সচেতনতার বার্তা ছড়াচ্ছে ‘উই ফর দেম’
করোনাভাইরাস রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে রংপুরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘উই ফর দেম’। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকায় এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী ছুটে বেড়াচ্ছে সচেতনতার বার্তা নিয়ে। তাদের সেবামূলক কর্মসূচিতে সাড়া মিলছে সবখানে।
শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে নগরীর কাচারি বাজার মোড়ে দেখা হয় ‘উই ফর দেম’ এর স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে। তাদের কেউ কেউ ব্যস্ত রাস্তার দুই পাশের দোকানের সামনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে সুরক্ষা মার্কিং আঁকাতে।
আর কেউ দোকান মালিককে বুঝাচ্ছেন সুরক্ষা মার্কিং করার ব্যাপারটি। এভাবে ওরা প্রতিদিন নগরীতে এঁকে চলেছে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপদ দূরত্ব সুরক্ষার চিহ্ন। গেল তিন দিনে নগরীর অন্তত দুই শতাধিক দোকানের সামনে এই চিহ্ন এঁকেছে ‘উই ফর দেম’।
নগরীর লালবাগ, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি, পায়রা চত্বর, সিটি বাজার, কাচারি বাজার, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়সহ বিভিন্ন এলাকাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি ও বিভিন্ন যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবীরা।
বর্তমান পরিস্থিতি বৈশ্বিক মহামারি করোনার গ্রাস থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করার পাশাপাশি ওরা বিতরণ করছে ফেস মাস্ক ও স্যানিটাইজার। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি জানিয়ে দিয়েছে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে দ্রুত চিকিৎসা সেবা পেতে হটলাইন নম্বরগুলো।
নিজেদেরকে সুরক্ষিত রেখে সচেতনতা বাড়াতে সেবামূলক এসব কাজে অংশ নেয়া তরুণ-তরুণীর চোখে ক্লান্তি নেই। নেই করোনা নিয়ে আতঙ্ক। ওদের বিশ্বাস আতঙ্কিত না হয়ে সকর্তকার সাথে সচেতনতা অবলম্বন করলে করোনার ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
এব্যাপারে উই ফর দেম এর প্রতিষ্ঠাতা জীবন ঘোষ বার্তা২৪.কম-কে বলেন ‘আমরা সবাই করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন। এখন আমাদের আশেপাশে থাকা মানুষদেরকেও সচেতন করার চেষ্টা করছি। সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়লেই এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হবো।
সংগঠনটি পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বলেও জানান জীবন ঘোষ। ইতোমধ্যে রংপুর উন্নয়ন ফোরামের সঙ্গেও যৌথভাবে কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত অর্থায়নের পাশাপাশি অনেকের মানবিক সহযোগিতা পেয়েছে উই ফর দেম। করোনা সংক্রমণ রোধে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়ে আসা পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা চান সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা।