হটলাইনে কল দিলেই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে যাবে বাড়ি
চলমান নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দরিদ্র, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা অসহায় এসব মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিলেও অনেকেই লোকলজ্জায় প্রকাশ্যে কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে এসে ত্রাণ নিতে পারছেন না। ফলে তারা ভুগছেন খাদ্য কষ্টে।
এই অবস্থায় অসহায় মানুষের নাম-পরিচয় গোপন রেখে তাদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। খাদ্য সহায়তা দিতে চালু করা হয়েছে হটলাইন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেই পৌর কর্তৃপক্ষ বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। পৌরসভার ০১৭১২০৫৫০৮৬, ০১৩০৬৭৯৮০০০-এ দুটি হটলাইন নম্বর খাদ্য সহায়তার জন্য খোলা হয়েছে।
কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পোঁছে দিতে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে। হটলাইনে যোগাযোগ করলেই বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরাও বাড়ি বাড়ি ঘুরে অসহায় মানুষদের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
রোববার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম হটলাইন সেবা চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। আমাদের কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক দল অসহায় মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়া হটলাইনে যোগযোগ করলেই নাম পরিচয় গোপন রেখে স্বেচ্ছাসেবক টিম খাদ্যসামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে। কেউ যেন খাদ্য কষ্টে না থাকে আমরা সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’
এদিকে, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে রোববার একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে গৌরীপুর পৌরসভা।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ৩১টি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। এরইমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জেলা পরিষদ, পুলিশ করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতা দিয়েছেন। ত্রাণ সহযোগিতা বাড়াতে পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের অর্থায়নে ৩ লাখ টাকার তহবিল করা হয়েছে। এ উদ্যোগে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সামিল হওয়ার অনুরোধও জানানো হয়।
গৌরীপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র দেওয়ান মাসুদুর রহমান খান সুজন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে পৌরসভার উদ্যোগে ৭ হাজার মাস্ক, ৩ হাজার গ্লাভস ও লিফলেট বিতরণ, শহরে অস্থায়ী বেসিন নির্মাণ, জীবাণুনাশক ছিটানো, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, হটলাইন চালুসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছ। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়ালে সরকারের পক্ষে করোনা মোকাবিলা অনেক সহজ হয়ে যাবে।’