নিয়মিত জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন

নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে সূর্যসেন হলের সামনে থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজ শুরু করেন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়াটার ব্রাউজার ব্যবহার করে তিনি এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বুধবার (১৮ মার্চ) থেকে নিজ উদ্যোগে উক্ত ওয়ার্ডের বিভিন্ন আবাসিক এলাকার দরজার হাতল, সিড়ির রেলিং সহ হাতের স্পর্শ লাগে এমন স্থানে মেশিনের সাহায্যে জীবাণুনাশক স্প্রে করার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করেন তিনি।

পানির সাথে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন হল, ফুলার রোড, পরিবাগ, হাতিরপুল, বুয়েটসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি নিয়মিত কর্মীদের সাথে থেকে কোন‌ কোন স্থানে স্প্রে করতে হবে তার দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের এলাকায় মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করা শুরু করি। এরপর সিটি করপোরেশন থেকে দুটি ওয়াটার ব্রাউজার নিয়ে নিয়মিত জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। ওয়াটার ব্রাউজারে ব্লিচিং পাউডার আটকে গেলে আলাদা পাইপ ব্যবহার করেও জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পানি নেওয়া হচ্ছে।

উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণের ভোটে আমি জয়ী হয়েছি। যদিও এখনো দায়িত্ব হাতে পায়নি তবুও তাদের প্রতি একটি দায়বদ্ধতা আমার রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই এই কাজ করছি। এটা আমার নৈতিক কর্তব্য। আমার এই এলাকার কোনো মানুষ যেন এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত না হয় তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। এছাড়া আমি আর একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছি সেটি হলো নিম্ন আয়ের মানুষরা এখন ঘরে ঢুকে গেছে তাদের আয়ের উৎস একেবারেই নেই বললেই চলে। তাই তাদের জন্য চাল-ডালের ও হাত ধোয়ার সাবানের ব্যবস্থাও করবো । সেটা আগামী রোববার থেকে শুরু করার ইচ্ছা আছে।

ঝুঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি পর্যাপ্ত প্রটেকশন নিয়ে বের । আর আমি নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে থেকেই এই কাজ করাচ্ছি তাই মনে করছি এতে খুব বেশি ঝুঁকি নেই। আমাকে তাদের সাথে থাকতে হচ্ছে কারণ কর্মীরা সব এলাকা ভালো করে চেনে না অলিগলি কোথায় কি আছে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে কাউন্সিলরদের এমন কার্যক্রম শুরুর পরে ডিএনসিসি (২২ মার্চ) থেকে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আটটি ট্রাকে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিএনসিসি।