অসুস্থ শিশুকে স্কুলে না পাঠানোর নির্দেশনা ইউনিসেফের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুদের শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রাখা এবং অসুস্থ হলে তাদের স্কুলে যেতে না দিয়ে বাড়িতে রাখার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে ইউনিসেফ।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ থেকে শিশুদের রক্ষা এবং বিদ্যালয়কে নিরাপদ রাখতে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি), ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার (মার্চ ১১) নতুন নির্দেশনা দিয়েছে।

বিদ্যালয়কে নিরাপদ রাখতে জরুরি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশনায়। শিক্ষাগত সুযোগ-সুবিধার জন্য কীভাবে জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং প্রয়োগ করতে হবে সে বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশনাটিতে।

পিতামাতা এবং সেবাদানকারীদের পাশাপাশি শিশু এবং শিক্ষার্থীদের নিজেদের জন্য সহায়ক টিপস এবং যাচাই তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে নতুন এই নির্দেশিকায়। এসবের মধ্যে রয়েছে, শিশুদের শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রাখা এবং অসুস্থ হলে তাদের স্কুলে যেতে না দিয়ে বাড়িতে রাখা, শিশুদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে এবং তাদের উদ্বেগগুলো প্রকাশ করতে উৎসাহিত করা এবং কোনও টিস্যুপেপার বা নিজের কনুই দিয়ে ঢেকে কাশি বা হাঁচি দেওয়া এবং নিজের মুখমন্ডল, চোখ, মুখ এবং নাক স্পর্শ না করা।

স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে, শিশুদের পড়াশোনার এবং সুস্থতার ওপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব কমানোর সুপারিশ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। এর অর্থ হলো— অনলাইন শিক্ষার কৌশল ও শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়কে বেতারের মাধ্যমে সম্প্রচারের মতো দূরবর্তী শিক্ষণ পদ্ধতিসহ শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা, এবং সকল শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সেবাসমূহের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এছাড়াও, স্কুলগুলো পুনরায় খোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়টিও এই পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত।

যেসব অঞ্চলে স্কুল এখনও খোলা আছে, সেসব জায়গায় যাতে শিশু এবং তাদের পরিবার সুরক্ষিত থাকে এবং তারা যেন জরুরি বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত থাকে তা নিশ্চিত করার কথা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। সেগুলো হলো— শিশুরা কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে সে সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা, সর্বোত্তম পদ্ধতিতে হাত ধোয়া ও স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন অনুশীলন পদ্ধতি প্রচার করা ও হাইজিন পণ্য সরবরাহ করা, স্কুল ভবনগুলো, বিশেষত পানীয় এবং স্যানিটেশন সুবিধাসমূহ, পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা এবং বাতাসের প্রবাহ ও অবাধ চলাচল বৃদ্ধি করা।

ইতোমধ্যে যেসব দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে, সেসব দেশ ছাড়াও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা প্রাসঙ্গিক হবে। স্কুলে ও নিজেদের বাড়িতে এবং শিক্ষার্থীদের কমিউনিটিতে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে শিক্ষার্থীদের দূত হিসাবে কাজ করতে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অন্যদের সাথে সাথে রোগটির প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলার মাধ্যমে একাজটি করতে পারে।

বন্ধের পরে নিরাপদ স্কুল কার্যক্রম পরিচালনা করা বা বন্ধের পরে পুনরায় স্কুল খোলার জন্য অনেকগুলো বিষয় বিবেচনার প্রয়োজন হয়। এসব কার্যক্রম যদি ভালোভাবে পরিচালনা করা যায়, তা জনস্বাস্থ্যের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইবোলা ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিওনে নিরাপদ স্কুল নির্দেশিকাগুলো কার্যকর করা হয়েছিল, যা স্কুল-ভিত্তিক ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সহায়তা করেছিল।

স্কুলগুলো খোলা থাক বা দূরবর্তী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা হোক - সকল ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে ইউনিসেফ স্কুলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

শিশুদের নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে রক্ষার জন্য হাত ধোয়া ও অন্যান্য পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্কুলগুলিতে সরবরাহ করা উচিত। এছাড়াও স্কুলগুলোর উচিত মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করা; শিক্ষার্থীদের একে অপরের প্রতি সদয় আচরণ করতে উৎসাহিত করা এবং ভাইরাসটি সম্পর্কে কথা বলার সময় গৎবাঁধা চিন্তা এড়াতে কুসংস্কার ও বৈষম্য রোধে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা।

   

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার সদর উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামি মো. মামুন (২৯) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওয়ারেন্ট সূত্রে জানা যায় জানিয়ে শিহাব করিম বলেন, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল ভিকটিম সাইদুল ইসলাম সন্ধ্যার দিকে শহরের দত্তবাড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় যায়। ভিকটিম রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের বলে যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় আছে। এরপর থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে ভিকটিম বাড়ি না ফিরলে পরদিন সকালে শহরের ধরমপুর গড়েরহাট এলাকায় ঈদগাহ মাঠের পাশে একটি বাগানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়ারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ৫ বছর জেল হাজতে কারাবাসের পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন নিয়ে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। 

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। বগুড়ার বিজ্ঞ ১ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বিচারকার্য শেষে মো. মামুন এর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড সাজা প্রদানপূর্বক গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ডিএমপি দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে আসামি মো. মামুনকে গ্রেফতার করে। 

তিনি বলেন, জানা যায় আসামি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে থাকত। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

তীব্র তাপপ্রবাহ: প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সারাদেশে তিন দিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল রোববার খুলবে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

;

বরিশালে ঋণের চাপে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শারমিন জানান, ডালিয়া বেগম বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির লোকজনের চাপে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। ধারণা করছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

বরিশাল বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ডালিয়া বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

;

গরমে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। অসহনীয় এই গরম থেকে বাঁচতে সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন চার্জার ফ্যান কিংবা এসি। যে কারণে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকানে বাড়ছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা। সাধারণ সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে অন্যান্য ফ্যানের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যানের দাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর নবাবপুরের ইলেকট্রনিক সামগ্রীর পাইকারি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার মার্কেটটির সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও দেশের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে চার্জার ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যানের চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু দোকান খোলা রয়েছে। এখানকার দোকানিদের দাবি, ফ্যানের চাহিদা বাড়লেও দেশে অন্যান্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি ফ্যানের দাম।

সিলিং ফ্যানের দাম স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে দোকানিরা বলেন, নন-ব্যান্ড সিলিং ফ্যানের দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু এবং ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যানের দাম শুরু ২৮০০ টাকা থেকে। বিভিন্ন কোম্পানির স্ট্যান্ড ফ্যান আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা এবং তার বেশি দরে। 


তবে দেশজুড়ে রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদার সাথে বেড়েছে দামও। ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম রাখা হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৪ ও ১৮ ইঞ্চির ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়।

নবাবপুরে মামুন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মীর মো. মামুন বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্তমান বাজারে ফ্যানের চাহিদা থাকলেও দেশের বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র চার্জার ফ্যানের দাম গত বছরের তুলনায় আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে।

একই মার্কেটের হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান বলেন, গরমে চাহিদা বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। তবে ঈদ আর বৈশাখের লম্বা ছুটির কারণে দেশে যে চার্জার ফ্যানগুলো অ্যাসেম্বল করা হতো সেগুলো পর্যাপ্ত করতে না পারায় চার্জার ফ্যানের দাম কিছুটা বেড়েছে।

একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন এসেছেন চার্জার ফ্যান কিনতে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে গরম পড়ছে, যদি ট্যাকা থাকতো তাইলে একটা এয়ার কন্ডিশনই কিনতাম। কিন্তু চার্জার ফ্যানেরই যে বাজেট নিয়া আইসি অইটা দিয়াও হইবো না। বউরে ফোন দিয়া কইলাম আরও ৫০০ ট্যাকা মোবাইলে পাঠাইতে।


চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন এমন আরও একজন মহিমা হালদার। ১১ মাসের একটি পুত্রসন্তানের মা তিনি। গরমে বিরক্তি নিয়ে বলেন, এমন গরমে ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চালাইয়াও আমরা বড়রাই গরম সহ্য করতে পারতাছি না। আর ১১ মাসের ছোট্ট বাচ্চায় ক্যামনে সহ্য করব। অন্য খরচ বাদ দিয়াই একটা ফ্যান কিনতে আসা।

এদিকে চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসিরও। বেড়েছে দামও। বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিক্সের কয়েকটি শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ওয়ালটনের এক টনের এসি ৬৫ হাজার ও দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়। কিছুটা কমে যমুনার এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ইনভার্টারসহ ৪৯ হাজার ও ইনভার্টার ছাড়া ৪২ হাজার টাকায়। আর দেড় টনের এসি ইনভার্টারসহ ৬৭ হাজার এবং ইনভার্টার ছাড়া ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ওয়ালটন এবং যমুনার বিক্রয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্রির সময় পণ্যের মূল দাম থেকে ক্রেতাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

;