‘মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে সম্পদশালী হলে একটুও ছাড় নয়’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পুরো দেশ কার্যত লকডাউন রয়েছে। যার ফলে দিন মজুর খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ সংকটে পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আমরা সাধারণ ছুটি দিয়েছি। সবকিছু পর্যায়ক্রমে বন্ধ করতে হয়েছে। তাই এখানে দরিদ্র দিনমজুর যারা দিন আনে দিন খায় তাদের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারা কাজ পাচ্ছে না। তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সকলকে ওয়ার্ড পর্যায়ে তালিকা করতে বলেছি। আর এই তালিকা করতে যেয়ে কোন রকম দুর্নীতি হলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সিং এ যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কথা হলো কেউ যেন কষ্টে না থাকে। তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি সকলে যারা আছেন তাদের বলব দরিদ্র মানুষ যেন কষ্ট না পায়, তারা যেন অভুক্ত না থাকে। তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আমি আমাদের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান করেছিলাম। এরপর অনেকেই এগিয়ে আসছেন, কেউ কেউ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তবে এটাও দেখতে হবে একই লোক যেন বার বার না পায়। কেউ যেন বাদ না পড়ে সেজন্য যথাযথ তালিকা হওয়া উচিত। যদি তালিকা করে রাখেন, সেই তালিকা আমরা চাই। প্রত্যেকে যেন সহযোগিতাটা পায় সেই বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। এই দায়িত্ব সকলকে পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, বিত্তশালী আছেন তাদেরকেও এই দায়িত্ব পালন করতে হবে, প্রশাসনের লোকদের দায়িত্ব নিতে হবে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব নিতে হবে-এটা নিজের কর্তব্য হিসেবে আপনাদেরকে নিতে হবে। আর এই জায়গায় যেন কোনো রকম দুর্নীতি না হয়, কোন রকম দুর্নীতি অনিয়ম হলে সেখানে এতটুকু ছাড় দেয়া যাবে না। মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কেউ অর্থশালী সম্পাদশালী হয়ে যাবে সেটা আমরা কখনো বরদাশত করব না। সেই বিষয়টা সকলে সচেতন থাকতে হবে। আগেই সর্তক করে দিচ্ছি। এধরনের কোনো অভিযোগ যদি পাই সে যেই হোক না কেন আমি তাকে ছাড়ব না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজকি নিরাপত্তা কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। তারা তো পাচ্ছে তার বাইরে যারা তাদের তালিকাটা আলাদাভাবে করা দরকার। তাদের কাছে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দেব। আমাদের কোনো অভাব নেই, যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে, আমরা দিতে পারব। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে আমাদের অর্থনীতির কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়।

আরও পড়ুন: ছুটি সীমিত আকারে বাড়ানো হবে: প্রধানমন্ত্রী

নববর্ষের অনুষ্ঠান ডিজিটাল পদ্ধতিতে আয়োজনের আহ্বান

সবার পিপিই পরার দরকার নেই: প্রধানমন্ত্রী

খাদ্য উৎপাদন যেন অব্যাহত থাকে: প্রধানমন্ত্রী

 
   

বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বগুড়া
বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়

বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় এক কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন করে তার পরিবারের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইনুল হকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর এসআই আইনুল চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

তবে এসআই আইনুল হক টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন পুলিশের সাথে উচ্চ বাচ্য করায় চড় থাপ্পড় দিয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মত কিছু না।

আর শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেছেন, এসআই আইনুলের মাথার (ব্রেইনের) সমস্যা রয়েছে।

নির্যাতনের শিকার শাকিল আহম্মেদ (১৭) শিবগঞ্জ থানার আটমুল ইউনিয়নের ভায়ের পুকুর মন্ডলপাড়া গ্রামের ছাকরাম হোসেনের ছেলে।

বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) শিবগঞ্জ থানার কিচক বাজারে ছাকরাম হোসেনের রিকশা ও সাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশের দোকানে আটকে রেখে তার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়।

ছাকরাম হোসেন বলেন, বুধবার সকাল ১০টার দিকে এসআই আইনুল তার দোকানে যান। এসময় তিনি জয়পুরহাটে ব্যবসায়িক কাজে অবস্থান করছিলেন। দোকানে তার ছেলে ও কর্মচারী ছিল। এসআই আইনুল দোকানে গিয়ে একটি মোটরসাইকেল দেখে সেটি চোরাই বলে থানায় নিয়ে যেতে চায়। পরে তার ছেলে বাড়ি থেকে কাগজপত্র এনে দেখানোর পর এসআই আইনুল বলেন দোকানের মালামাল ভারত থেকে চোরাই পথে আনা হয়েছে। বিষয়টি তার ছেলে মোবাইল ফোনে ছাকরাম হোসেনকে জানালে তিনি এসআই আইনুলের সাথে কথা বলেন।

এসআই আইনুল সেসময় দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেন, টাকা না দিলে দোকানের মালামাল থানায় নিয়ে ভারতীয় মালামাল হিসেবে মামলা দিব। এ নিয়ে তার ছেলের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ছেলেকে দোকানে আটকে রেখে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর শুরু করে। ছাকরাম হোসেন বলেন, ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে আমার স্ত্রী লাভলী বেগম বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং দোকানের মালামাল কেনার মেমো নিয়ে কিচক বাজারে এসে দোকানে এসআই আইনুলকে দেন।

দুপুর দুইটার দিকে এসআই আইনুল ৬০ হাজার টাকা নিয়ে দোকান থেকে চলে যান। এদিকে নির্যাতনে শাকিল আহম্মেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার সন্ধ্যার পর তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্সরিল) সকালে খবর পেয়ে এসআই আইনুল হাসপাতালে গিয়ে শাকিল আহম্মেদকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে হাত ও পায়ের এক্সরে করান। পরে ওষুধ কিনে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

এবিষয়ে এসআই আইনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কিচক বাজারে আসামি ধরতে গেলে ছাকরামের দোকানে যাই। সেখানে তার ছেলে আমার সাথে উচ্চ বাচ্য করে। একারণে চড় থাপ্পর দিয়েছি। তবে কোন টাকা নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, শাকিল আহম্মেদের বাবাকে ফোন করে বলেছি চড় থাপ্পর দেয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কারণ কি? এতে তারা স্বেচ্ছায় হাসপাতাল থেকে চলে গেছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, শাকিল আহম্মেদের নির্যাতন করে ৬০ হাজার টাকা আদায়ের বিষয়টি জানা নাই। তবে এসআই আইনুল হকের মাথার সমস্যা আছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে তিনি রাজশাহী জেলার চারঘাটে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মারামারি করে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। সেই সময় তার নামে চারঘাট থানায় মামলা হয়।

তিনি পাঁচ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। যে কারণে বেশকিছুদিন সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। ওই ঘটনায় তার নামে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে। জমিজমা নিয়ে গ্রামে মারামারি করে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর থেকেই তার ব্রেইনে (মাথায়) সমস্যা দেখা দেয়। তবে শাকিল আহম্মেদের বিষয়টি কেউ অভিযোগ না করলেও অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়া গেলে এসআই আইনুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অপতথ্য ও অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতর কক্ষে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, অপতথ্য ও অপপ্রচারের ব্যাপারে ভারতের যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের অভিজ্ঞতা, প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগুলো দুই দেশের মধ্যে বিনিময় করা হবে। এখানে কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে সে জায়গায় পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়েও আলাপ হয়েছে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। 

প্রতিমন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট যে যে ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার সুযোগ আছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের ক্ষেত্রে ভারতের যেসব অভিজ্ঞতা রয়েছে সেগুলো আমরা যথাসম্ভব নেয়ার চেষ্টা করব যাতে আমরা এসব ক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন করতে পারি।

তিনি এ সময় আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) দুই ঘণ্টাব্যাপী একটি সমসাময়িক আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ ও সংবাদ উপস্থাপন আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক মানে বিটিভিতে যে দুই ঘণ্টার কার্যক্রম শুরু করা হবে সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবরাখবর থাকবে এবং বিশ্ব সংবাদ থাকবে। এ বিষয়ে ভারতের সংবাদ সংস্থাগুলো বিশেষ করে এএনআই (এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল)-এর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা যায় কীনা সে বিষয়টি নিয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিটিভির এ কার্যক্রম দিয়ে আমরা ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটা সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা, বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন, দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত মুজিব: একটি জাতির রূপকার চলচ্চিত্রের মতো আরও এ রকম চলচ্চিত্র যৌথ প্রযোজনা নির্মাণের সুযোগ আছে কীনা তা খতিয়ে দেখার বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।

দর্শক চাহিদার আলোকে দুই দেশের মধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময়ের বিষয়টিও এ সময় উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

;

পাইপে ফাটল, কর্ণফুলী পেপার মিলে পানি সরবরাহ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত বিসিআইসির অন্যতম কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলে (কেপিএম) গত ৩ দিন ধরে মিল এলাকা এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে তীব্র গরমে পানির অভাবে এখানে বসবাসরত অফিসার, শ্রমিক, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

কেপিএম এর জিএম (এডমিন) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, মিলে পানি সরবরাহের জন্য বারঘোনিয়া গেইট সংলগ্ন ফরেস্ট চেক পোস্ট এলাকায় বিশালাকার যে পাইপ রয়েছে সেই পাইপে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই ফাটল দিয়ে অনবরত পানি বের হতে থাকলে ফাটল সারানোর জন্য গত মঙ্গলবার হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেপিএম এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি কারখানা এবং আবাসিক এলাকায় বসবাসরত জনগণকে অবহিত করা হয়েছে।

কেপিএম এর প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম রনি বলেন, আনুমানিক ১৯৪৮ সালে মাটির প্রায় ১৫ ফুট গভীরে এই পানির পাইপ বসানো হয়েছিল। এই পাইপ ব্যবহার করে কেপিএম এর পানি সরবরাহ করে কাগজ উৎপাদন সহ আবাসিক এলাকায় পানির প্রয়োজন মেটানো হতো। এই পাইপ লাইনে ফাটল ধরায় গত মঙ্গলবার হতে কেপিএম এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সাময়িক উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বা আগামীকাল শুক্রবার সকালের মধ্যে পাইপ লাইন মেরামত করে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারব এবং উৎপাদনে ফিরতে পারব।

কেপিএম আবাসিক এলাকায় বসবাসরত মিলের সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পানি বন্ধ থাকায় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শ্রমিক কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা সাময়িক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। মিল কতৃপক্ষ দ্রুত এর সংস্কার কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

এদিকে কেপিএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ( এমডি) মো. আব্দুল হাকিম মিলের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে ফাটল এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পাইপ লাইন মেরামত করার নির্দেশনা দেন।

;

পলাশে প্রাণিসম্পদ মেলা উপলক্ষে খামারিদের সম্মাননা প্রদান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

"প্রাণি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ " এই প্রতিপাদ্যে নরসিংদীর পলাশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ মেলা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) এ লক্ষ্যে পলাশ উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার মাঠে মেলা উপলক্ষে উপজেলার খামারিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পলাশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল্লাহ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আলম সরকার, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাক্তার আবু তাহের, মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল আলম, উপজেলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সাজু আর রহমান সহ উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তা ও খামারীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিরা মেলায় আগত খামারিদের স্টল পরিদর্শন করেন।

পরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০ জন খামারিদের মাঝে সম্মাননা স্বরূপ সনদপত্র প্রদান করা হয়।

;