জেলে বসে কাউন্সিলর প্রার্থী সন্ত্রাসী টিনু

  • মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজি, মানুষ হত্যা, অস্ত্রবাজি ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেয়া যার নিত্যদিনের সঙ্গী সেই অপরাধী এখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী। বলছি চকবাজারের সন্ত্রাসীদের সম্রাট নুর মোস্তফা টিনুর কথা। আরো অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে তিনি এখন জেল হাজতে। সেখান থেকে কিভাবে এই অপরাধী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সে প্রশ্ন চট্টগ্রামের ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। একাধিক মামলার আসামী হয়েও প্রার্থী হয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে টিনু।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুর মোস্তফা টিনু চকবাজার যুবলীগের নেতা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলাও। টিনুর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার স্ত্রী। যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়াও পার হয়েছেন তিনি। তার অনুসারীরা চকবাজার, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ এলাকায় সক্রিয়। পাঁচলাইশ থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত ২ নম্বর সন্ত্রাসী টিনুর ভাই নুরুল আলম চকবাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। এছাড়া তার পক্ষে মাঠে আছেন একই থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী কায়সার হামিদ, সাদ্দাম হোসেন, মো. নাছির ওরফে লম্বা নাছির, জসিম উদ্দিন, শাহাদাত হোসেনসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সূত্র বলছে, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর নূর মোস্তফা টিনু র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হন। হত্যা-চেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ পাঁচ মামলার আসামি ও পাঁচলাইশ থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত ১ নম্বর সন্ত্রাসী টিনু এখন কারাগারে। তার বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাংকে নেতৃত্ব দেওয়া ও অস্ত্রবাজির অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ৬ এপ্রিল বাকলিয়া থানা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। সেই সময় ব্যবসায়ী লোকমানকে হত্যা করা হয়। এরপর টিনুর অনুসারী সাইফুল পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' মারা যান।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল ইসলাম বাবু বার্তা২৪.কমকে বলেন, একাধিক মামলার আসামি নির্বাচন করতে পারবেন না সেরকম কোনো বিধি নিষেধ নেই। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ এসব সন্ত্রাসী যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে জনগণ কি পাবে আর একজন ভাল মানুষ যদি ক্ষমতায় তখন তারা কি পাবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চসিক নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫২ জন। ওই নির্বাচনে ৬ মেয়র, ১৬১ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫৬ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।