করোনায় অসহায় হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের কর্মহীন দলিল লেখকরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গোপালগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিস

গোপালগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিস

এইতো কিছুদিন আগে যেখানে মানুষের আনাগোনা ছিল ব্যাপক, করোনার কারণে আজকে সেখানে নেই কোন কোলাহল। টেবিল-চেয়ারে ময়লা পড়েছে। কাজের জন্য কেউ দিনের পর দিন ঘুরছেন না। এখানে যারা কাজ করতেন তাদের দীর্ঘদিন আয় রোজগার না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় ভাবে দিন কাটছে । জেলার ৬ শতাধিক দলিল লেখক আর তাদের সহকারীদের অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়।

গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে রয়েছে ৬ শতাধিক দলিল লেখক আর তাদের সহকারী। অফিস আদালত বন্ধ হবার আগে তাদের দিন এনে দিন খেলেও ভালই কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু, করোনার কারণে দীর্ঘদিন অফিস আদালত বন্ধ থাকায় কাজ কর্ম নাই এইসব দলিল লেখকেদের।

বিজ্ঞাপন

যেসব টেবিল চেয়ারে বসে তারা মূল ভবনের সামনে বসে কাজ করতেন সেই সব টেবিল চেয়ারে এখন ময়লার স্তুপ পড়েছে। অসহায়ত্বের কথাও কারো কাছে এরা বলতে পারছেন না। সংসার সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

করোনায় অসহায় হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের কর্মহীন দলিল লেখকরা

দলিল লেখক সালাউদ্দিন খান, সোহরাব হোসেন জানান, আমরা যেহেতু দলিল লেখক তাই আমাদের রোজগারের প্রধান উপায় হলো দলিল লেখা। শুধু আমি নই, আমরা সারা জেলায় ৩১৫ জন দলিল লেখক আর তাদের সহকারী আরো ৩শ’১৫ জন। আমাদের দীর্ঘ দিন আয় রোজগার নাই। কিভাবে ছেলে মেয়েদের ভরণ-পোষণ করব এই চিন্তায় আছি। তাছাড়া ২/৪ ছাড়া তাদের অবস্থাও তেমন ভালো না। এই সময়ে আয় রোজগার বন্ধ, কিভাবে এরা তাদের সংসার চালাবে? সরকার এই সব অসহায় দলিল লেখক আর তাদের সহকারীদের দিকে যাতে সু-দৃষ্টি দেন সেই দাবি জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম খান জানান, আমরা আসলে অন্য কোন কাজ করতে পারিনা। কারো কাছে হাত পাততেও পারিনা। সরকার যাতে এই অসহায় দলিল লেখকদের দিকে দৃষ্টি দেয় তার দাবি জানান দলিল লেখকদের এই নেতা।

দীর্ঘদিন ধরে আয় রোজগার হীন অসহায় দলিল লেখকদের দিকে সরকার সদয় দৃষ্টি দেবেন এমনটি প্রত্যশা তাদের।