নগদ-বিকাশের মাধ্যমে আসবে কারাবন্দীদের টাকা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যেহেতু করোনার কারণে একটি আপদকালীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে সে কারণে আত্মীয়-স্বজনরা চাইলেও হয়ত কারাবন্দীদেরকে হাত খরচের টাকা পাঠাতে পারছেন না।

বিষয়টি সুরাহ করতে দুইটি মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানকে (এমএফএস) টাকা পাঠানোর জন্যে বেছে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

বন্দীদের নামে টাকা পাঠানোর জন্যে অ্যাকাউন্ট খুলবে কারাকর্তৃপক্ষ, যেগুলো হবে এজেন্ট অ্যাকাউন্ট।

অন্যদিকে আবার টাকা পাঠালে সেখানে ক্যাশ-আউট করার খরচসহ টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে, না হলে কাশ-আউটের খরচ বাদ দিয়ে বন্দীদের কাছে টাকা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যেটি কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনা অনুসারে একজন বন্দীর জন্যে মাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পাঠানো যাবে। তবে সেটিও করা যাবে দুটি ধাপে। একবারে এক হাজারের বেশী টাকা পাঠানো যাবে না বলেও নির্দেশনায় বলা আছে।

কারাগারগুলোর বন্দীর সংখ্যানুপাতে অ্যাকাউন্ট খোলার সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনায়। কোন কারগারে ৫০০ জন বা তার নীচে বন্দী থাকলে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। তবে বন্দী ৫০১ থেকে এক হাজারের মধ্যে হলে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।

আর বন্দীর সংখ্যা ১০০১ থেকে তিন হাজার হলে তিনটি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। এর বেশী বন্দী হলে পাঁচটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।

টাকা পাঠানোর পরপরই একটি এসএমএস-এর মাধ্যমে বন্দীর নাম, তার বাবার নাম, ঠিকানা এবং যে মোবাইল থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে তার নম্বরসহ একটি এসএমএস দিতে হবে ওই নম্বরে। পরে বন্দীর হিসেবে টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি বন্দীকে অবহিত করা হবে।

আত্মীয় স্বজনের পাঠানো টাকা কারা কর্তৃপক্ষের প্রিজনার্স ক্যাশ হিসেবে জমা হবে এবং বন্দীরা তাদের মোবাইলে কথা বলাসহ কারা ক্যান্টিনের মাধ্যমে অন্যান্য খরচের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রচলিত বিধি অনুসারে, আত্মীয়-স্বজনরা দেখা করতে আসলে বন্দীদের প্রিজনার্স ক্যাশ হিসেবে টাকা জমা দিতে পারেন যেখান থেকে বন্দীরা খরচ করেন।