প্রধানমন্ত্রী ভাষণে মিথ্যার ফানুস উড়াননি: কাদের

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ বাস্তবতার নিরিখে স্বাভাবিক ভবিষ্যতের রূপরেখা বলে জানালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে মিথ্যার ফানুস উড়াননি। তিনি অবস্থান ও কল্পনাপ্রসূত প্রতিশ্রুতিও দেননি। তিনি বাস্তবতার নিরিখে স্বাভাবিক জীবনের দরজায় কড়া নাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্টি সংকট মোকাবিলার রূপরেখা ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।'

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ দফতর সম্পাদক আবু সায়েম খান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাঙালী জাতির নেতা হিসেবে পূর্ব প্রস্তুতি বর্তমান প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। করোনা সংকট মোকাবেলায় বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা থেকে শুরু করে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা, হাসপাতাল প্রস্তুত ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক সম্পন্ন সকল কার্যক্রমের কথা তিনি তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে এই সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস আমাদের অভিন্ন শত্রু, এই শত্রু মোকাবেলা করাও একটা যুদ্ধ। ঘরে ঘরে আমরা দুর্গ গড়ে তুলব, ঘরে বসেই প্রাণঘাতী করোনাকে মোকাবিলা করব। আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় ইনশাল্লাহ এ যুদ্ধে জয়ী হবো।

কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে প্রদত্ত দিক-নির্দেশনাগুলো ছিল নির্মোহ, নির্মেদ ও আশা জাগানিয়া। অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটের মুখে নিশ্চিত সমাধানে যেখানে সারাবিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, কতিপয় মহল বা কিছু ব্যক্তি সংকট ও সম্ভাবনার কথা বিশ্লেষণ না করে বরাবরের মতো ছিদ্রান্বেষণই হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট নিরসনে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে যেখানে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন সেখানেও তারা বিভেদের রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জাতির অভিভাবক হিসেবে দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে। বাঙালি বীরের জাতি, নানা দুর্যোগ-সংকটে বাঙালি জাতি সম্মিলিতভাবে সেগুলো মোকাবিলা করেছে'।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ জনগণের একজন হয়েই গণ-দায়িত্ববোধ সৃষ্টির মাধ্যমে এই সংকটের মোকাবেলা করতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য সহায়তার কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, ৬ মাসের খাদ্য, নগদ অর্থ প্রদান এবং বিনামূল্যে ভিজিডি, ভিজিএফ ও ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।