খাদ্য সংকটে হরিণ খেয়েছে কুকুর, দোষ নেই দায়িত্বপ্রাপ্তদের!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী চিড়িয়াখানার হরিণ শেড,  ইনসেটে মৃত হরিণদের ক্ষতবিক্ষত দেহ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী চিড়িয়াখানার হরিণ শেড, ইনসেটে মৃত হরিণদের ক্ষতবিক্ষত দেহ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার হরিণ শেডে ঢুকে মা হরিণ ও তিন বাচ্চা সাবাড় করেছে ৫টি কুকুর। ঘটনাটি জানা জানি হওয়ার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পরপরই চিড়িয়াখানার তত্বাবধায়কের কাছে প্রতিবেদন চায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)।

শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানিয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছেন চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক মাহবুব হোসেন। সেখানে নিজের কাঁধে তিনি দায় তো নেন-ই নি। দায়ী করেন নি চিড়িয়াখানার কোনো নৈশপ্রহরী এবং সুপারভাইজারকেও। অথচ ঘটনার দিনগত রাতেও চিড়িয়াখানায় দায়িত্বরত ছিলেন ৫ জন নৈশপ্রহরী।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত বা শুক্রবার ভোরের দিকে কয়েকটি কুকুর হরিণ শেডে ঢুকে পড়ে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে খাদ্য সংকটে কুকুরগুলো খুবই ক্ষুধার্ত ছিল। হরিণ শেডে ঢুকে কুকুরগুলো বাচ্চা হরিণের উপর আক্রমণ করে। পরে একটি মা হরিণকেও কামড়ে মেরে ফেলে। ঘটনাটি নৈশ প্রহরী ও পশু পরিচর্যাকারীদের নজরে পড়েনি। এটি নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়।’

চিড়িয়াখানার মধ্যে এখনও শুয়ে আছে কুকুর

প্রতিবেদন বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘হরিণ শেডটি লোহার তার দিয়ে ঘেরা। সেখানে কুকুর ঢোকার কোনো সুযোগই নেই। কিন্তু হিংস্র ও ক্ষুধার্ত কুকুরগুলো শেডের লোহার তারের নিচের অংশের মাটি পা দিয়ে খুঁড়ে সরিয়ে ফেলে। সেখান দিয়ে পথ তৈরি করে ভেতরে প্রবেশ করে কুকুর।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিড়িয়াখানার এতবড় এরিয়ায় ৫ জন নৈশপ্রহরী ছিল। এক কোণায় যদি কয়েকটি কুকুর এভাবে খুঁড়ে ঢুকে পড়ে সেটা দুর্ঘটনা ছাড়া আর কী বা বলবেন? আমি প্রতিবেদন দিয়েছি, সিটি করপোরেশন আরও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

জানতে চাইলে রাসিকের নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘তারা একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে ঘটনা অকপটে ঘটনা স্বীকার করেছে। তারা নির্দিষ্ট কাউকে দায়ী করেননি। এখন আমরা সিটি করপোরেশনের একজন কাউন্সিলর ও ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তারা তদন্ত করে দেখবে আসলে কারও দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা। যদি তদন্তে কেউ দায়ী বলে প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শেডের মাঝের জায়গাটিতে পুঁতে ফেলা হয় হরিণের দেহের অবশিষ্টাংশ

এদিকে, শনিবারও চিড়িয়াখানার ভেতরে অন্তত ৭টি এবং আশেপাশে অনেক হিংস্র কুকুর ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। ফলে চিড়িয়াখানার অন্য প্রাণীও সাবাড় হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের দাবি- চিড়িয়খানা থেকে সব কুকুর তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বলেন, ‘কুকুরগুলোকে তো তাড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছি। বের করে দেওয়াও হয়েছে। দু-একটি যদি থেকেও থাকে, সেগুলোকেও বের করে দেওয়া হবে।’

জানা যায়, শুক্রবার (৩ এপ্রিল) ভোরে চিড়িয়খানায় কুকুরের দল ঢুকে ৩টি হরিণ শাবক ও তাদের মা হরিণকে খেয়ে ফেলে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে শেডের মধ্যে পড়ে থাকা হাড়-গোড় ও অবশিষ্টাংশ তড়িঘড়ি করে মাটির নিচে পুঁতে ফেলে কর্মচারি-কর্মকর্তারা। পরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তারা।

তাদের হিসেব মতে- বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শেডে ৭৫টি হরিণ ছিল। শুক্রবার সকালে গুণে ৭১টি পাওয়া যায়। আর দু’টি হরিণের অর্ধেক শরীর ও বাকিগুলোর হাড় এবং চামড়া পড়ে ছিল শেডের ভেতরে।

উল্লেখ্য, চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতায় ২০১৫ সালের এপ্রিলে একটি অজগর সাপ পালিয়ে যায়। যা নিয়ে গোটা নগরীত ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সেই ঘটনার পর তদন্ত কমিটি এবং তদন্ত হলেও কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানার ৪টি হরিণ শাবক খেলো ৫ কুকুর

   

দশ হাজার টাকার জন্য বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় টাকা না দেয়ার আব্দুল কাদের (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে ছেলে। এই ঘটনার পর থেকে ছেলে আরিফ হোসেন (২০) পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল কাদের ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৬ ছেলের বাবা, ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট ছেলে।

ফুলবাড়িয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আব্দুল কাদের ৬ ছেলের বাবা। ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট। সে প্রায়ই টাকার জন্য বাবাকে চাপ দিতেন ও নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কিনে আরিফ। আরিফ মাঝে মাঝে নেশা করতেন। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে আরিফ হঠাৎ করে ১০ টাকার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা না দিলে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করবে বলে জানায়। এতে ভয়ে বাবা আব্দুল কাদের আলাদা বাড়ি করা বড় ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

বড় ছেলেকে বিষয়টি জানালে বাবাকে অভয় দিয়ে বাড়িতে দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বাবা আব্দুল কাদের আবারও ভয়ে তার বড় ছেলের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আরিফ পিছন থেকে বাবার পেটে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এসময় আব্দুল কাদের চিৎকার দিলে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ছেলে আরিফ ঘটনার পর থেকে।

;

থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত

থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে যায়। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।

নিহতের নাম মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে নিরাপত্তা বাইন্ডারিতে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস। 

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল এভিশনের সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসে নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, নিহতের মরদেহের সুরতহাল চলছে এখন। সুরতহাল শেষে নিয়ন্ত্রণ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় জড়িত বাসের চালক, হেলপার পালিয়ে গিয়েছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

;

রাজধানীর শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে, রোগীর স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালের নিচে অপেক্ষা করছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এরআগে দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।

হাসপাতালের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক বিভাগে থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আগুনের কারণে ঢাকা শিশু হাসপাতালের ভেতরে ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সে কারণে হাসপাতালের ওপরের তলাগুলোর অনেক রোগীকে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।

;

চট্টগ্রামে পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর



  স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে পিকআপের ধাক্কায় তানভির জামান (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তানভির জামান পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মীর বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তানভির জামান সবার বড়।

নিহতের মামা রহমত উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে আমরা চমেক হাসপাতালে যাই। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;