র কাচারিবাড়ীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূল পরিচয় স্বনির্ভর দেশ গড়বার কারিগর নয়, তার পরিচয় তিনি একজন কবি। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, সাহিত্য দিয়ে সকলের মনের অন্ধকার দূর করে আলো জ্বালানোর চেষ্টা করেছেন। সেই আলোয় আমরা আলোকিত হবো।

পরে দেবেন্দ্র মঞ্চে আলোচনা সভা, সাহিত্য পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের এসব কর্মসূচির আয়োজন করেন।

আলোচনা সভায় 'সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা এবং রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু' প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে স্মারক আলোচনা করেন নওগাঁ সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম মোজাফফর হোসেন।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানার সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা, ওমর ফারুক সুমন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব খান বক্তব্য রাখেন।

এদিকে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে কবির গবেষক, ভক্ত ও অনুরাগী ঢল নামে।

 

;

তীব্র গরমের পর এবার কালবৈশাখীর সতর্কতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে তীব্র গরমে নাকাল ছিল জনজীবন। এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়াতে স্বস্তি ফিরেছে। এবার কালবৈশাখীর সতর্ক বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (৮ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (৮ মে) বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে।

এসময় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়।

;

ঢাকার পাশে কাবাডি কমপ্লেক্স নির্মাণের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি কাবাডি কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এর সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান, আব্দুস সালাম মূর্শেদী, মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, মো. মহিউদ্দীন মহারাজ এবং লায়লা পারভীন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে প্রথম বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন এবং বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়। এ সময় বৈঠকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি কাবাডি কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া কমিটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলাওয়ারী বরাদ্দকৃত ক্রীড়া সামগ্রী বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেন।

বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানসহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;