অনির্দিষ্টকালে পরিবহন ধর্মঘট ও কর্মবিরতির ডাক
ঢাকা: এবার সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ও কর্মবিরতি ডেকেছে বাস শ্রমিক মালিকদের একাধিক সংগঠন।
শুক্রবার (৩ আগস্ট) থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা দেশে কোন বাস চলবে না। তবে সন্ধ্যার পর আগের মতো চলাচল করবে।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রাতে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের সংগঠন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও সড়ক পরিবহন মলিক সমিতিসহ একাধিক সংগঠন এই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।
দুই সংগঠনের দু’জন নেতা রাতে নাম প্রকাশ না করে বার্তা২৪.কম কে নিশ্চিত করেছেন।
তাদের বক্তব্য, সড়কে বাস চলাচলে সরকার কোন নিরাপত্তা দিতে পারছে না। বিভিন্ন স্থানে বাস ভাংচুর চলছে। এ অবস্থায় তারা কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন।
এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা সিটি ও আন্তজেলা সব অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।
গত দু’দিন থেকে পরিবহন মালিকরা অনানুষ্ঠানিক ভাবে এক ধরনের পরিবহন ধর্মঘট পালন করছিলেন। প্রথম দিন ঢাকা সিটি এবং দ্বিতীয় দিন তার সঙ্গে আন্তজেলা রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এতে মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলোর আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা ছিলো না।
শুক্রবার থেকে তারা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ও কর্মবিরতির ডেকেছেন।
এদিকে সোমবার মন্ত্রীসভায় সড়ক পরিবহন আইন পাশ হওয়ার কথা। শ্রমিক মালিকদের আন্দোলনের ফলে এ আইন পাশ হওয়া নিয়ে নতুন অশ্চিয়তা তৈরী হলো।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী দুদিন থেকে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলে আসছেন, আগামী মন্ত্রীসভার বৈঠকে সড়ক পরিবহন আইন পাশ হবে। এটি পাশ হলে সড়কে বিশৃঙ্খলা দুঘটনার মতো পরিস্থিতি সমাধান হবে।
বিভিন্ন সময় এ আইনের সমালোচনা করে আসছে মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলো। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে আইন পাশে তরিঘড়ি করা হলেও এবার পাল্টা শ্রমিক মালিকদের আন্দোলন শুরু হওয়ায় নতুন সংকটের তৈরী হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র বলছে।
২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের ওপর বেপরোয়া প্রতিযোগিতারত বাস উঠিয়ে দিলে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আবদুল করিমের মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এবং ১৫ জন আহত হয়। এর প্রতিবাদে তখনই সড়কে প্রথম নামে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষাথীরা।
পরে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার অন্যান্য স্কুল কলেজে। তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও যোগ দেয়। এ অবস্থায় দেশব্যাপি বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন চলছে। ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্র ও শনিবার দুদিন বিরতি দিয়ে রোববার থেকে আবার নামবে শিক্ষার্থীরা। আগের মতোই চলবে অবরোধ।