বিকাশ অ্যাপ এ আরো যত সেবা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে-বিদেশে প্রিয়জনের সুখ-দুঃখের খবর নিতে, পেশাগত কারণে বা আরো নানা প্রয়োজনে মোবাইল-ই ভরসা। তাই ডাটা কিংবা  টকটাইমের জন্যে মোবাইল রিচার্জ করা জরুরি হয়ে পড়ে যখন-তখন। আর সেই জরুরি সময়েই কাজটি করা এখন সবচেয়ে সহজ হয়েছে বিকাশ-এ। এমনি করেই মোবাইল রিচার্জ সহ প্রতিদিনের নানান আর্থিক লেনদেন এখন যে কোন সময় যে কোন স্থান থেকে অনায়েসে করা সম্ভব বিকাশ দিয়ে। ফলে নগদ টাকার ঝুঁকি এড়িয়ে, স্থান-কাল-পাত্রের বাধা ডিঙিয়ে সহজ, ঝামেলাহীন ও নিরাপদ ডিজিটাল লেনদেন এখন বাংলাদেশেই সম্ভব। বিশেষ করে অতি জরুরি পরিস্থিতি যেমন- প্রাকৃতিক দূযোর্গ, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কিংবা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিকাশের মত ডিজিটাল লেনদেনই হয়ে উঠে গ্রাহকের সহায়।

দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ থেকে একজন গ্রাহক যত ধরনের সেবা পেতে পারেন তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা বিকাশ অ্যাপের ‘মোর’ বা ‘আরো’ অপশন ক্লিক করেই একসাথে দেখতে পাবেন গ্রাহক। সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জের মত বহুল ব্যবহৃত সেবাগুলো ছাড়াও যে সেবাগুলো দ্রুত গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে- সেরকম কয়েকটি সেবার কথা এখানে উল্লেখ করা হলো।  

বিকাশে টাকা আনা

বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভরসা ছিল কেবল এজেন্ট পয়েন্টগুলোই। তবে সময়ের ব্যবধানে এখন একজন গ্রাহক কোথাও না গিয়ে তার ব্যাংক একাউন্টের টাকা নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসতে পারেন। ভিসা কার্ড হোক বা মাস্টারকার্ড, ক্রেডিট কার্ড হোক বা ডেবিট কার্ড  বিকাশ অ্যাপ এর এর ‘অ্যাড মানি’ অপশন থেকে কার্ড টু বিকাশ নির্বাচন করে কার্ডের তথ্য দিয়ে মুহূর্তেই নিজের বা স্বজনের বিকাশ একাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন গ্রাহক।

যে গ্রাহক অনলাইন ব্যাংকিং এ অভ্যস্ত তারা দেশের ১১টি বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাপ অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং থেকেও নিমিষেই টাকা আনতে পারেন বিকাশে।

অর্থাৎ রাত হোক বা দিন, শহর হোক বা প্রত্যন্ত গ্রাম যখনই প্রয়োজন তখনই টাকা বিকাশে আনার এই অত্যাধুনিক সেবা গ্রাহককে নিজের টাকা ব্যবহারে আরো বেশি স্বাধীনতা ও সক্ষমতা দিয়েছে। 

কেনাকাটার পেমেন্ট:

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হোক বা ফ্যাশন পণ্য, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ হোক বা জীবন সাজানোর পণ্য, বড় সুপার স্টোর হোক বা গলির ছোট দোকান অথবা অনলাইন মার্কেট প্লেস সর্বত্রই বিকাশ ব্যবহার করে পণ্যের দাম পরিশোধ সম্ভব। সারাদেশে বড়-ছোট মিলিয়ে ১ লাখের বেশি বিকাশ মার্চেন্ট রয়েছে। ফলে গ্রাহক নগদ টাকা ব্যবহার না করেই পেমেন্টের মাধ্যম হিসেবে ডিজিটাল অর্থ ব্যবহার করতে পারেন। এই মুহূর্তে ফার্মেসি থেকে ঔষধ কিনে বিকাশ পেমেন্টে মিলছে ৫ শতাংশ সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত ছাড়। অফার ক্লিক করলে ফার্মেসির তালিকাটাও গ্রাহক পেয়ে যাবেন এলাকা ভেদে। ফলে ঘরে বসেই কেনাকাটা সারতে বিকাশ পেমেন্টের সুযোগ নিতে পারেন গ্রাহক। এছাড়া বিকাশ-এ কেনাকাটায় কি অফার চলছে তা বিকাশ অ্যাপের অফার অংশ থেকে সহজেই জেনে নিতে পারেন গ্রাহক।

পে-বিল:

ডেসকো হোক বা পল্লীবিদ্যুৎ, পোস্টপেইড হোক বা প্রিপেইড, সারাদেশের সব বিদ্যুৎ বিল এখন পরিশোধ করা যাচ্ছে বিকাশ দিয়েই। যে যেখানেই থাকুন, কোথাও না গিয়ে নিরিবিছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে পারেন বিকাশ দিয়েই। কেবল বিদ্যুৎ বিল ই নয় আরো অনেক জরুরি সেবার বিল পরিশোধ করা যাবে। গ্রাহক পে বিল এর তালিকা থেকে সহজেই তার বিলার নির্বাচন করতে পারবেন।

আরো সেবা:

সাম্প্রতিক সময়ে বিকাশ অ্যাপের মেনুতে যোগ হয়েছে ‘মোর’ বা ‘আরো’ অপশন।

এই অপশনে যুক্ত হয়েছে ইন্স্যুরেন্স পেমেন্ট, ট্রাভেল বুকিং, শপিং, ট্রান্সফার মানি, টিকিট অপশনগুলো।

ইন্স্যুরেন্স: বিকাশ অ্যাপ থেকে খুব সহজেই মিলভিক বাংলাদেশের জীবনবীমা বা স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেন গ্রাহক। ইন্স্যুরেন্স অপশন থেকে হেলথ অথবা লাইফ এ ক্লিক করলেই বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন গ্রাহক এবং তার প্রয়োজন ও পছন্দ অনুসারেই নিতে পারবেন ইন্স্যুরেন্স পরিকল্পনা। বিকাশের মাধ্যমে এই ইন্স্যুরেন্স সেবা নিতে গ্রাহককে বাড়তি সময় নষ্ট করতে হবে না।

টিকিট: বিমান, বাস, লঞ্চ, ট্রেন বা মুভি টিকিট এখন বিকাশ দিয়ে কেনা যায় অনায়েসে। বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিডিটিকিটস এর মাধ্যমে যাত্রার তারিখ,সময় নির্ধারণ করে মুহূর্তেই টিকিট কিনতে পারছেন গ্রাহকরা।

ট্রান্সফার মানি: এই অপশন থেকে সিটি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন বিকাশ থেকে সরাসরি টাকা পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছেন তাদের ব্যাংক একাউন্টে।

ডোনেশন:

১ টাকায় আহার- তাদের কার্যক্রম দিয়ে ইতোমধ্যেই সাধারনের পাশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানের এই কঠিন পরিস্থিতিতে ১ টাকায় আহার এর উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নতুন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তারা তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নানান কার্যকারি উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির পাশে দাঁড়াতে বিকাশ এর মাধ্যমেই অনুদান দেয়া যাচ্ছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের লোগো সরাসারি সংযোজিত হয়েছে বিকাশ অ্যাপের সাজেশন বক্সে। এখানে ক্লিক করে খুব সহজেই এই প্রতিষ্ঠানটিকে অর্থ সহায়তা দিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহক। 

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করছে এমন আরো কয়েকটি সংগঠনকে অনুদানের দেয়া যায় বিকাশ অ্যাপ থেকেই। বিকাশের সাজেশন বক্সের ডোনেশন-এ গিয়ে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে বিকাশ অ্যাপ থেকেই ইচ্ছা অনুসারে অনুদান দিতে পারেন গ্রাহক।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্ব লড়ছে করোনা ভাইরাসের সাথে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে এবং নগদ টাকার ব্যবহার এড়িয়ে ব্যাংক, মার্কেট এর মত জনসমাগমে না গিয়েঘরে বসেই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারেন গ্রাহক।

   

হঠাৎ ঝাড়ু হাতে সিলেটের রাস্তায় তামিম ইকবাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ করে সিলেটের রাস্তায় ঝাড়ু হাতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে দেখা গেল।

শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তামিমকে নিয়ে রাজপথে নামেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র।

নগরভবনের সামনে থেকে নাগরী চত্ত্বর হয়ে সার্কিট হাউসের সম্মুখ-আলী আমজাদের ঘড়ি ঘর পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি।

নগরবাসীকে পরিচ্ছন্নতা কাজে উদ্বৃদ্ধ করতে তামিম ইকবাল এ কর্মসূচিতে অংশ নেন বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এসময় তামিম ইকবাল বলেন, সিলেট সিটিকে গ্রিন ও ক্লিন সিটি গড়ে তোলার প্রথম ধাপ। সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ভাইয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভাবে অনেক কথা হয়। আমি জানি যে সিলেটকে নিয়ে তিনি কি পরিকল্পনা করছেন। আমি বিশ্বাস করি তিনি যতদিন মেয়র থাকবেন ততদিন সিলেটের উন্নয়ন হবে। সিলেট একটি সুন্দর নগরী আধ্যাত্মিক এই নগরী আগের চেয়ে বর্তমানে আরও বেশী পরিচ্ছন্ন। আগামী সাড়ে ৪ বছরে সিলেট মহানগরী সারাদেশের জন্য একটি আদর্শ নগরী হিসাবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান মেয়রের সেই আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।

উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তামিম ইকবাল বলেন, এই কাজে কেউই সেলিব্রিটি না বা সাধারণ মানুষ না। এই কাজ আমাদের সবার করা উচিত। যখন আমরা সবাই দেশের বাইরে যাই তখন আমাদের হাতে যদি কোনো কিছুর বোতল থাকে তাহলে সেটা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে সেটা রাস্তায় ফেলি। এই মানসিকতা যদি আমরা পরিবর্তন করতে পারি তাহলে দেশটাকে পরিষ্কার রাখতে পারি।

এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট সফরে আসায় এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সিলেটের রাজপথে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে তামিম প্রমাণ করলেন তিনি শুধু খেলার মানুষই নয়, একজন দায়িত্ব সচেতন এবং সম্মানিত নাগরিক। একজন সফল মানুষ। আমাদের এই আধ্যাত্মিক নগরীতে তার ভক্ত অনুরাগীর অভাব নেই। তাকে দেখে সবাই আমাদের নগরীকে আরও বেশী পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিক হবেন উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস। সিলেট নগরীর সচেতন নাগরিকবৃন্দ তাকে ভালোবাসেন এবং মনে রাখবেন চিরদিন।

সিসিক মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল গ্রিন-ক্লিন সিলেট। তিনি তার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করছেন। পরিচ্ছন্ন নগরীর জন্য তার বড় সাফল্য, রাজপথ এবং ফুটপাত হকার মুক্ত করা। এছাড়াও পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রেও সিসিক’র কর্মীরা আগের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশী দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার ড্রেন নালা পরিস্কার করছেন তারা। তাদের তৎপরতা প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধান করছেন সিসিক’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা কর্ণেল (অব) একলিন আবেদিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্করসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সকাল হতেই কালো মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকা, নামলো ঝুম বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোর থেকেই শুরু হয় মেঘের গর্জন। কালো মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকার আকাশ। এরপরই নামলো ঝুম বৃষ্টি। সকাল সাড়ে আটটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল।

শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকায় বৃষ্টি নামে। চলতি মাসের শুরু থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-শিলাবৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।

তবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে গরম আবার বাড়তে পারে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও সকালের হঠাৎ বৃষ্টিতে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে শ্রমজীবী ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের। অনেককেই ভিজে ভিজে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই বের হতে পারেননি ঘর থেকে।

এর আগে, রাতেই দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। 

;

ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিক রেজা রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় তিনি নিজে বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার ঘোপাল গ্রামের বতুল্লার ছেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবাজ আহমদ (৩৮) ও ডালিম (৩০), একই থানার বাঘারপাড় গ্রামের আলী আমজদ।

রেজা রুবেল সিলেটের স্থানীয় নিউজ পোর্টাল সিলেট প্রতিদিন২৪ডটকম'র স্টাফ ফটো সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক।

গত বুধবার (০৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচনের সংবাদ ও ছবি সংগ্রহের সময় ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে তার উপর হামলা চালানো হয়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে এক যুবককে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তখন তিনি কেন্দ্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবাজ আহমদের নেতৃত্বে ডালিম ও আলী আমজদসহ অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। সাবাজ ও ডালিম তার তাকে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে। আলী আমজদ এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকে কিলঘুঁষি ও লাথি মারতে থাকে।

শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। রেজা রুবেলের গলায় ঝুলানো প্রায় দেড় লাখ টাকা দামের ক্যামেরা ও ৬০ হাজার টাকা দামের লেন্স এবং প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ৮ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন সহকর্মী সাংবাদিকরা তাকে নিয়ে দ্রুত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।

এদিকে অভিযোগ সংক্রান্ত ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমি থানায় নয়, বাইরে। থানায় গিয়ে দেখবো এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার সংস্কৃতি: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমাদের পৃথিবীতে এখন সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি যখন দুঃসময় পার করছিল তখন সংস্কৃতি শক্তভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পাশে ছিল, আশা করি আগামীতেও থাকবে। অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে সংস্কৃতি।

শুক্রবার (১০ মে) নগরীর চকবাজারস্থ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে সঙ্গীত ভবনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বনবীতি সেনগুপ্তার ৩৩তম মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনে শিক্ষাগুরুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বনবীতি সেনগুপ্তার কাছ থেকে সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করে আজকে অনেকে বড় শিল্পী হয়ে উঠেছেন। সঙ্গীত ভবন থেকে শুরু করে সঙ্গীতের জন্য বনবীথি সেনগুপ্তার অবদান অপরিসীম। তিনি আমাদের কাছে সবসময় স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন। 

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ভবনের সভাপতি ড. সেকান্দার চৌধুুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও অনেক গুণী শিল্পী ও সঙ্গীততজ্ঞ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। 

;