কিশোরগঞ্জ কিশোরই থেকে গেছে, রাষ্ট্রপতির জেলা তো!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিশোরগঞ্জের মানুষ কিশোরই থেকে গেছে। কিশোরগঞ্জ হলো রাষ্ট্রপতির জেলা। সেজন্য কিশোরগঞ্জ মনে করে আমরা তো রাষ্ট্রপতি, এইটাও আবার একটা বিষয় আছে।
সোমবার (২০ এপ্রিল) গণভবনে দেশব্যাপী করোনাভাইরাস মোকাবিলার কার্যক্রম সমন্বয় করার লক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্সে কিশোরগঞ্জ জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বিভিন্ন সময় চার দফায় ৪৩টি জেলার জেলা প্রশাসকদের কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন তিনি।
হাওর বিল খ্যাত কিশোরগঞ্জে ব্যাপক পরিমাণে ধান উৎপাদনের দিকটির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিশোরগঞ্জে এতো ধান হয়? অথচ সেখানে বোধহয় কোনো রাইস মিল নাই! আধুনিক রাইস মিল বোধহয় কেউ করেনি? করা আছে? কারো আছে ওখানে রাইস মিল! এর জবাবে জেলা প্রশাসক এবং জেলা পরিষদ প্রশাসক বলেন, না স্যার---না আপা।
এরপর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, রাইস মিল নাই, কোনো রাইস মিল নাই। কারণ হইছে কি হাওর এলাকা তো! আপনার বদান্যতায় এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির চেষ্টায় আমাদের তো যোগাযোগ ব্যবস্থাটা হইছে? কারণ এতোদিন তো কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থাই আমাদের ছিল না।
তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে তা না, আসলে সেটা না। ওই কিশোরগঞ্জের মানুষ কিশোরই থেকে গেছে। তারা চিন্তাই করে নাই, যে একটা রাইস মিল লাগবে? বা কিছু লাগবে? ইউনিভার্সিটি করা? তারপরে হাওরে মাছ ওঠে, তার জন্য হ্যাচারি তৈরি করা অর্থ্যাৎ মাছ ধরে রাখা, একটা বরফকল ছিল না তো আমি এইজন্য বললাম, কিশোরগঞ্জ একদিকে কিশোর থেকে গেছে, আবার ওদিক থেকে দেখা গেল, কিশোরগঞ্জ তো রাষ্ট্রপতির জেলা।
‘কিশোরগঞ্জ থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসাবে যুদ্ধ পরিচালনা করার দায়িত্ব নিলেন এরপর জিল্লুর রহমান সাহেব রাষ্ট্রপতি, এখন হামিদ সাহেব রাষ্ট্রপতি, মানে কিশোরগঞ্জ জেলা হলো রাষ্ট্রপতির জেলা। সেজন্য কিশোরগঞ্জ মনে করে আমরা তো রাষ্ট্রপতি, এইটাও আবার একটা বিষয় আছে। এই জন্য বোধহয় কিছুই হয় না।’
‘যাই হোক আমার মনে হয়, কিশোরগঞ্জে অনেক ব্যবসায়ী আছে, একটা আধুনিক রাইস মিল যদি করা যায় তাহলে এই কৃষকরাও যথাযথ দাম পাবে, আর এই ফসলটাও আমরা রাখতে পারবো- তাছাড়া আপনারা জানেন যে, কয়েকটা নতুন সাইলো (ধান সংরক্ষণাগার) তৈরি করছি। যেমন সান্তাহারে আমরা করেছি। যার ফলে তিন বছর পর্যন্ত চাল সেখানে ভালো থাকবে। সেখানে সিলিং সিস্টেম আছে। কিশোরগঞ্জের মানুষ তো মাছ, চাল এগুলো দিয়েই অনেক অনেক অর্থশালী ও সম্পদশালী হয়ে যাবে, সেটার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।