সামির টেলিকম এখন মুদি দোকান

  • সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সামির টেলিকমে মুদি পণ্য তুলে চালানো হচ্ছে বেচা কেনা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সামির টেলিকমে মুদি পণ্য তুলে চালানো হচ্ছে বেচা কেনা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সুপারশপ ও মুদি দোকানিদের সময় নির্ধারণের পাশাপাশি এবার গ্যাদারিং কমাতে কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আয়তন অনুসারে সুপারশপগুলোতে ক্রেতার সংখ্যায় সীমারেখা টেনে দিয়েছে।

রূপনগর আবাসিক এলাকায় প্রধান সড়কে অবস্থিত সুপারশপ স্বপ্ন’র বাইরে লাইন দেখা গেছে। নিরাপত্তা কর্মী রাজু মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখানে সেনাবাহিনীর লোকজন এসেছিলেন। তারা অনেকগুলো গাইড লাইন দিয়ে গেছেন। আমাদের এ শাখার আয়তন অনুসারে এক সঙ্গে সাতজন কাস্টমার লাইনে থাকতে পারবেন বলে নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন তারা। এর বেশি কাস্টমার একসঙ্গে ভেতরে থাকতে পারবেন না। লাইনে এসে দাঁড়ালে সিরিয়াল অনুযায়ী একে একে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। শাখাটির বাইরে কাস্টমারের নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ানোর জন্য রঙ দিয়ে মার্ক করা হয়েছে। যাতে কেউ গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে না পারেন।

বিজ্ঞাপন

করোনার বিস্তার রোধে স্বপ্নের এ আউটলেটে ঢোকার আগে ক্রেতাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে হাত ধোয়ার জন্য। এছাড়া মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

স্বপ্নের কাউন্টার স্টাফ মিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা কঠোরভাবে গাইড লাইন মেনে চলছি। সকালের দিকে বিশাল লাইন হয়ে গিয়েছিল। অনেক ক্রেতাই কিছুটা বিরক্ত হয়েছেন। তবে পরে তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে শান্ত হয়েছেন। পাশের একটি মুদি দোকান নিয়ম মেনে না চলায় সিলগালা করে দিয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

মিরপুর অঞ্চলে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। বেশ কিছু দোকানি নিজেদের ব্যবসার ধরন পাল্টে ফেলেছেন। ফুটপাতের দোকানিরা অনেক আগেই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে নামলেও এখন অনেক বড় দোকানিকে দেখা যাচ্ছে ব্যবসা বদলে ফেলতে।

স্বপ্নে এ আউটলেটে একসঙ্গে সাতজন ক্রেতা লাইনে দাঁড়াতে পারবেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

রূপনগর আবাসিক এলাকায় রজনীগন্ধা শপিং সেন্টারের নিচতলায় ছিল সামি টেলিকম। হঠাৎ করে সেই দোকানে মুদি পণ্য দেখে লোকজন বিস্ময়ের চোখে তাকাচ্ছেন। এ রকম আরও অনেকে অন্যান্য মালামালের সঙ্গে মুদি পণ্য তুলে দোকান খোলা রাখতে কৌশলী ভূমিকা নিয়েছেন।

তাদের বক্তব্য, কতোদিন এ অবস্থা থাকবে বলা কঠিন। দোকান ভাড়াতো আর মাফ পাওয়া যাবে না। আবার বসে বসে যদি পুঁজি খেয়ে ফেলি, পরে ব্যবসার পুঁজি পাব কোথায়? তাই মুদি দোকানির খাতায় নাম লিখিয়েছি।

সন্ধ্যার মধ্যে দোকান বন্ধের বিষয়টি কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে পুলিশের একাধিক টিম মহল্লার ওলি-গলি ঘুরে নিশ্চিত করছে। কয়েকদিন আগের তুলনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় রাস্তা-ঘাটে গ্যাদারিং কিছুটা কম। তবে বস্তি এলাকার দৃশ্য কিছুটা ভিন্ন।