মাঠে আতিক, তাপস কোথায়!



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পুরনো ছবি

পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দিন যত যাচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। সারা পৃথিবী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত। এটাকে করোনা যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, নগরপিতা ও বিভিন্ন দফতর মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় বলা চলে কোমড় বেঁধে নেমেছে। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নয় সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ সবাই যে যার জায়গা থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। অথচ রাজধানীর অভিভাবকদের দায়িত্ব জ্ঞান নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সর্বত্র এখন আলোচনার বিষয় 'কোথায় গেছেন ঢাকার মেয়ররা'। কোনো কোনো পক্ষ বলছে তারা তো এখনো দায়িত্ব বুঝে নেননি। আবার পাল্টা প্রশ্ন নগরবাসীর মধ্যেই কাজ করতে কি শুধু দায়িত্বের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এই সংকট কালীন সময়ে নিজ নিজ উদ্যোগেও তো কাজ করা যায়।

গত ২৪ মার্চ একজন নারী গণমাধ্যম কর্মী তার ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দেন 'করোনা মোকাবেলায় ঢাকার দুই নতুন মেয়রের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।' সেখানে কেউ বলেছেন উনারা দায়িত্ব বুঝে নেননি। আবার কেউ বলেছেন জনপ্রতিনিধির কোনো চেয়ারের প্রয়োজন পড়ে না। তার উপস্থিতিই বড় মহিমাময় করে তুলতে পারে পরিপার্শ্ব।

দুই পক্ষের যুক্তিই হয়তো ঠিক। তবে মেয়র হওয়ার আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, আমি নগরপিতা না আপনাদের সেবক হিসেবে পাশে থাকতে চাই। কখনো বলেছেন নির্বাচিত হলে ১০০ দিনের মধ্যে এটা করবো, ওটা করবো।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মেয়রদের মাঠে থাকা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন ভালো মন্দ যাই হোক মাঠে আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। যদিও গুলশানে হাত ধোয়ার কর্মসূচি উদ্বোধন করা নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন। তারপরেও তিনি থেমে নেই।

নিজ উদ্যোগেই ডিএনসিসি’র বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আবার কখনো প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। ডিএনসিসি'র রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটিয়ে মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিচ্ছেন। তার চেয়ে বড় কথা এই সংকট কালীন সময়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) মেয়রের বনানী অফিসে এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০ হাজার পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন চাল, ডাল, তেল, আলু, সাবান দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।

তবে কোথাও দেখা যাচ্ছে না দক্ষিণ সিটির নব নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপসকে। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে নগরবাসীর মধ্যে। তারা বলছেন, দায়িত্বগ্রহণ করা হোক আর নাই হোক একজন সচেতন মানুষ হিসেবে দেশবাসীর এই দুর্দিনে তাকে মাঠে থাকা উচিত।

গত ১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ঢাকা- ১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। ২৮ ফেব্রুয়ারি তারা শপথ নেন। শপথের পরেই উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামকে নানা কর্মসূচিতে মাঠে নামতে দেখা যায়। কিন্তু দক্ষিণ সিটির নবনির্বাচিত মেয়র তাপসকে কিছু সংবর্ধনা ছাড়া কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। এসময় অনেকটা গণমাধ্যমও এড়িয়ে চলেছেন তিনি।

২০১৯ সালের মার্চে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে প্রথমবার বিজয়ী হন আতিকুল ইসলাম। তবে ওই মেয়াদে মাত্র ৯ মাস দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান তিনি। আইনি জটিলতায় ওই বছরের ডিসেম্বরেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আবারও একই পদে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারির ওই নির্বাচনে জয়ী হলেও চলমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাকে। এজন্য আগামী ১৪ মে বোর্ডের মেয়াদ পূর্তির পর তিনি ডিএনসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। তবে তার আগেই নগরবাসীর পাশে দাঁড়াতে অনানুষ্ঠানিকভাবে মাঠে মেনে পড়েছেন তিনি।

জানতে চাইলে আতিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'এখন আমি মেয়র হিসেবে নয় একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এবং সাবেক মেয়র হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা প্যানেল মেয়রের সঙ্গে শেয়ার করছি। আমি মানুষের পাশে ছিলাম আছি। শুধু চেয়ারে বসলেই কাজ করবো তা নয়। আমি শপথ নেওয়ার পর থেকে কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে মশক নিধন কার্যক্রমের খবর নিচ্ছি। এটা নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি চাই অন্যরাও এই দুর্যোগকালীন সময়ে এগিয়ে আসুক।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে না হোক সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে করোনা সংকট কালীন সময়ে নিজ উদ্যোগে কোনো কর্মসূচি নিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

   

শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশু অপহরণের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর একটি অপহরণ চক্রকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রমনা বিভাগ।

ডিবি বলছে, অপহরণকারীরা নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে চাহিদা মতো অর্ডার নিয়ে এরপর মাঠে নামত। পরবর্তীতে চাহিদা মতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিত। সম্প্রতি একই কায়দায় রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করে কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় নিয়ে বিক্রি করে দেয় চক্রটি। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতারকৃতরা হলো- অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২), তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) ও ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।

ঘটনার বিষয়ে হারুন বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ থানার নিউ মডেল টাউন এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশা চালক নুরল দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। গত ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ৬ বছর বয়সী মেয়ে তাবাস্‌সুম ও ছেলে তাওসীন খেলতে যায়। এই সময়ে শিশুদের নারী তাদের সঙ্গে ছিল। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পড়া নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানির সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এর কিছু সময় তাদের নানি বাচ্চাদেরকে বাসার সামনে রেখে বাসায় চলে যায়। এ সুযোগে বোরকা নারী শিশুদেরকে ইশারা দিয়ে ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেয়। চিপস নিয়ে তাবাচ্চুম বাসায় ফিরে গেলেও মিশু তাহসিনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে ওই নারী তাহসিনকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যায়।


তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ছায়া তদন্তে নেমে অপহরণ চক্রটিকে শনাক্ত করেন ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের সদস্যরা। পরবর্তীতে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার লালমাই থানার বড়তোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ৫০ হাজার টাকায় শিশুটিকে সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে কিনে নেন। এরপর আগে এই দম্পতির কাছে তার জন্য একটি ছেলে শিশুর অর্ডার দিয়েছিলেন।

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে চাহিদা মতো শিশু চুরি করে বিক্রি করতেন। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোকরা পড়ে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে শিশুদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল।

নিঃসন্তান সম্পত্তির উদ্দেশ্যে হারুন বলেন, যাদের সন্তান নেই বা হয় না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা সঠিক পদ্ধতিতে শিশু দত্তক নিন। কারো কোলের শিশু চুরে করে বা অপহরণ করে নিয়ে আপনাদের কাছে দিলো আপনারা শিশুটিকে রাখলেন এটা অপরাধ। আর এমন অপরাধে আপনারাও একই মামলার আসামি হবেন। পাশাপাশি সন্তানদের পিতামাতাকে বলবো আপনার বাচ্চা বাসার বাইরে গেলে তাদের সঙ্গে পরিবারের বড় সদস্যরা থাকবেন। না হলে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।

;

জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

তিনি বলেন, নাবিকদের উদ্ধারে আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। তাদেরকে মুক্ত করার জন্য নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। তাদের যেনো কোন ক্ষতি না হয় সেই বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। শুধু এটুকু বলতে চাই, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে করা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

জাহাজে খাবার সংকট প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, খাদ্য সংকট অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে তখনও হয়নি। তিন বছর ছিল তখনও হয়নি, ১০০ দিন ছিল তখনও হয়নি। আশা করি এক্ষেত্রেও হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। তিন দিনের মাথায় নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখে জলদস্যুরা।

২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

;

সাভারে আমজাদ হত্যা: কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
সাভারে আমজাদ হত্যা: কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের সদস্য গ্রেফতার

সাভারে আমজাদ হত্যা: কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের সদস্য গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ছুরিকাঘাতে আমজাদ হোসেন (২৮) হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি রাজিব শিকদারকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৪ সিপিসি-২–এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।

এর আগে, ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে মাদারীপুর সদর থানা এলাকায় র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২১ মার্চ দিবাগত রাত ১১টার দিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

র‍্যাব জানায়, ‘সম্প্রতি ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় বেশ কয়েকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এসব হত্যাকাণ্ডের আড়ালে সাভারের কিশোর গ্যাং 'পিনিক রাব্বি' গ্রুপের সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা যায়।’

‘গত ২১ মার্চ ঢাকা জেলার সাভারের সোবহানবাগ এলাকায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার আসামিসহ পিনিক রাব্বি গ্রুপের সদস্যরা আমজাদ হোসেন (৩৪) নামক এক ব্যক্তিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়।’

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমজাদকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে র‍্যাব সদরদপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‍্যাব-৪ এবং র‍্যাব-৮ এর একটি দল মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত আমজাদ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূলহোতা ও আসামি রাজীব শিকদারকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেফতার রাজীব শিকদার ঢাকা জেলার সাভার এলাকার পিনিক রাব্বী গ্রুপের অন্যতম সদস্য। গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের গ্রুপে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে।

তিনি জানান,‘এই গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এছাড়াও প্রায়ই মাদক সেবন ও মাদক কেনা-বেচাসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

;

বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। দায়িত্ব নিয়েই সবার উদ্দেশ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার কথাও বলেছেন এ কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে রাজসিক সংবর্ধনায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হয়ে ধরিয়ে দিবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।

তিনি বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি করবো না। কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে আমাকে সহযোগিতা করবেন।

দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছেন শারফুদ্দিন আহমেদ। এ পদের নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

;