মৎস্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও রপ্তানি অব্যাহত রাখার আহ্বান
করোনা সংকটেও মৎস্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও রপ্তানি অব্যাহত রাখার জন্য মৎস্য খাতের অংশীজনদের যার যার জায়গা থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ সংক্রান্ত সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্থাপিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে হটলাইনের মাধ্যমে (হটলাইন নম্বর-০২-৯১২২৫৫৭) অবহিত করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়। সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় দ্রুততার সাথে উদ্যোগ নেবে বলেও জানানো হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশনায় শনিবার (০৪ এপ্রিল) রাজধানীর মৎস ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে করোনা সংকটকালীন মৎস্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও রপ্তানি অব্যাহত রাখার বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মৎস্য খাতের অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় এসকল আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বর্তমান পরিস্থিতিতে মৎস্য পোনা পরিবহন ও বাজারজাতকরণে বাধা, মাছের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর গুজব, আমদানিকৃত মৎস্য খাদ্য উপকরণ ছাড়করণে বন্দর ও কাস্টমস জটিলতা, মাছের মোকাম বন্ধ থাকা, ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ ও কিস্তি স্থগিতকরণ, রপ্তানি হ্রাস, চিংড়ি রপ্তানিতে প্রণোদনা বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেন।
সমস্যা সমাধান ও সৃষ্ট ক্ষতিপূরণে সরকার সাধ্যমত সবকিছু করবে মর্মে অংশীজনদের আশ্বাস দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব। এসময় তিনি বলেন, সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে। মৎস্য পোনা পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মোকাম সচল রাখার বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে মৎস্য অধিদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আপনারা মৎস্য সরবরাহ চেইন সচল রাখবেন। এ সময় তিনি মৎস্য পোনা ও মৎস্য পণ্য দিনের বেলায় পরিহনের আহ্বান জানান।
মৎস্য চাষীদের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ, কিস্তি স্থগিতকরণ ও প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সভায় আশ্বস্ত করা হয়। এছাড়া মৎস্য খাতের সমস্যাসমূহ সমাধানে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে মর্মেও সভায় জানানো হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারীজ অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লাইভ এন্ড চিলড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং ফিস হ্যাচারি এন্ড ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।