আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে অনিয়ম, তবে ইউএনও’র চ্যালেঞ্জ



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। একটি ঘর ও টয়লেট নির্মাণ ব্যয় এক লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও যেনতেন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে এসব ঘর। ডিজাইন প্রাক্কলন মোতাবেক কাজের গুণগত মানও ঠিক রাখা হয়নি। এক নাম্বার ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে দুই ও তিন নাম্বারের ইট। ব্যবহৃত কাঠ, টিনও নিম্নমানের।

এমন সব অভিযোগ নিয়েই শেষ করা হয়েছে গৃহহীন ২২০টি পরিবারের ঘর ও টয়লেট নির্মাণ কাজ। আর এ কারণে নির্মাণের পর একমাস না যেতেই ছাউনি দিয়ে বৃষ্টি পড়ছে ঘরের ভেতরে। এছাড়া অধিকাংশ পরিবারেরই টয়লেট নির্মাণ কাজ এখনো শেষ করা হয়নি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টা ভালো কাজ করেছেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক রাহাত মান্নান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/13/1534154733343.jpg

জানা গেছে, যাদের জমি আছে অথচ ঘর নাই এমন গৃহহীন মানুষদের কথা চিন্তা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালে তাদের জন্য গৃহনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২। এ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ৭৫টি, চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ১৪৫টি ও সবশেষ ৯ মে ৪৬০টি পরিবারকে গৃহ ও টয়লেট নির্মাণ বাবদ এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেন সরকার।

প্রকল্পের কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী আলমডাঙ্গা উপজেলাতে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দ আসা গৃহনির্মাণ কাজের সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছিল চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। একই সঙ্গে তৃতীয় দফায় বরাদ্দ আসা আরও ৪৬০টি পরিবারকে গৃহনির্মাণের সময়সীমা বেধে দেয়া হয় ৩০ জুন পর্যন্ত।

কিন্তু দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় আসা গৃহনির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে নামকাওয়াস্তে। অধিকাংশ ঘর নির্মাণে রয়েছে ত্রুটি। ২৭৫ বর্গফুটের ঘর নির্মাণে এক নাম্বার ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে দুই নাম্বার ইট। দশমিক ৩৬ এমএমের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে দশমিক ৩২ এমএমের ঢেউটিন। নকশায় ফাউন্ডেশন ঢালাইয়ের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। মেঝে ও পিলারে ব্যবহার হয়েছে একেবারেই নিম্নমানের খোয়া। মাত্র তিনটি রডে বানানো হয়েছে পিলার। ছয়টির বদলে জানালা হয়েছে দুটি।

ঘরের বরাদ্দ পাওয়া আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের টুটুল মিয়ার অভিযোগ, ঘর নির্মাণে সরকার এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও ঘরের কাজ করা হয়েছে খুব নিম্নমানের। টিন দেয়া হয়েছে কম, ছাউনির বাতাও দেয়া হয়েছে খুব দুর্বল। ঘরের মেজের কাজও দায়সারা ভাবে করা হয়েছে। টয়লেটের কাজও শেষ করে দিয়ে যায়নি শ্রমিকরা।

জামজামি ইউনিয়নের ভোদুয়া গ্রামের আনজিরা বেগমের অভিযোগ, ঘরের বেড়া ও চালে শাল, গর্জন, জারুল, কড়াই, শিশু, তাল, দেবদার বা আকাশমনি কাঠ ব্যবহারের কথা ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র দেবদার আর নিম্মমানের মেহগনি ব্যবহার করা হয়েছে। আর তারকাঁটা, পেরেক, কব্জা, ছিটকানি, স্ক্রু, মেঝের রঙ এসব কিছুই নেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে। মালামাল আনা-নেয়ার জন্যও তাদেরকে টাকা গুনতে হয়েছে।

নাগদাহ ইউনিয়নের জহুরুলনগর গ্রামের তাবিদা খাতুন বলেন,‘ঘরের সমস্ত মালামাল সরকারের দেয়ার কথা থাকলেও আমাদের গুনতে হয়েছে টাকা। এছাড়া ঘরের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের খাওয়ার টাকাও গুনতে হয়েছে আমাদেরকে। সব মিলিয়ে এই ঘর নির্মাণে আমাদেরও খরচ হয়েছে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/13/1534154762423.jpg

আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার আন্না খাতুন বলেন, ‘নতুন ঘর পেলাম। কিন্তু টয়লেটের পিলার ছাড়া আর কিছুই পায়নি। এছাড়া ঘরের ছাউনি দিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের ভেতরে পানি জমছে।’

অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে ‘পিআইসি’ দ্বারা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এ ঘরগুলো নির্মাণের কথা। কিন্তু প্রকল্পের নকশা ডিজাইন ও প্রাক্কলনের তোয়াক্কা না করে গৃহহীন মানুষের বাড়ি নির্মাণে নিজেদের ইচ্ছা মতো নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরি করা হচ্ছে। কাগজ কলমে পিআইসি থাকলেও আহ্বায়ক (নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা জানেন না কোথায় কোন কাজ হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গরীবের ঘর নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগটি শেষ পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালকসহ গড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্তও। এমন অবস্থায় বেশ কিছু এলাকায় তড়িঘড়ি করে নিম্মমানের টিন বদল করে পুনরায় নতুন টিনও লাগানো হয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাগজে কলমে আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। কোথায় কী কাজ হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে তা আমার জানা নাই। এটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবেন।’

আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে গৃহহীনদের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানদেরও ক্ষোভের শেষ নেই। তাদের দাবি, প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে প্রকল্পের আহ্বায়ক ইউএনওকে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ বিষয়ে চেয়ারম্যানরা কিছুই জানেন না।

তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত মান্নান দাবি করেন শতভাগ কাজ ভালো হয়েছে। তিনি সংবাদকর্মীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘অন্য এলাকার তুলনায় আমার এলাকায় কাজ অনেক ভালো হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম তুলে ধরতে পারলে আমি আলমডাঙ্গা থেকে বিদায় নেব।’

প্রকল্পের কাজে এমন দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন জানান, আলমডাঙ্গায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কাজে অনিয়মের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

 

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;