পিপিই সংকটে সিলেটে অধিকাংশ মেডিকেল সেন্টার বন্ধ



নাবিল চৌধুরী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
হাসপাতালের সামনে বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

হাসপাতালের সামনে বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এর অভাবে ভুগছেন সিলেটের চিকিৎসকরা। পিপিই সংকটে নগরের বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রয়েছে। যেগুলো খোলা আছে সেখানেও হাতেগোনা কয়েকজন চিকিৎসক রোগী দেখছেন।

সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও স্বর্দি, কাশি ও জ্বর আক্রান্ত রোগীদের এড়িয়ে চলছেন। নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ইর্টান চিকিৎসকরা পিপিই এর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। সিলেট জেলার সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল বলছেন, সকল চিকিৎসকের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। শুধু যারা করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহজনক রোগীদের চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত তাদের পিপিই প্রয়োজন।

সিলেটে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কয়েক হাজার চিকিৎসক রয়েছেন। এর বাইরে ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স রয়েছেন আরও কয়েক হাজার। সম্প্রতি করোনাভাইরাসে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার (২৫ মার্চ) সকালে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতল চত্বরে আগের মতো ভিড় নেই। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের সংখ্যাও কম।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, আগে হাসপাতালে নিয়মিত ২ হাজার থেকে ২২শ রোগী ভর্তি হতেন। এখন ৮শ থেকে ১ হাজার রোগী ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতেন। এখন ১ হাজারেও কম রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, পিপিই সংকটে চিকিৎসকরা আতঙ্কে আছেন। পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া চিকিৎসকরা কিভাবে রোগী দেখবেন? হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাই আতঙ্কে আছেন। আমরা কিছু পিপিই পেয়েছি। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।

সিলেট নগরের ওসমানী মেডিকেল কলেজ সড়কের দুই পাশে থাকা বেশিরভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারই বন্ধ পাওয়া গেছে। যেগুলো খোলা আছে সেখানেও মাত্র কয়েকজন চিকিৎসক আছেন।

নগরের কাশলশাহ এলাকার মেডিএইড ডায়গনেস্টিক সেন্টার গিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। ডায়গনেস্টিক সেন্টারের সামনে টাঙানো এক নোটিশে লেখা হয়েছে ‘অনিবার্য কারণবশত সকল ডাক্তার চেম্বার বন্ধ থাকবে’। মেডিএইড ডায়গনেস্টিক সেন্টারে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা ইনাম আলী জানান, গত শুক্রবার থেকে ডায়গনেস্টিক সেন্টারটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানে নিয়মিত ১২ থেকে ১৫ জন চিকিৎসক রোগী দেখতেন।

সিলেটের সবচেয়ে বৃহৎ পপুলার মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে অনেকেটা ফাঁকা দেখা যায়। এ মেডিকেল সেন্টারে তথ্য ও অনুসন্ধান বিভাগের একজন কর্মী জানান, এখানে নিয়মিত প্রায় ৬০ জন চিকিৎসক রোগী দেখেন। তবে এখন রোগী দেখছেন মাত্র ৬ জন। করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম নেই এখানে। দুই একদিনের মধ্যে মেডিকেল সেন্টারটি বন্ধও হয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

নগরের রিকাবীবাজারের ট্রাস্ট মেডিকেল সার্ভিস-এর সামনে ব্যানারে সর্দি, কাশি ও জ্বর আক্রান্ত রোগীদের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। ট্রাস্ট মেডিকেল সার্ভিসেসের ম্যানেজার কামরুল ইসলাম বলেন, এখানে প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক রোগী দেখতেন। এখন শুধু এখানে জরুরি ভিত্তিতে ইসিজি সেবা দেয়া হয়। তিনি বলেন, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মেডিকেল সার্ভিস বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি হলে চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন।

একই এলাকার ইবনে সিনা ডায়গনেস্টিক সেন্টার এন্ড কনসালটেশন সেন্টারও বন্ধ প্রায়। এখানে আগে নিয়মিত ২৮ জন চিকিৎসক রোগী দেখলেও এখন দেখছেন মাত্র ৪ জন। ইবনে সিনা ডায়গনেস্টিক সেন্টার এন্ড কনসালটেশন তথ্য ও অনুসন্ধান বিভাগে কর্মরত মাসুম মিয়া বলেন, চিকিৎসকেরা নিরাপত্তা সংকটে আছেন। তাদের পিপিই নেই। আমরা চারজন আগে কাজ করলেও এখন ভাগ করে একজন কাজ করছি। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে চিকিৎসকরা আসবেন না।

এদিকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এর দাবিতে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫০ ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতি পালন করেছেন। গত সোমবার থেকে তারা কর্মবিরতিতে নেমেছেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর এক লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন, পিপিই ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ায় দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় তারা পিপিই ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, যে পরিমাণ পিপিই প্রয়োজন সেই পরিমাণ পিপিই নেই। তবে সব ডাক্তারের এখনই পিপিই প্রয়োজন নেই।

   

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;

সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।

এর আগে, ২৮ মার্চ দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুরের সদর থানার কুতইড় এলাকার বাসিন্দা ও আশুলিয়ার জামগড়া মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো.ফরিদুল ইসলাম (৪৪) এবং একই এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান (৪৫)।

ডিবি পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় তা বিক্রি করত তারা। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

;

বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযান, ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজার মনিটরিং ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বরিশালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ৪ ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল শহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন, বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মারজানুর রহমান, মোঃ শহীদ উল্লাহ ও শাহরুখ আলম শান্তনু।

এ সময় তারা নগরীর পোর্ট রোড পাইকারী ও খুচরা বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ও ভোক্তা অধিকার আইনে মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার সংরক্ষণ না করা এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূলে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ৪টি মামলায় ৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র‌্যাব-৮ এর ৩টি টিম।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

চট্টগ্রামে জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকল ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে কিভাবে এই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

কারখানাটির পাশের একটি কুলিংকর্ণারে ব্যবসায়ী সুজন বার্তা২৪.কম বলেন, আজ শুক্রবার আমি বাসায় ছিলাম। আগুন কিভাবে লাগছে জানি না। এটি মূলত রগদা নামের একটি কারখানা। এখানে জুতার সোল তৈরি করা হয়। ৫-৬ মাস আগে কারখানাটি চালু হয়। এর আগে এটি সীমস ফ্যাশন লিমিটেড লামের একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা ছিল।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

;