খুলনায় কবরস্থানে পুলিশি নিরাপত্তা, ঢুকতে পারেননি স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
জমায়েত না করতে পুলিশ মাইকিং করছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

জমায়েত না করতে পুলিশ মাইকিং করছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রজনীগুলোতে মরহুম আত্মীয়-স্বজনদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দল বেধে কবর জিয়ারত করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে সে সুযোগ ছিল না এবারের মহিমান্বিত শবে বরাতে।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দিনগত রাতে খুলনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় কবরখানায় আসেনি কোনো স্বজনরাও। এমনকি ভিড়তে পারেননি ভিক্ষুকরা।

করোনার সংক্রমণ রোধে অঘোষিত লকডাউন চলছে খুলনায়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই খুলনার কবরস্থানগুলোর মূল ফটকে অবস্থান নেয় পুলিশ। হ্যান্ড মাইকেই জমায়েত না করতে পুলিশ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানায়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভিক্ষুকদের অবস্থান দমনে মৃদু ধাওয়া দেয় পুলিশ।

উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার স্বার্থে সারাদেশে মসজিদগুলোতে বড় জামায়াতে নামাজের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছেন আলেমরা। শবে বরাতে মসজিদ, কবরস্থান ও মাজারে যাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। একইসঙ্গে মাজার ও কবরস্থানের গেট বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ধনী-গরিব সবার বিনামূল্যে ইফতার



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ধনী-গরিব সবার বিনামূল্যে ইফতার

ধনী-গরিব সবার বিনামূল্যে ইফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পৌর শহরের শহীদ হারুনপার্ক চত্বরে প্রতিদিন বিনামূল্যে দুই শতাধিক মানুষকে ইফতার করানো হয়।

মাহে রমজানের প্রথম দিন থেকেই দুস্থ মানুষদের জন্য এমন ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এসো গৌরীপুর গড়ি’। তবে কিছুদিনের মধ্যেই এই ইফতার সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। বিনামূল্যে এই ইফতার আয়োজন চলবে রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শহীদ হারুন পার্কের ফটকে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে সবাই মিলে ইফতার। হারুনপার্ক চত্বরে সামিয়ানা ও ত্রিপল বিছিয়ে এই ইফতার আয়োজন করা হয়।প্রতিদিন ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করে ইফতারে অংশ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। আজান হওয়ার সাথে সাথে শ্রমজীবী, অসহায়, দুস্থ সহ নানা শ্রেণির মানুষ এক কাতারে বসে ইফতার করে।

ইফতারে খাওয়ানো হয় রান্না করা খিচুড়ি, খেজুর ও শরবত। সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা নিজেরাই এখানে খাবার পরিবেশন করেন। সংগঠনের সদস্যদের চাঁদা ও বিত্তবানদের অনুদানে এই ইফতার আয়োজন করা হয়।

প্রথমদিকে এই ইফতার আয়োজনে দুস্থ ও অসহায়রা অংশগ্রহণ করতো। পরবর্তীতে নানা শ্রেণির মানুষ এখানে আসতে শুরু করে। ভেদাভেদ ভুলে ধনী-গরিব সবাই এক কাতারে বসে ইফতার করে এখানে। সবাই মিলে উৎসব আনন্দের পরিবেশে প্রতিদিন শহীদ হারুনপার্ক চত্বর পরিণত হয় ইফতার মিলনমেলায়।

এসো গৌরীপুর গড়ির প্রধান সমন্বয়কারী আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি বলেন,করোনাকালে আমরা দুস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্যাকেট জাত ইফতার খাবার বিতরণ করি। তবে ২০২২ সালে‘সবাই মিলে ইফতার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইফতার কর্মসূচির উদ্যোগ নেই। একসাথে বসে সবাই ইফতার করলে সম্প্রীতি বাড়বে এটাই আশাবাদ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, এসো গৌরীপুর গড়ির ইফতার আয়োজনটা প্রশংসার দাবিদার। সকল ভেদাভেদ ভুলে নানা শ্রেণির মানুষ এখানে বসে ইফতার করছে। এই সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়া উচিত।

 

;

সড়কে প্রাণ গেল দম্পতির, মেয়ে নাতিসহ গুরুতর আহত ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইঞ্জিন চালিত ভ্যানের সঙ্গে মাছবোঝাই পিকআপের সংঘর্ষে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন ভ্যানের দুই যাত্রী।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহ সদরের বিষয়খালী গ্রামের ছাবদার আলীর ও তার স্ত্রী পারভীনা বেগম। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তাদের মেয়ে সাথী খাতুন, ভ্যানের চালক করিম ও তাদের নাতি ছেলে শিশু। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল কবির জানান, সকালে ফজরের নামাজ শেষে ভ্যানযোগে মেয়েকে যশোরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে ছাবদার আলী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রওনা দেন। কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে পৌঁছালে পেছনের দিক থেকে আসা মাছবোঝাই পিকআপ ভ্যান যাত্রীবাহী ওই ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পারভীনা খাতুন। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বামী ছাবদার আলী, মেয়ে সাথী খাতুন, ছেলে ও ভ্যান চালক করিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও জানান, সেসময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ছাবদার আলীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

;

মানিকগঞ্জে মাদক উদ্ধার অভিযানে হামলার শিকার ডিবি, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় মাদক উদ্ধার অভিযানের গিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিবির এক উপপরিদর্শকসহ ছয়জন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখা থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার পূর্ব ভাকুম গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতারকৃত দুই জন হলেন- পূর্ব ভাকুম গ্রামের লেছু ফকিরের ছেলে মো. শাহীনুর ইসলাম (৩৪) এবং শাহীনুরের ছোট ভাই আহাদুল নূর (২৮)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও ডিবি সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ভাকুম গ্রামের দীর্ঘ দিন ধরে হেরোইনের ব্যবসা করে আসছিলেন শাহীনুর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার বিকেলে পাঁচটার দিকে পূর্ব ভাকুম গ্রামে বাড়িতে অভিযান চালান উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল ডিবির সদস্যরা।

অভিযানের সময়ে শাহীনুরের কাছ থেকে ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার ও তাঁকে আটক করা হয়। এর পর বাঁচাও বাঁচাও বলে শাহীনুর ডাক চিৎকার করলে শাহীনুরের ছোট ভাই আহাদুল নূর, ভাগ্নে সুজাত হোসেন, মা আসমা বেগম ও স্ত্রী লিপি আক্তারসহ আরও অজ্ঞাত তিন থেকে চারজন শাহীনুরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় সুজাত হোসেন লোহার রড দিয়ে ডিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেন। এতে ডিবির এসআই আসাদ মিয়া, কনস্টেবল সাদেক আলী, ইব্রাহিম মিনা, শরীফুল ইসলাম, রাসেল মিয়া ও তানভীর ভূঁইয়া আহত হন।

এ সময় শাহীনুর ও সুজাতকে আটক করা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যান। পরে আহত ডিবির সদস্যরা জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ডিবির পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে সিঙ্গাইর থানা পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শাহীনুরের বিরুদ্ধে এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সুজাত, তাঁর মাম আসমা বেগম ও শাহীনুরের স্ত্রী লিপি আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

ডিবির পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, দুইজনকে গ্রেফতার করা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যান। আজ দুপুরে গ্রেফতার আসামি দুইজনকে থানায় হস্তান্তর করা হবে।

;

পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি ২১ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২২ এপ্রিল (শনিবার)। সে হিসেবে ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) থেকে ছুটি শুরু হবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

তবে এ ছুটি নির্ভর করবে চাঁদ দেখার ওপর। স্ব স্ব কারখানা নিজস্ব শিপমেন্ট, কার্যাদেশ প্রোডাকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি সুযোগ থাকে ঈদের দু-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করে সংগঠনটি। এটি সরকারি ছুটি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করিয়ে সমন্বয় করা যাবে।


সোমবার (২৭ মার্চ) সদস্যভুক্ত কারখানাদের এ নির্দেশনা দেয় পোশাক খাতের এ সংগঠনটি। একইসঙ্গে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া-আসা নিয়ে ছয় দিকনির্দেশনা দিয়েছি পোশাক মালিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক চিটিতে সদস্যভুক্ত কারখানা মালিক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

কারখানা মালিকদের প্রতি বিজিএমইএ’র চিঠিতে বলা হয়, ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল এবং লঞ্চযাত্রায় একই দিন অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। নিজ নিজ কারখানা নিজস্ব শিপমেন্ট, কার্যাদেশ ও প্রোডাকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি সুযোগ থাকে ঈদের দু-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দিতে পারবেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন তবে রমজান মাসে বিভিন্ন সরকারি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করে এসব ছুটি সমন্বয় করা যাবে।

শ্রমিকদের জন্য ৬ নির্দেশনা:

ঈদের আগে শেষ কার্যদিবসে শ্রমিকদের ছুটির প্রাক্কালে মালবোঝাই করা ট্রাকে যাতায়াত না করা, তাড়াহুড়ো না করা, রাস্তা যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ফুটপাত দিয়ে হাটা, সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন না করা, অপরিচিত লোকদের দেওয়া খাবার না খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা করার আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৮ থেকে ১০ জনের টিম গঠন করে স্থানীয় ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতা নিতে পারবেন। কোনো পক্ষ যাতে শ্রমিক অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে সেই দৃষ্টি রাখতে হবে।

কারও প্ররোচনায় শ্রম অসন্তোষ সংঘটিত হতে পারে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জানতে পারলে প্রয়োজনে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কলকারখানা অধিদপ্তর অথবা বিজিএমইএ-এর সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠনটি।

 

;