করোনা ইস্যুতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
করোনাভাইরাস ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ঢাকাস্থ পাকিস্তানের হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
দুই মন্ত্রী বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আঞ্চলিক দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং হুমকি মোকাবিলার উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি জোর দিয়ে বলেছেন, সার্ককে আঞ্চলিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম মনে করে পাকিস্তান। কোভিড-১৯ কে বিশেষ ফোকাসে নিয়ে সার্কের সদস্য দেশ এবং স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সার্কভুক্ত দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে আয়োজনের প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
কুরেশি প্রস্তাব দেন, বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রথমে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা যেতে পারে।
পাকিস্তানের প্রস্তাবের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সম্মতির কথা জানান।
ফোনালাপে দুই মন্ত্রী নিজেদের সামর্থ্য ভাগ করে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল সার্কের সেক্রেটারি জেনারেলের অধীনে স্থাপন করা উচিত এবং এর ব্যবহারের পদ্ধতিগুলি দ্রুত পরামর্শের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা উচিত।
কুরেশি পরামর্শ দেন কোভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সার্কের মূল্যায়ন ও সমন্বয় করা উচিত এবং সদস্য দেশগুলোর বিশেষজ্ঞদের অবিলম্বে এ বিষয়ে কাজ শুরু করতে হবে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য করোনা মোকাবিলার অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্নত দেশ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, অভূতপূর্ব বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো যায়।
প্রস্তাবটির সাথে একমত হয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জি-৭৭ ফোরামে বিষয়টি উত্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। তারা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিবিড়ভাবে কাজ করতে সম্মত হন।