স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজ-রসুনের বাজারে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দাম কমেছে পেঁয়াজের, ছবি:সুমন শেখ

দাম কমেছে পেঁয়াজের, ছবি:সুমন শেখ

অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজের বাজারে। পেঁয়াজের দাম কমে এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি কমেছে রসুনের দামও। দেশের কৃষকের উৎপাদিত প্রতি কেজি নতুন রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি। তবে দাম কমেনি চায়না থেকে আমদানি করা রসুনের। এখনো প্রতি কেজি চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

সবজির দাম সহনীয়, ছবি:সুমন শেখ

তবে দেশি পেঁয়াজের দাম কমলেও দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম তেমন কমেনি। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা দাম কমে বার্মিজ পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, চায়না পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার ( ১৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর সব চেয়ে বড়কাঁচা বাজার কারওয়ানবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

সবজির দাম সহনীয়, ছবি:সুমন শেখ

বাজার ঘুরে দেখা যায়, চীন থকে আমদানিকৃত প্রতি কেজি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা ১৬০ থেকে ১৮০, থ্যাইলান্ডের আদা ১৪০ থেকে ১৫০, ইন্দোনেশিয়ার আদা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কমকে বলেন, দেশি রসুনের দাম অনেক কমেছে। বলা চলে প্রতিদিনই দাম কমছে। তবে চায়না রসুনের দাম খুব বেশি কমেনি। নতুন রসুন উঠেছে মূলত এ কারণে রসুনের দাম কমেছে।

সবজির দাম সহনীয় আছে, ছবি:সুমন শেখ

সবজির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে সজিনা ডাঁটার দাম সাধারণ ক্রেতার আয়ত্তের বাইরে। প্রতি কেজি সজিনা ডাঁটার দাম ২০০ টাকা। কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু ২০ টাকা, লাউ আকার ভেদে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কেজি প্রতি মুলা ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, করোলা ৪০, ফুলকপি আকার ভেদে প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লেবুর হালি ২০ টাকা, কেজি প্রতি গাজর ৩০ টাকা ও শসা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের, ছবি:সুমন শেখ

গত সপ্তাহের মত এ সপ্তাহেও মাংসের দাম একই রকম রয়েছে। মাংসের বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৭০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা এবং বকরির মাংস ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, কক মুরগি ১৯০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৭০ থেক ১৯০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ টাকা কেজি, শিং মাছ ৫০০ টাকা কেজি, টেংরা ৫০০ টাকা কেজি, রুই আকার ভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, ছোট মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, পাবদা ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়।

সবজির দাম সহনীয় আছে, ছবি:সুমন শেখ

তবে কারওয়ানবাজারের সঙ্গে বাজার দরের মিল নেই অন্য বাজারগুলোতে। বাজার ভেদে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।