শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয়
ঢাকা: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির আরেকটি দাবি পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি মধ্যে একটি দাবি ছিল শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের ৫ বাস দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এই দাবি পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলটিকে ১ টি দ্বিতল বাস, ৩ টি সিঙ্গেল ও ১ টি ৩০ আসন বিশিষ্ট কোস্টার উপহার প্রদান করেছে সরকার।
শনিবার (০৪ আগস্ট) সকালে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ প্রাঙ্গণে বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া ঢাকা অঞ্চলের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের স্কুল ও কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং লজিস্টিক এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সরওয়ার হাসেনের কাছে ৫ টি বাসের চাবি হস্তান্তর করেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানায়। এ সময় কলেজটির অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থীর নিহত হয়। এরপর ঘাতকদের বিচারসহ ৯দফা দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষও সমর্থন দিয়েছে।
বাজারে উঠে গেছে প্রায় সব ধরনের শীতকালীন সবজি। শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে সরবরাহ বাড়লেও ওঠানামা করছে শীতের সবজির দাম। বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। ফলে ক্রেতাদের মনে স্বস্তি ফেরার কথা থাকলেও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
ক্রেতা আজাদ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমদানি থাকা সত্ত্বেও শীতকালীন শাকসবজি বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। সবজি কিনতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে আমাদের। মাছ মাংসের দিকে তো তাকানোর উপায় নেই, সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমাদের মত নিম্নবিত্তদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, এখনও পর্যাপ্ত আমদানি নেই। বেশি দামে কিনে কম দামে তো বিক্রি করতে পারিনা। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে অসন্তোষ।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকালে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, বাজার করতে এসে দেখি সবকিছুর দাম বেশি। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বাজার করাটা অনেক কষ্টসাধ্য।
সরেজমিন দেখা যায়, বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে- লাউ-৮০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ও ফুল কপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস, কালো বেগুন ৭০-৮০ টাকা কেজি, গোল বেগুন ১১০-১২০ টাকা কেজি। শিম-১০০ টাকা কেজি, বরবটি ৯০-১০০ টাকা কেজি। কুমড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি, গাজর ১৬০ টাকা কেজি ও কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজি। শশা ৮০-১০০ টাকা কেজি ও টমেটো ১০০-১৬০ টাকা কেজি, করলা ১০০ টাকা কেজি, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আলু-৭৫ টাকা কেজি ও নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি। ঢেঁড়শ ও পটল ৮০ টাকা কেজি।
এদিকে লাল শাক ও পালং শাক ১৫ টাকা করে আঁটি ও সেই সঙ্গে ধনিয়াপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লি শহরের স্কোর ৩৮৪। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ২৯৭ স্কোর নিয়ে আছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। এছাড়া ১৩৯ স্কোর নিয়ে ১২ নম্বর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। অর্থাৎ এখানকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
জামালপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে শহরের সরদারপাড়া এলাকায় বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতাল ও স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শহরের সরদারপাড়া এলাকায় ইউনাইটেড ট্রাস্টের বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতালে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও কর্মচারীদের মারধর করে।
এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। এতে ৪ জন আহত হন ও হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। হাসপাতাল ভাঙচুর শেষে দুর্বৃত্তরা শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যায়।
এ সময় বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয়ে হামলা, অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপি নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন এম এ রশিদ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, দুর্বৃত্তরা এম এ রশিদ হাসপাতালে কোন কারণ ছাড়াই হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এখান থেকে যাওয়ার সময় এই বাহিনী জেলা বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে হামলা এবং অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপির নেতাদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আজকের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে জামালপুরবাসী।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা যদি বিএনপির নামাধারী হয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে এটা ভাবার কোন কারণ নেই, তাছাড়া তারা যদি বিএনপির কেউ হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মোঃ আতিক জানান, এই ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৭ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, হিসাব জব্দ করা ব্যক্তিদের নামে ব্যক্তি মালিকানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট স্থগিত থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার সময় বাড়ানো হবে।
ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চিঠিতে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন–২০১২–এর ২৩(১)(গ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ইসকন ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাবের (আমদানি ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের হিসাব ব্যতীত) লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশনা দেয়া হলো।
একই সঙ্গে তাদের মালিকানাধীন সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত সব হিসাবের হিসাব–সংক্রান্ত তথ্য, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী প্রভৃতি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলেছে বিএফআইইউ।