ভাড়া মওকুফ করলেন সিলেটের বাড়িওয়ালা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিপাকে পড়েছেন সিলেটের নিম্ন আয়ের মানুষ। আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে বাড়ি ভাড়া দিতে পারছে না। এই সংকট মোকাবিলায় দশটি নিম্নবিত্ত পরিবারের বাসা ভাড়া মওকুফ করেছেন সিলেট নগরে ইলাশকান্দির লোকমান আহমদ নামে এক বাড়িওয়ালা। বাড়ি ভাড়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলও মওকুফ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইলাশকান্দি এলাকার তিন তলা ফিরোজ মঞ্জিল বাসার মালিক লোকমান আহমদ। এই বাসায় দশটি পরিবার বসবাস করে। তারা বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। করোনাভাইরাসের প্রভাবে তাদের আয় রোজগার এখন বন্ধের পথে। বাড়ি ভাড়া না থাকায় অনেকে বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ার কথাও ভাবছিলেন। তবে বাসা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফ হওয়ার স্বস্তি পেয়েছেন তারা।

বাসার মালিক লোকমান আহমদ বাসার সামনে একটি নোটিশ টাঙিয়েছেন। নোটিশে লেখা ছিল, প্রিয় ভাড়াটিয়াগণ, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনাদের আগামী এক মাস (মার্চ) মাসের ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা হলো।

এ বিষয়ে ইলাশকান্দি এলাকার ফিরোজ মঞ্জিল বাসার মালিক লোকমান আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের সবদিক থেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। সরকার একা কিছুই করতে পারবে না। আমার চেষ্টা হলো, মানুষের মধ্যে একটু ইতিবাচক ভাব নিয়ে আসা।

তিনি বলেন, ফেসবুকে দেশের বিভিন্ন এলাকার অনেকে বাড়ি ভাড়া মওকুফ করার খবর দেখেছি। তাদের দেখে আমিও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কসবা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি কৃষক আহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি কৃষক আহত।

মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ১১ টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ধজনগর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে আজম আলী ভূইয়া (৫৫) একই গ্রামের মৃত লোকমান ভূইয়ার ছেলে ইকবাল ভূইয়া (৪৫)।

সুলতানপুর ৬০ বিজিবি'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ বলেন, সকালে ওই দুই কৃষক ধজনগর সীমান্তের সীমা রেখার পাশে গরু চড়াছিলেন। এ সময় আচমকা বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে ছিটা গুলি নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের দ্রæত উদ্ধার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। বর্তমানে দুইজন শংকা মুক্ত।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাটির পর পর বিষয়টি বিএসএফ’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিকেলে এ বিষয়ে বিজিবি - বিএসএফ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

;

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

মঙ্গলবার ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। এর আগে সকালে আদালতে হাজির হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অন্য তিনজন হলেন- এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

আদেশের পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

;

নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ছিদ্দিক উল্যাহ (৬৮) উপজেলার মধ্য নাজিরপুর গ্রামের মৃত ছাইদুল হকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি চৌমুহনী পৌরসভার চৌরাস্তা মোড় এলাকার রাস্তা পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে ওই সময় ট্রাকচালক ও তার সহকারী কৌশলে পালিয়ে যায়।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ট্রাক বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

কোরবানির হাট মাতাবে ‘রাজ বাহাদুর’!



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)  
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ষাঁড় গরু প্রস্তুত করেছেন কৃষক মতি মিয়া। বীরনোয়াকান্দি এলাকায় বিশাল গরুটি দেখতে ভিড় করছেন মানুষ। রাজ বাহদুরকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন লোকজন ছুটে আসছেন।

শাহিয়াল জাতের বিশাল আকৃতির এ গরুর উচ্চতা ১৮০ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ২৮০ সেন্টিমিটার, আর ওজন প্রায় ২০ মণ হতে পারে বলছেন গরুর মালিক। ষাঁড়টির গায়ের রং লাল এবং সাদা। প্রথম বার এটিকে বাড়ির বাহিরে আনা হয়েছে। এখনো হাটে তোলা হয়নি।

গরুর মালিক মতি মিয়া বলেন, ১০ লাখ টাকা চাই। শাহিয়াল জাতের এ ষাঁড়টি এক বছর আট মাস ধরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করে আসছি। প্রতিদিন তার খাবারের তালিকায় থাকে ছোলা, গমের ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষার খোল, চিড়া,নরম ভাত এবং সবুজ কাঁচা ঘাস এ গরুকে প্রতিদিন দু’বার করে গোসল করাতে হয়। রোজ ৫-৬ শ’ টাকা খরচ হয়। এবার ঈদে যদি বাইরে থেকে গরু না আসে, তাহলে হয়তো আমরা আমাদের প্রকৃত মূল্য পাব।

স্থানীয় বাসিন্দা জালাল মিয়া বলেন, এটি আমার দেখা সবচেয়ে বড় গরু এলাকার মধ্যে। উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু হবে বলেই মনে করছি। অনেক যত্ন করে এটি লালন পালন করছেন। সৌখিন কোন মানুষ এটিকে কোরবানির জন্য নিতে পারে। আকর্ষণীয় হওয়ায় ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

 

;