অভুক্ত কুকুরের জন্য কলেজছাত্র আইমানের ভালোবাসা
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে জনসমাগম ও সঙ্গরোধ নিশ্চিত করতে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। সড়কের আশপাশে মানুষের উচ্ছিষ্ট খাবারের ছিঁটেফোটাও পাওয়া যাচ্ছে না। এতে খাবার না পেয়ে কুকুরগুলো ক্ষুধার্ত। খাবার সংকটে ভুগছে। এই অভুক্ত কুকুরগুলোর প্রতি ভালোবাসার টানে প্রতিদিনই খাবার দিয়ে যাচ্ছে কলেজ ছাত্র আইমান মাহমুদ।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের আশপাশে প্রতিদিনই ১০-১২টি কুকুর দেখা যায়। করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে কুকুরগুলো খাবার পাচ্ছে না। ক্ষুধার যন্ত্রণায় চিৎকার করছে সারাক্ষণ। মানুষ দেখলেই খাবারের জন্য পিছনে ছুটছে। সড়কের আশপাশ ও ডাস্টবিনে এখন আর আগের মত মানুষের উচ্ছিষ্ট খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব খেয়েই ক্ষুধা নিবারণ করতো কুকুর। সেই কুকুরগুলোর ক্ষুধা নিবারণের জন্যই প্রতিদিন সকালে খাবার ব্যবস্থা করছে আইমান মাহমুদ।
আইমান লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি রামগঞ্জ উপজেলায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকালে কলেজের মূল ফটকসহ বিভিন্ন স্থানে কাগজ পেতে আইমান একটি সিলভারের বালতি থেকে খিচুড়ি স্তুপ করে রাখছে। এরপরই তিনি অভুক্ত কুকুরগুলোকে খাবারের জন্য ডাকছে। কুকুরগুলোও তার ডাকে সাড়া দিয়ে খেতে চলে এসেছে। মনে হয়েছে কুকুরগুলো আইমানের পোষা।
এ ব্যাপারে কলেজছাত্র আইমান মাহমুদ বলেন, প্রতিদিনই কুকুরগুলোকে কলেজ এলাকায় দেখা যায়। তবে তারা এখনো পর্যন্ত কারো ক্ষতি করেনি। করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে তাদের খাবার জুটছে না। এই কারণে নিজের সাধ্যমত খাবার দিয়ে তাদের ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করছি। বৃষ্টির কারণে মাঝে মাঝে দিতে সমস্যা হচ্ছে।