খুলনায় পশুর সংকট, দুশ্চিন্তায় ক্রেতা-বিক্রেতারা



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা: খুলনায় এবার পশুর সংকট রয়েছে। তবে সংকট থাকলেও কোরবানিতে নিরাপদ মাংস নিশ্চিত করতে খুলনার ২৭টি পশুরহাটে সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে মেডিকেল টিম। এছাড়া পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি একাধিক সংস্থার নজরদারি থাকবে।

ইতোমধ্যে পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী, ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর খর্ণিয়া, বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়ায় পশুর হাট বসেছে। তবে চাহিদার তুলনায় হাটে গরু আমদানির পরিমাণ কম। মূলত ভারতীয় গরুর ওপরে নির্ভরশীল খুলনার পশুর হাট। এ কারণে পশুর দাম ওঠা-নামা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাপ্তাহিক হাটে চাহিদার তুলনায় গরু আমদানির পরিমাণ কম। তবে কোরবানি ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে আমদানির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীরা।

এবারে জেলায় হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে নগরীর জোড়াগেট, বটিয়াঘাটার খারাবাদ বাইনতলা, বারোআড়িয়া, ডুমুরিয়া আঠারো মাইল, খর্ণিয়া, শাহপুর, পাইকগাছার জিরোপয়েন্ট, চাঁদখালী, কাসিমনগর, বাঁকা, গদাইপুর, কয়রার বামিয়া, দেওলিয়া, ঘুগরাকাটি, দাকোপের বাজুয়া, চালনাবাজার, পুটিখালী, রূপসার কাজদিয়া, আমতলা, তেরখাদার ইখড়িকাটেঙ্গা, ফুলতলার জামিরা, উপজেলা সদর, দিঘলিয়ার পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজী জালালউদ্দিন কলেজ মাঠ, এমএ মজিদ কলেজ মাঠ ও ফুলবাড়ী গেট।

খুলনা সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত জোড়াগেটে পশুর হাট বসবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী- ফুলতলা উপজেলায় এক হাজার ৬২০টি গরু ও ১৫০০টি ছাগল, দিঘলিয়া উপজেলায় ২ হাজার ১০৯টি গরু ও এক হাজার ১৩৭টি ছাগল, তেরখাদা উপজেলায় ৩ হাজার ১৫০টি গরু ও ২ হাজার ৬৭৩টি ছাগল, রূপসা উপজেলায় ৬৯০টি গরু ও দেড়শ’ ছাগল, দাকোপ উপজেলায় ৮৭০টি গরু ও ৮৫০টি ছাগল, কয়রা উপজেলায় ৪ হাজার ৭৭৯টি গরু ও ২ হাজার ১৩৭টি ছাগল, পাইকগাছা উপজেলায় ২ হাজার ৯১টি গরু ও ২ হাজার ২৮৩টি ছাগল, ডুমুরিয়া উপজেলায় তিন হাজার ১২০টি গরু ও এক হাজার ৩০২টি ছাগল, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২ হাজার ৪২৭টি গরু ও ৮৪৩টি ছাগল ও মহানগরী এলাকায় ৩৩০টি গরু ও ১০২টি ছাগল কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এবার জেলার ৪ হাজার ৫৫২ জন খামারি ফেব্রুয়ারি থেকে কোরবানির পশু লালনপালন করছে।

পশু সম্পদ অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী- ২০১৭ সালে ৪৩ হাজার ৪৪০টি গরু এবং ৩৬ হাজার ৫০৭টি ছাগল কোরবানি হয়। ২০১৬ সালে জেলায় কোরবানি করা পশুর সংখ্যা ছিল এক লাখ ১২ হাজার।

বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার রায় জানান, বারোআড়িয়া, খারাবাদ বাইনতলায় দু’একদিন পর থেকে পশুর হাট বসতে শুরু করবে। নিরাপদ মাংস নিশ্চিত করতে খামারিদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জেলায় কোরবানির পশুর সংকট রয়েছে। তবে তা নিরসনে প্রতিবারের মতো এবারও যশোর, নড়াইল থেকে গরু এনে জেলার জোড়াগেট, শাহাপুর, খর্ণিয়া, আঠারো মাইল, জামিরা, দিঘলিয়া এমএম মজিদ কলেজ মাঠ, কাজদিয়া হাটে বিক্রি করা হবে।

তিনি জানান, নিরাপদ মাংসের জন্য মহানগরীর ৩৫ জন কসাইকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রেজাউল করিম জানান, জোড়াগেট বাজারে আগত প্রত্যেকটি পশুকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। পশু অসুস্থ হলে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে।

   

মোংলা থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে রিমাল, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলা সমুদ্বরন্দর থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

রোববার (২৬ মে) রাত ৯টায় আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আব্দুল কালাম মল্লিকের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৫ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১.৫ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি রোববার (২৬ মে) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে ধীর গতিতে অগ্রসর হয়ে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম অব্যাহত রেখেছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

;

জোয়ারের সময় স্থলভাগে উঠবে রিমাল

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্র যখন উপকূলে উঠে আসবে তখন জোয়ারের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় উঁচু জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

এতে করে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিমালের আঘাতে এরইমধ্যে সাতক্ষীরা, ভোলা, চরফ্যাশন, কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

তিনি বলেন, রিমালের কেন্দ্র আর দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে স্থলভাগে উঠে আসবে। এ সময় জোয়ারের সম্ভাবনা আছে। তখন উঁচু জলোচ্ছ্বাসে উপকূল প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা আছে। এ ছাড়া বর্তমানে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড়টি আগাচ্ছে। জোয়ার থাকলে বাতাসের গতিবেগও বাড়তে পারে। এতে উপকূলবাসী আতঙ্কে আছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র স্থলভাগে উঠে আসার ৫ ঘণ্টার মধ্যে পুরো ঝড় স্থলভাগে উঠে আসবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করছে। কেন্দ্র উঠে আসার পরবর্তী ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে রিমাল বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে। এ সময়টা খুবই শঙ্কার। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় প্রবল বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে ভূমিধস ও জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ, দুর্ভোগ ও ভোগান্তির সৃষ্টি হতে পারে।

এসব থেকে ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলের প্রায় ৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ পৌঁছে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সব আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর বলেন, ‘আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছি। এছাড়া রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সংগঠনগুলোও তৎপর আছে। সমন্বিতভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।’

;

আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ কম মোংলার মানুষের

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ কম মোংলার মানুষের

আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ কম মোংলার মানুষের

  • Font increase
  • Font Decrease

মহাবিপদের বার্তা নিয়ে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না।

মোংলা উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান গিয়েছে কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ দেখা গেছে।

রোববার (২৬ মে) রাতে বার্তা ২৪.কমের বাগেরহাট প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম দুলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মোংলা অঞ্চলে সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস কম থাকলেও রাত ১০টার পর প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। রাত ১০টা থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলাতে আঘাত হানতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে কিন্তু সরেজমিনে বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ দেখা যায়। সেখানে তাদের জন্য শুকনো খাবার এবং খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইলা ও সিডরের মতো ঘূর্ণিঝড় রিমাল তেমন শক্তিশালী নয়। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ৭ কিংবা ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হলেও মানুষের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।

এর হিসেবে তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সবসময় ঝড়-তুফানের সাথে যুদ্ধ করে বেচে থাকে। অপরদিকে বিপদ সংকেত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব না পড়ার কারণে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

বিমানের নতুন এমডি জাহিদুল ইসলাম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।

রোববার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিমান এয়ারলাইনসের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিমকে গত ২১ মে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

;