বীজ সংকটেও রংপুরে বেড়েছে সূর্যমুখীর চাষ



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে বেড়েছে সূর্যমুখীর চাষ, ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরে বেড়েছে সূর্যমুখীর চাষ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর অঞ্চলে সূর্যমুখী ফুল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়লেও বীজ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। এবছরও পর্যাপ্ত না থাকায় অর্জিত হয়নি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন বেড়েছে ৭২ হেক্টর জমিতে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, রংপুর অঞ্চলে সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত মৌসুমে বাণিজ্যিকভাবে তিন হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এবার তা বেড়ে ৭৫ হেক্টর ছাড়িয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রংপুরের বিভিন্ন এলাকাতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করছেন কৃষকরা। বিশেষ করে পতিত জমিতে এই ফুলের চাষাবাদ বেড়েছে। ভালো ফলন ও বেশি লাভের আশায় নিয়মিত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

রংপুরের গঙ্গচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের রাজবল্লভ গ্রামের কৃষক আলমোতাসিম বিল্লাহ। এবারই প্রথম ৩০ শতক জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। তার চাষ করা জমিতে ফুটেছে হাজারো সূর্যমুখী ফুল।

রয়েছে বীজ সংকট

বার্তা২৪.কম-কে এই কৃষক জানান, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সূর্যমুখীর বীজ বপন করেন। তার জমিতে প্রায় ১০ হাজার সূর্যমুখী গাছ রয়েছে। আকারভেদে একেকটি ফুল থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত বীজ পাওয়া যাবে।

পীরগাছার তাম্বুলপুর এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কম-কে জানান, তার ৫০ শতক জমি থেকে উৎপাদিত বীজে তিনশ থেকে ৪৫০ লিটার তেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফসল ওঠা পর্যন্ত তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তবে ফলন ভালো হলে ওই ফসল ত্রিশ হাজার টাকার বেশি বিক্রয় করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে, সূর্যমুখী ফুল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। চাষিদের বীজ সরবরাহ করাসহ সার ও কীটনাশক দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রামের উলিরপুরে সূর্যমুখীর ফুল

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গত বছর কোনো লক্ষ্যমাত্রাই ছিল না। তারপরও রংপুরে তিন হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছিল। এবার ১৭৭ হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বীজ সংকটের কারণে ৭৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সূর্যমুখী ফুলের চাষ রংপুর জেলায় হয়েছে। এখানে ৩৩ হেক্টর জমিতে কৃষকরা সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছে। এছাড়াও কুড়িগ্রামে ২২ হেক্টর এবং গাইবান্ধা ও নীলফামারীতে ১০ হেক্টর করে জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হয়েছে।’

   

পঞ্চগড়ে স্থানীয়দের চাকরি দেয়ার দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ে আদালতের বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয়দের পরিবর্তে অন্য জেলার বাসিন্দাদের চাকরি দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আইনজীবীরা।

জেলার সচেতন আইনজীবীবৃন্দ ও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় বক্তারা জেলা জজ আদালতে স্থানীয় প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সময় দ্রুত এই দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

মানববন্ধনে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের, অ্যাডভোকেট ওয়াদুর রহমান রাজনসহ স্থানীয় আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত পঞ্চগড়ের মানুষ। এ বিষয়ে প্রতিবাদ না হওয়ায় নিশ্চুপ হয়ে আছে বিষয়টি। একই সময় জেলা জজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, আপনি সুষ্ঠু বিচার কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি এই নিয়োগে স্থানীয়দের অধিকার নিশ্চিত করবেন। আমরা বিশেষ কোন প্রার্থীর কথা বলছি না, আমরা দেখেছি স্থানীয়দের পরিবর্তে অন্য জেলার মানুষদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আপনাদের যদি পক্ষপাতিত্ব করতে হয় তবে পঞ্চগড়ের মানুষের জন্য করেন। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। পঞ্চগড়ের মানুষকে নিয়োগ দেয়াটা আমাদের সকলের যৌক্তিক দাবি।

;

লাইসেন্স দিলে সরকারকে রাজস্ব দেবে অটোরিকশা সংগঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। যার অধিকাংশই অবৈধভাবে চলছে এবং সরকার এর থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। রাজস্বের টাকাগুলো চাঁদাবাজির মাধ্যমে চলে যাচ্ছে তৃতীয় পক্ষের হাতে।

এ সব অটোরিকশাকে লাইসেন্সের আওতায় এনে সরকারকে আগামী ৫ বছরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি এন্ড মোটরচালিত অটোরিকশা অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি এন্ড মোটরচালিত অটোরিকশা অটো বাইক সার্ভিস লিমিটেড - এর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম এ কথা বলেন।

মো. আবুল কালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ও ২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে দশ বছরে বিআরটিকে ইজিবাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি ও প্রশিক্ষণ বাবদ আনুমানিক ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিব বলে আবেদন করি। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল এক আদেশে মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সব সড়কে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চলাচলে বৈধতার আদেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বিআরটিএ সংস্থাপন অধিশাখা বিআরটিএ ১০ সদস্যের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা- অটোবাইক আনুমানিক ৪০ লাখ অবৈধ অটোরিকশা চলছে। মন্ত্রণালয় এসমস্ত গাড়িগুলোকে নীতিমালা আনতে পারছে না এবং উচ্ছেদও করতে পারছে না। ফলে গাড়িগুলো থেকে দেশের একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র পরিবহন খাতকে জিম্মি করে ও বিআরটিকে হাত করে প্রতি মাসে শত শত কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে। যার ফলে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের একমাত্র লক্ষ্য সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করে সরকারকে উন্নতি সাধনের মাধ্যমে সর্বদা সচেষ্ট থাকা। কিন্তু আমরা দেখছি সেটির বিপরীত চিত্র।

তিনি আরও বলেন, আমার কোম্পানির লোগো ও ব্যানার ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশ থেকে কাজ পরিচালনা করে সরকারের তিন সংস্থা এনবিআর, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার বিভাগকে রাজস্ব দিতে ইচ্ছুক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, ডিরেক্টর মো. মুজিবুর রহমান রানা, আক্তার আহমেদ, মার্কেটিং ম্যানেজার আনোয়ারুল কবির প্রমুখ।

;

কটিয়াদীর রেইনট্রি কাননে তীব্র দাবদাহে প্রশান্তির ছোঁয়া



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছের সমারোহ৷ চারদিকে ছেয়ে আছে সবুজ ডালপালা। প্রায় অর্ধশত বছর হতে চলেছে এসব গাছের। রাস্তার দুইপাশে নদী থাকায় খোলা বাতাস সবসময়ই থাকে। পুরনো এসব গাছের শীতল ছায়া এখন পথিকদের দিচ্ছে শান্তির সুবাতাস। শরীর শীতল করা এই ছায়ায় এসে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়৷ বর্তমানে বৈশাখে দারুণ সৌন্দর্য দেখাচ্ছে গাছের সবুজ পাতা৷ বসন্তের শিমুল ফুলের সৌন্দর্যও দেখার মতো৷

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার থানার সামনে নদীর বাঁধে এমনি মনোমুগ্ধকর বনায়ন রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই বনায়ন প্রকৃতির ভারসাম্য রাক্ষায় অসামান্য অবদান রাখছে।

কটিয়াদী উপজেলার থানার সামনে নদীর বাঁধে মনোমুগ্ধকর বনায়ন 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকা কিছু অংশ স্পর্শ করেছে। বাকিটুকু জালালপুর ইউনিয়নের সীমানায়। প্রায় আধা কিলোমিটারের এই বাঁধ স্বাধীনতার পর নির্মাণ করা হয়৷ বাঁধ টেকসই করার জন্য তৎকালীন জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া গাছ লাগিয়ে বনায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্যোগী হন৷ এরপরে রেইনট্রি গাছের চাড়া রোপন করা হয়৷ একসময় তা রুপ নেয় বনায়নে। বর্তমানে অযত্ন, অবহেলা ও বেদখলে সরকারি অনেক গাছ মরে গেছে৷ কিছু আধমরা অবস্থায়। তবুও কিছু এখনো টিকে আছে যা আকৃষ্ট করার মতো।


পথচারী আসাদুল ইসলাম (৪৫) বলেন, আমার বাড়ি পাশের পাকুন্দিয়া উপজেলাতে। একসাথে এতো গাছ আগে দেখিনি কখনো। তীব্র দাবদাহে এখানে এসে শীতল ছায়া পেলাম৷ মন জুড়িয়ে গেলো। যখনই আসি একটু দাঁড়িয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি।

রিকশা চালকরা জানান, যখনই এই রাস্তা দিয়ে যাই, খুবই ছায়া পাই৷ মাঝে মধ্যে রিকশার মধ্যে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি৷ এই তীব্র গরমের মধ্যে এই যায়গাটা আমাদের জন্য আল্লাহর অশেষ রহমত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বনায়নের সৌন্দর্য রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন। গাছের গোড়া দখল করে আছে অবৈধ দখলদার। বেদখল হয়ে আছে সরকারি অনেক খাস জমি। এভাবেই সরকারি যায়গা ও বনায়ন ক্রমেই বিনাশ হওয়ার পথে।

;

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরমে পথিক যখন ক্লান্ত প্রায় তখন লাল আভায় চাহনিতে প্রশান্তির ছায়া যেন বিমোহিত প্রাণজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সবুজের বুকে লালের আভায় ছেয়ে গেছে চারিদিক।

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গ্রীষ্মকালীন গাছের মধ্যে অন্যতম হলো কৃষ্ণচূড়ার গাছ। কৃষ্ণচূড়া তার লাল রঙ্গা ফুলের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে দুর্দান্ত গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া অন্যতম একটি ফুলগাছ।

কৃষ্ণচূড়ার ফুল তার সৌন্দর্যের বার্তা জানান দেয় যখন প্রকৃতি প্রখর উত্তাপ ছড়ায়। আপন মহিমায় নিজেকে মেলে ধরে প্রকৃতিতে। যে কারো মন-প্রাণের আনে প্রশান্তি। আর চোখে এনে দেয় মুগ্ধতা।


নওগাঁ সদরে মুক্তির মোড় জেলা পার্কের সামনে দেখা যায়  কৃষ্ণচূড়ার গাছের ডালে ডালে লাল ফুল ঝুলছে, ঝিরিঝিরি পাতার মাঝে  ফুল। আর সেই ফুল মন কেড়ে নিচ্ছে পথচারী আর প্রকৃতির প্রেমীদের। শস্য-শ্যামলা আর সবুজে ঘেরা বাংলার রূপ, এই রূপকে আরও নতুন করে রূপ দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়ার ছড়িয়ে দেওয়া সৌন্দর্য। এছাড়াও পার-নওগাঁ, বক্তারপুর, চাকল এসব স্থানে কৃষ্ণচূড়া গাছের দেখা মিলে।

কথা হয় পথচারী আব্দুল মুমিনের সাথে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, চারিদিকে তাপদহ চলছে, গরমে অশান্তি লাগলেও এরমধ্যে কিছু সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে যেমন কৃষ্ণচূড়ার ফুল। দূর থেকে সবুজের মধ্যে লাল দেখা যা। আবার কাছে আসলে লাল রঙের ছড়াছড়িতে আরো বেশি ভালো লাগে। রাস্তার চারিদিকে বেশি বেশি কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে আরো বেশি ভালো লাগবে।


শাহিন নামের এক রিকশা চালক বলেন, শহরের মধ্যেই আমি রিকশা চালাই তাই অনেকবার দেখা মিলে কৃষ্ণচূড়া গাছের। যতবার কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখতে পাই তাকিয়ে থাকি কারণ আলাদা সৌন্দর্য দেখতে পাই কৃষ্ণচূড়া ফুলের মধ্যে।

গরমের প্রচন্ড আভায় লুকায়িত সৌন্দর্য ফুটে তুলে কৃষ্ণচূড়ার ফুল। গাছ যেমন পথিককে ছায়া দেয় আবার অক্সিজেনও দেয় তাই বেশি বেশি লাছ লাগানো প্রয়োজন। রাস্তার পাশে নানারকম ঔষধি গাছ থেকে শুরু করে সৌন্দর্য বর্ধনে চারা রোপণ করা জরুরি। রোদের সময় প্রকৃতি যেমন ঠান্ডা থাকবে তেমনি প্রাকৃতিক ভারসাম্যও রক্ষা পাবে, বলছিলেন পথচারিরা।

;