ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease
ঢাকা: শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াতে বিমানবন্দর সড়কের কাউলায় লে মেরিডিয়ান হোটেলের সামনে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ কাজে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। জানা গেছে, ব্রিজ নির্মাণের জন্য পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। কিন্তু চলমান ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক পুলিশ (উত্তর) বিভাগ।
 
রোববার (৫ আগস্ট) ট্রাফিক পুলিশ সপ্তাহ শুরুর দিন সকালেই এমন অভিযোগ করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
 
জানা গেছে, টেন্ডারের মাধ্যমে এ সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন ও উন্নয়ন কাজের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড’ওই ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ পায়। রোববার সকালে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে বলে ট্রাফিক পুলিশ। জবাবে কাজ বন্ধের লিখিত পত্র দেখাতে বলে ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড’ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো কাগজই দেখাতে পারেনি ট্রাফিক পুলিশ। উল্টো তাদের শ্রমিকদের ধরে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মামুন।
 
নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, হোটেল লে মেরিডিয়ানের সামনে কাউলায় গত ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই স্থানীয়ারা সড়কে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার পথচারী প্রতিদিন এখানে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হন। এ জন্য কর্তৃপক্ষ ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
 
সড়কে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সম্প্রতি ৫ আগস্ট থেকে যে ‘ট্রাফিক সপ্তাহ’ ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই হিসেবে আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে ‘ট্রাফিক সপ্তাহ’। কিন্তু শুরুর দিনই ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘সড়কে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা দরকার। এখানে কী হয়েছে তা বলতে আমি বাধ্য নয়।’
 
 এরপরই তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন দেন।
 
জানা গেছে, রোববার সকালে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে বাঁধা দিতে আসেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট বেলাল। পরে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নেন।’
 
পরে ডিএমপি’র ট্রাফিক (উত্তর) ডিসি প্রবীর মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘এখানকার চেয়ে শেওড়ায় ফুটওভার ব্রিজ বেশি প্রয়োজন। সেটা খুলে ফেলা হয়েছে। ওখানেই দুর্ঘটনা বেশি হয়। আমরা বলেছি, এখানে প্রয়োজন নেই, শেওরায় করা যেতে পারে।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘কোথায় ফুটওভার ব্রিজ হবে তা আমাদের সঙ্গে আগে বৈঠক করা হয়নি।’
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবেদ মনসুর বলেন, ‘শেওড়াতে সরকারের ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের জন্য ফুটওভার ব্রিজ তুলে নিতে হয়েছে। এরপর সম্ভ্যাভ্যতা যাচাই করে মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে কাউয়লায় লে মেরিডিয়ানের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ শুরু করা হয়। যেখানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে সেখানে গত দুই বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এটি গুরুত্বসহকারে করতে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। কয়েকমাস আগে ডিএমপি থেকে চিঠিও আসে।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার এখতিয়ার ট্রাফিক পুলিশের নেই। পর্যায়ক্রমে চাহিদা অনুযায়ী রাজধানীর অন্য জায়গায়ও বাকি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’
 
সড়ক ও জনপথ অধিপ্তরের ঢাকা জোনের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ অযথা হস্তক্ষেপ করেছে। এখানে কাজ বন্ধ করার এখতিয়ার তাদের নেই। কোনো বিশেষ সুবিধা নিতেই তারা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে বাধা দিচ্ছে। লে মেরিডিয়ান হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ম্যানেজ করে নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছে।
 
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লে মেরিডিয়ান হোটেলের সামনে দিয়ে প্রতি ৫ মিনিটে অন্তত ৬ জন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। পাশেই দুদিকে ফুটওভার ব্রিজ নিমাণের পিলার তুলে রাখা।
   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;